মুক্তিযোদ্ধার মায়ের আহাজারি by খাইরুল মোমেন স্বপন
‘কোনো
মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলে তার বউ-ঝির লাগি সরকার ভাতা দিতাছে। আরো কত কী
সুবিধা দিতাছে হুনতাছি। মা-বাপের লাগি কিছু নাই?’ কথাগুলো বলছিলেন,
বীরবিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মতিয়র রহমানের মা হীরাবানু
(৯৪)। চরম অর্থকষ্ট আর রোগশোকই এখন সঙ্গী তার। নিকলী উপজেলা সদরের
বানিয়াহাটি গ্রামে একচালা একটি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বৃদ্ধা
হীরাবানু। হীরাবানু জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম সাল ১৯৩৫ লেখা হলেও
প্রকৃত বয়স প্রায় ৯৪। বড় ছেলে মতিয়র রহমান জীবদ্দশায় মা ও বাবা কিনু মিয়ার
বসবাসের জন্য সেমিপাকা একটি ঘর দিয়েছিলেন। সেই ঘরেই স্বামী কিনু মিয়াসহ
বসবাস করতেন।
ভরণ-পোষণসহ সকল দায়িত্ব পালন করতেন ছেলে মতিয়র রহমান। মেয়েরা বেড়াতে এলে মা-বাবার ঘরটিতেই থাকতো। স্বামীর মৃত্যুর পর ২০১১ সালের ৬ই অক্টোবর পুত্র মতিয়র রহমানও না ফেরার দেশে চলে যান। এরপর চরম অর্থকষ্টে পড়েন তিনি। অসুখ-বিসুখে ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই। এমন এক অনিশ্চয়তার মধ্যে হঠাৎ একদিন তার থাকার ঘরের চাবি চেয়ে নেন পুত্রবধূ রাবেয়া বেগম। কারণ হিসাবে জানানো হয়, কিছুদিন ধান রাখবেন এই ঘরে। ৮ বছর অতিবাহিত হলেও অদ্যাবধি হীরাবানু সেই ঘরের চাবি ফেরত পাননি। আত্মীয়-পরিজন নিয়ে বারবার ঘরটি ফেরত চাওয়া হলেও শাশুড়ি হীরাবানুকে চাবি ফেরত দেননি পুত্রবধূ রাবেয়া বেগম। বাধ্য হয়ে ছোট ছেলে আকবর হোসেনের একচালা ঘরের কোণে দিনাতিপাত করছেন তিনি। হীরাবানু আরো বলেন, একচালা ঘরটি ছোট ছেলের গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত হয়। নিজের মতো থাকতে পারি না। ঘরটি ফেরত পেলে খেয়ে না খেয়ে নিজের ঘরে মরতে পারতাম। রাবেয়া বেগমকে ফোন করলে তার ছেলে কাস্টম অফিসার মুশফিকুর রহমান জোসেফ জানান, তিনি বাড়ি এলে বিস্তারিত উত্তর দিতে পারবেন। ফোনে কিছু বলতে পারবেন না। পুত্র আকবর হোসেন জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে অসুস্থতার কারণে আমিও ঘরবন্দি। ব্যক্তিগত আয়-রোজগার নেই। স্ত্রী জুলেখা গ্রামে গ্রামে টুকরো কাপড় ফেরি করে। ছোট একটি ঘরে ২ মেয়ে নিয়ে থাকি। রাত-বিরাত মায়ের আর্তনাদ কানে আসে। মায়ের অসহায়ত্বও সইতে পারি না। ভরণ-পোষণের সামর্থ্যও নেই।
