রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে তেমন প্রস্তুতি নেই মিয়ানমারের, স্যাটেলাইট ছবির তথ্য by হান্নাহ ইলিয়াস-পিটারসন
রোহিঙ্গা
মুসলিমদের নিরাপদ ও মানবিক প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমার যথাযথ
প্রস্তুতি নেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, স্যাটেলাইটে প্রাপ্ত ছবি বিশ্লেষণ
করার পর সেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে ব্যাপক সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। ছবিতে বরং দেখা
গেছে যে সেখানে গ্রাম ধ্বংস করা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
মিয়ানমার সরকার যদিও বারবার আশ্বাস দিয়ে আসছে যে, তারা সাত লক্ষ রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করবে, কিন্তু এ ব্যাপারে তাদের প্রস্তুতি একেবারেই সামান্য পর্যায়ে রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউট (এএসপিআই) তাদের অনুসন্ধানে এই পরিস্থিতি দেখতে পেয়েছে।
এএসপিআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, “রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতির কিছুই আমরা দেখতে পাইনি”।
রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাখাইনে রোহিঙ্গা গ্রাম ধ্বংসের ধারা চলতি বছরেও অব্যাহত রয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টে এই ধারা শুরু হয়েছিল যখন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সেখানে ‘গণহত্যার’ উদ্দেশ্যে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, গণধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করে। এবং তাদের হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যায় এবং এখন তারা কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছে।
এএসপিআইয়ের গবেষকরা অন্তত ৫৮টি রোহিঙ্গা বসতি চিহ্নিত করেছে যেগুলো ২০১৮ সালে নতুন করে ধ্বংস করা হয়েছে। স্যাটেলাইট ছবিতে আরও দেখা গেছে যে, ২০১৯ সালেও রোহিঙ্গা গ্রাম ধ্বংস অব্যাহত রয়েছে। যেগুলো পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় যে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এটা নিশ্চিত করতে চাচ্ছে যাতে রোহিঙ্গাদের ফিরে আসার মতো কোন গ্রাম অবশিষ্ট না থাকে।
রিপোর্টের লেখকদের একজন নাথান রুসের বলেন, “যেটা আমাকে সবচেয়ে বিস্মিত করেছে, সেটা হলো ২০১৭ সালের পরও অব্যাহতভাবে গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া। কোন বিচ্ছিন্ন গ্রাম বা একটা দুটো ঘর নয়, যেটা ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ধ্বংস করা হয়েছে, সামরিক বাহিনী পুরো মানচিত্র ধরে এগিয়েছে এবং প্রতিটি গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে। এখনও সেখানে রোহিঙ্গা বসতির এই ধ্বংসযজ্ঞ চলছে”।
স্যাটেলাইটে প্রাপ্ত ছবিতে দেখা গেছে, রোহিঙ্গা গ্রামগুলোর পুনর্নির্মাণ না করে রাখাইনে বরং ৪৫টি নতুন ক্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে। যেই ক্যাম্প নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো আগে উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে যে, এটা ‘উন্মুক্ত কারাগার’ ছাড়া অন্য কিছু নয়। সেই সাথে, সাবেক রোহিঙ্গা বসতির জায়গায় ছয়টি সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে বা আগেরগুলোর সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
কিছু অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে ১২৮,০০০ ঘরবাড়িহারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের থাকার জন্য, যারা এই মুহূর্তে রাখাইনে মানবেতর জীবনযাপন করছে। রুসের বলেন, “খুব সম্ভাবনা রয়েছে যে, এই নতুন ক্যাম্পগুলোর অধিকাংশই বিশেষ করে যেগুলোর নির্মাণ চলছে, সেগুলো শরণার্থীদের ফিরিয়ে আনার জন্য তৈরি করা হচ্ছে”।
মিয়ানমার সরকার যদিও বারবার আশ্বাস দিয়ে আসছে যে, তারা সাত লক্ষ রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করবে, কিন্তু এ ব্যাপারে তাদের প্রস্তুতি একেবারেই সামান্য পর্যায়ে রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউট (এএসপিআই) তাদের অনুসন্ধানে এই পরিস্থিতি দেখতে পেয়েছে।
এএসপিআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, “রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতির কিছুই আমরা দেখতে পাইনি”।
রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাখাইনে রোহিঙ্গা গ্রাম ধ্বংসের ধারা চলতি বছরেও অব্যাহত রয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টে এই ধারা শুরু হয়েছিল যখন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সেখানে ‘গণহত্যার’ উদ্দেশ্যে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, গণধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করে। এবং তাদের হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যায় এবং এখন তারা কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছে।
এএসপিআইয়ের গবেষকরা অন্তত ৫৮টি রোহিঙ্গা বসতি চিহ্নিত করেছে যেগুলো ২০১৮ সালে নতুন করে ধ্বংস করা হয়েছে। স্যাটেলাইট ছবিতে আরও দেখা গেছে যে, ২০১৯ সালেও রোহিঙ্গা গ্রাম ধ্বংস অব্যাহত রয়েছে। যেগুলো পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় যে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এটা নিশ্চিত করতে চাচ্ছে যাতে রোহিঙ্গাদের ফিরে আসার মতো কোন গ্রাম অবশিষ্ট না থাকে।
রিপোর্টের লেখকদের একজন নাথান রুসের বলেন, “যেটা আমাকে সবচেয়ে বিস্মিত করেছে, সেটা হলো ২০১৭ সালের পরও অব্যাহতভাবে গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া। কোন বিচ্ছিন্ন গ্রাম বা একটা দুটো ঘর নয়, যেটা ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ধ্বংস করা হয়েছে, সামরিক বাহিনী পুরো মানচিত্র ধরে এগিয়েছে এবং প্রতিটি গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে। এখনও সেখানে রোহিঙ্গা বসতির এই ধ্বংসযজ্ঞ চলছে”।
স্যাটেলাইটে প্রাপ্ত ছবিতে দেখা গেছে, রোহিঙ্গা গ্রামগুলোর পুনর্নির্মাণ না করে রাখাইনে বরং ৪৫টি নতুন ক্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে। যেই ক্যাম্প নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো আগে উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে যে, এটা ‘উন্মুক্ত কারাগার’ ছাড়া অন্য কিছু নয়। সেই সাথে, সাবেক রোহিঙ্গা বসতির জায়গায় ছয়টি সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে বা আগেরগুলোর সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
কিছু অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে ১২৮,০০০ ঘরবাড়িহারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের থাকার জন্য, যারা এই মুহূর্তে রাখাইনে মানবেতর জীবনযাপন করছে। রুসের বলেন, “খুব সম্ভাবনা রয়েছে যে, এই নতুন ক্যাম্পগুলোর অধিকাংশই বিশেষ করে যেগুলোর নির্মাণ চলছে, সেগুলো শরণার্থীদের ফিরিয়ে আনার জন্য তৈরি করা হচ্ছে”।
No comments