মৌলভীবাজারে ক্লাসে মশক নিধনের স্প্রে, ১২ শিক্ষার্থী অসুস্থ
মৌলভীবাজার
শহরের একটি স্কুলের ক্লাস চলাকালীন সময়ে ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধনের ওষুধ
স্প্রে করার পর ১২ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়। অসুস্থদের অনেকেই মৌলভীবাজার ২৫০
শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তিও
রয়েছেন। দুপুর আড়াইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিবাবক
সূত্রে জানা যায়, দুপুরে দি ফ্লাওয়ার্স কেজি অ্যান্ড হাইস্কুলে ক্লাস
চলছিল। ওই সময় স্কুলে পৌরসভা পক্ষ থেকে ফগার মেশিন দিয়ে মশার ওষুধ স্প্রে
করা হয়। এর পরপরই কয়েকজন শিক্ষার্থীদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে অজ্ঞান হয়ে যান।
পরে আহতদের দ্রুত মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়া হয়।
এ সময় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন। আহতরা হলেন- ওই স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী এমি, সানন্দ দত্ত, ইসমা, রিমা, মৌসুমী দত্ত, ৮ম শ্রেণির ছাত্র রিয়া দত্ত, তনিমা জান্নাত, শাহরিয়ার সাদী, প্রজ্ঞা চৌধুরী, সুমাইয়া, সৈয়দা ফাহিমা, ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সৈয়দা লাবিবা আহমদ।
অসুস্থ এমির মামা মান্নান আহমদ বলেন, আমরা চাই মশক নিধন হোক কিন্তু আমাদের সন্তানদের ক্ষতি করে এটা কীভাবে হয়। আমরা স্কুলে ছাত্রীদের পাঠিয়েছি তাদের ভালো শিক্ষার জন্য কিন্তু তারা যদি স্কুলে গিয়ে অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে এর দায়ভার কার। অভিভাবক সৈয়দ রাশেদ আহমদ ও মঞ্জুর দত্ত বলেন ক্লাস চলাকালে ফগার মেশিন দিয়ে মশক নিধনের ওষুধ স্প্রে করায় শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হন। পৌর কর্তৃপক্ষ চাইলে ক্লাস শেষে শিক্ষকদের সাথে সমন্বয় করে ওষুধ স্প্রে করতে পারতো। এমন দূর্ঘনায় এখন হিতে বিপরীত হয়েছে। অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অসুস্থদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই ঘটনায় ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে তারা জানান। দি ফ্লাওয়ার্স কেজি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম বলেন স্প্রে করার কিছুক্ষণ পরেই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসি। কতজন আহত হয়েছেন এমন প্রশ্নে শিক্ষকরা বলেন- তার সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারেননি। এই ঘটনা চাউর হলে অভিভবাকরা হাসপাতালে ভিড় জমান। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রত্ম দীপ বিশ্বাস বলেন ‘কারো আগে থেকে শ্বাসকষ্ট থাকলে এই রকম সমস্যা হতে পারে।
তবে এখানে অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে সে উপসর্গ মিলেছে কম। তবে দু’-একজন শিক্ষার্থী ছাড়া অন্যরা কেউ শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত নেই। এ পর্যন্ত ১১ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অন্যরা বাড়িতে ফিরেছেন। এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পৌরসভা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চাইলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মশক নিধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রণধীর রায় কানু জানান, আমি একটি জরুরি মিটিংয়ে থাকায় বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এই স্প্রেগুলো ক্ষতিকারক নয়। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি। পৌর মেয়র ফজলুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করি। তবে যততুটু অসুস্থ তার চেয়ে বেশি আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, আগামীতে ক্লাস চলাকালে আর এভাবে মশক নিধন স্প্রে করা হবে না।
এ সময় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন। আহতরা হলেন- ওই স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী এমি, সানন্দ দত্ত, ইসমা, রিমা, মৌসুমী দত্ত, ৮ম শ্রেণির ছাত্র রিয়া দত্ত, তনিমা জান্নাত, শাহরিয়ার সাদী, প্রজ্ঞা চৌধুরী, সুমাইয়া, সৈয়দা ফাহিমা, ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সৈয়দা লাবিবা আহমদ।
অসুস্থ এমির মামা মান্নান আহমদ বলেন, আমরা চাই মশক নিধন হোক কিন্তু আমাদের সন্তানদের ক্ষতি করে এটা কীভাবে হয়। আমরা স্কুলে ছাত্রীদের পাঠিয়েছি তাদের ভালো শিক্ষার জন্য কিন্তু তারা যদি স্কুলে গিয়ে অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে এর দায়ভার কার। অভিভাবক সৈয়দ রাশেদ আহমদ ও মঞ্জুর দত্ত বলেন ক্লাস চলাকালে ফগার মেশিন দিয়ে মশক নিধনের ওষুধ স্প্রে করায় শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হন। পৌর কর্তৃপক্ষ চাইলে ক্লাস শেষে শিক্ষকদের সাথে সমন্বয় করে ওষুধ স্প্রে করতে পারতো। এমন দূর্ঘনায় এখন হিতে বিপরীত হয়েছে। অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অসুস্থদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই ঘটনায় ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে তারা জানান। দি ফ্লাওয়ার্স কেজি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম বলেন স্প্রে করার কিছুক্ষণ পরেই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসি। কতজন আহত হয়েছেন এমন প্রশ্নে শিক্ষকরা বলেন- তার সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারেননি। এই ঘটনা চাউর হলে অভিভবাকরা হাসপাতালে ভিড় জমান। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রত্ম দীপ বিশ্বাস বলেন ‘কারো আগে থেকে শ্বাসকষ্ট থাকলে এই রকম সমস্যা হতে পারে।
তবে এখানে অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে সে উপসর্গ মিলেছে কম। তবে দু’-একজন শিক্ষার্থী ছাড়া অন্যরা কেউ শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত নেই। এ পর্যন্ত ১১ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অন্যরা বাড়িতে ফিরেছেন। এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পৌরসভা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চাইলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মশক নিধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রণধীর রায় কানু জানান, আমি একটি জরুরি মিটিংয়ে থাকায় বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এই স্প্রেগুলো ক্ষতিকারক নয়। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি। পৌর মেয়র ফজলুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করি। তবে যততুটু অসুস্থ তার চেয়ে বেশি আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, আগামীতে ক্লাস চলাকালে আর এভাবে মশক নিধন স্প্রে করা হবে না।
No comments