ছেলে হয়ে বৃদ্ধ মায়ের কষ্টে নির্ঘুম রাত কাটাই। একজন বীরবিক্রমের সম্মানের কথা ভেবে কারও দ্বারস্থও হতে পারছি না। হাতছাড়া ঘরটির জন্য মা দিনরাত হাপিত্যেশ করে। নিকলী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আসিফ ইমতিয়াজ মনির জানান, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের পরিপত্র অনুযায়ী ভাতা বা সুবিধাপ্রাপ্তির দাবিদার প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। আর স্ত্রী না থাকলে বাবা-মা। যেহেতু মতিয়র রহমানের স্ত্রী রয়েছেন। বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই। নিকলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের জন্য বর্তমান সরকার অনেক কিছুই করছে। পরিবার বলতে, মাকে বাদ দিয়েতো নয়। কেউ না দেখলে সরকার অবশ্যই দেখবে। দেখি কী করতে পারি।
ভরণ-পোষণসহ সকল দায়িত্ব পালন করতেন ছেলে মতিয়র রহমান। মেয়েরা বেড়াতে এলে মা-বাবার ঘরটিতেই থাকতো। স্বামীর মৃত্যুর পর ২০১১ সালের ৬ই অক্টোবর পুত্র মতিয়র রহমানও না ফেরার দেশে চলে যান। এরপর চরম অর্থকষ্টে পড়েন তিনি। অসুখ-বিসুখে ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই। এমন এক অনিশ্চয়তার মধ্যে হঠাৎ একদিন তার থাকার ঘরের চাবি চেয়ে নেন পুত্রবধূ রাবেয়া বেগম। কারণ হিসাবে জানানো হয়, কিছুদিন ধান রাখবেন এই ঘরে। ৮ বছর অতিবাহিত হলেও অদ্যাবধি হীরাবানু সেই ঘরের চাবি ফেরত পাননি। আত্মীয়-পরিজন নিয়ে বারবার ঘরটি ফেরত চাওয়া হলেও শাশুড়ি হীরাবানুকে চাবি ফেরত দেননি পুত্রবধূ রাবেয়া বেগম। বাধ্য হয়ে ছোট ছেলে আকবর হোসেনের একচালা ঘরের কোণে দিনাতিপাত করছেন তিনি। হীরাবানু আরো বলেন, একচালা ঘরটি ছোট ছেলের গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত হয়। নিজের মতো থাকতে পারি না। ঘরটি ফেরত পেলে খেয়ে না খেয়ে নিজের ঘরে মরতে পারতাম। রাবেয়া বেগমকে ফোন করলে তার ছেলে কাস্টম অফিসার মুশফিকুর রহমান জোসেফ জানান, তিনি বাড়ি এলে বিস্তারিত উত্তর দিতে পারবেন। ফোনে কিছু বলতে পারবেন না। পুত্র আকবর হোসেন জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে অসুস্থতার কারণে আমিও ঘরবন্দি। ব্যক্তিগত আয়-রোজগার নেই। স্ত্রী জুলেখা গ্রামে গ্রামে টুকরো কাপড় ফেরি করে। ছোট একটি ঘরে ২ মেয়ে নিয়ে থাকি। রাত-বিরাত মায়ের আর্তনাদ কানে আসে। মায়ের অসহায়ত্বও সইতে পারি না। ভরণ-পোষণের সামর্থ্যও নেই।
ছেলে হয়ে বৃদ্ধ মায়ের কষ্টে নির্ঘুম রাত কাটাই। একজন বীরবিক্রমের সম্মানের কথা ভেবে কারও দ্বারস্থও হতে পারছি না। হাতছাড়া ঘরটির জন্য মা দিনরাত হাপিত্যেশ করে। নিকলী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আসিফ ইমতিয়াজ মনির জানান, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের পরিপত্র অনুযায়ী ভাতা বা সুবিধাপ্রাপ্তির দাবিদার প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। আর স্ত্রী না থাকলে বাবা-মা। যেহেতু মতিয়র রহমানের স্ত্রী রয়েছেন। বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই। নিকলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের জন্য বর্তমান সরকার অনেক কিছুই করছে। পরিবার বলতে, মাকে বাদ দিয়েতো নয়। কেউ না দেখলে সরকার অবশ্যই দেখবে। দেখি কী করতে পারি।
No comments