হু হু করে বাড়ছে মশক নিধন পণ্যের দাম
হাসপাতালে
হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ভিড়। ডেঙ্গু ছড়িয়ে গেছে দেশের
বিভিন্ন এলাকায়। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতনভাবে কাজ করার আহ্বান
জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই অবস্থায় মানুষ ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে মশক
নিধন পণ্য ক্রয় করছে। চাহিদাও বেড়েছে প্রচণ্ড আকারে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে
বাড়ছে মশা মারার স্প্রে, কয়েল, মশারি ও বৈদ্যুতিক ব্যাটের দাম। এসব পণ্য
কিনতে বিভিন্ন মার্কেটে গ্রাহকদের ভিড়ও লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে যেসব
পরিবারে শিশুসন্তান রয়েছে, তারা বেশি কিনছেন বলে জানা গেছে।
তবে এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়েছে একটি চক্র। তারা মশক নিধন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
নিরুপায় হয়ে বেশি দামেই এসব পণ্য কিনতে হচ্ছে। এদিকে পাইকারি বিক্রেতাদের দাবি, মানুষের আতঙ্ক, প্রয়োজন আর চাহিদার সুযোগ নিচ্ছেন এলাকার খুচরা বিক্রেতা ও দোকানিরা।
বাজারে আকস্মিক বেশি চাহিদা থাকায় এসব পণ্যের সরবরাহও করতে পারছে না অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এই সুযোগে এসব মশা নিধনের পণ্যের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে বাড়তি দামেই প্রয়োজনীয় এসব পণ্য কিনছেন নগরবাসী। ফলে বাড়তি টাকা পকেট থেকে যাচ্ছে ভোক্তা সাধারণের।
রাজধানীর কয়েকটি বাজার সরজমিন দেখা গেছে, আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে, মশারি, কয়েল ও অ্যারোসলসহ নানা কোম্পানির মশা তাড়ানোর স্প্রে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা মশারির। বর্তমানে ৩ বাই ৪ ফিট থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ বাই ৯ ফিট সাইজের মশারি বাজারে পাওয়া যায়। এর মধ্যে সিঙ্গেল বা ৩ বাই ৪ ফিট সাইজের চাহিদা বেশি। এসব মশারির দাম ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০ টাকা পর্যন্ত চাচ্ছেন বিক্রেতারা। অথচ এক সপ্তাহ আগে এসব সাইজের মশারির দাম ১০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত। তবে মশারির মান ও আকৃতিভেদে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
কাওরানবাজার কিচেন মার্কেটের বিপরীতে ফুটপাথের মশারি বিক্রেতা মানিক মিয়া জানান, ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির পর থেকে মশারির চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। আগে যেখানে দিনে ৫০ থেকে ১০০ পিস বিক্রি হেতো। এখন সেখানে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ পিস। কোনো কোনো দিন দোকানে নিয়ে আসা সব মশারি শেষ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারেই প্রতি পিস ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর সঙ্গে আমরা আরো কয়েক টাকা বেশি ধরে বিক্রি করছি। তার মতে, আসলে আমাদের করার কিছুই নেই। কারণ বেশি দামে কিনে আনি, বেশি দামে বিক্রি করি। আরেক ব্যবসায়ী নাজিম জানান, ক্রেতা বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না। আগে যে মশারি ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় ক্রয় করতে পারতেন ব্যবসায়ীরা- ওই মশারি এখন পাইকারি দামে ১৫০ টাকায় ক্রয় করতে হচ্ছে। যে কারণে দোকান থেকে তা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। আর যে মশারি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় ক্রয় করতেন ব্যবসায়ীরা সেটা এখন ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় ক্রয় করতে হচ্ছে। খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেতে ৩৫০ টাকায়।
এদিকে মশারির পাশাপশি মশা মারার বৈদ্যুতিক ব্যাটের প্রতিটির দাম কয়েক সপ্তাহ আগে ছিলো ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। এখন তা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে। মূল্যবৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে কাওরান বাজারের ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেটের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, ব্যাটগুলো এখনো দেশে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয় না। বাইরে থেকে আসে। ডেঙ্গুর প্রকোপের মধ্যে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়ে গেছে।
ওডোমস ও রোলঅন ক্রিমের চাহিদা বেশ বেড়েছে। মশা থেকে রক্ষা পেতে ক্রিমগুলো কিনছেন ক্রেতারা। বাজারে ওডোমস অয়েন্টমেন্ট ১০০ গ্রাম ক্রিম অন্য সময়ে ২০০ টাকার কম দামে বিক্রি হয়। এখন তার দাম বেড়ে হয়েছে ৩০০ টাকা। ক্রেতারা জানিয়েছেন, দাম বেশি দিয়েও ক্রিম পাওয়া যাচ্ছে না ওষুধের দোকানগুলোতে।
বাজারে মশা মারার স্প্রে ক্যানপ্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা দাম বেড়েছে। হিট ব্র্যান্ডের ৪৭৫ মিলি লিটারের স্প্রে ২৭০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই ব্র্যান্ডের ৮০০ মিলির স্প্রে ক্যান ৪২০ টাকা ছিল। তা বেড়ে ৪৫০ থেকে ৪৭০ টাকা হয়েছে। অন্যান্য ব্র্যান্ডের মধ্যে আগে ছোট স্প্রে ক্যান ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও তা এখন ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাওরান বাজার কিচেন মার্কেটে দ্বিতীয় তলার বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের মালিক সেলিম হোসেন বলেন, মশার স্প্রের বিক্রি দ্বিগুণ হয়েছে। আগে মাসে ২০ থেকে ২৫ কার্টন (প্রতিটিতে ১২টি করে) স্প্রে বিক্রি হতো। গত ৩ দিনেই প্রায় ৪০ কার্টন স্প্রে বিক্রি হয়েছে। অ্যারোসল ক্যানের দাম সামান্য বেড়েছে বলে জানান তিনি। অ্যারোসল ৪৭৫ এমএল ক্যানের দাম ২৬০ টাকা। আর ৮০০ এমএমল ক্যান ৪০০ টাকা।
এদিকে বিভিন্ন কোম্পানির প্রায় ৫০টি ব্র্যান্ডের কয়েল বাজারে আছে। প্রায় সব কোম্পানির কয়েলই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে চার-পাঁচ টাকার কয়েলের দাম হয়েছে ৮ টাকা। এ ছাড়া পাঁচ টাকার নিম কয়েল বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকায়। বিভিন্ন নামের বুস্টার শ্রেণিভুক্ত কয়েলের দাম ১২ থেকে বেড়ে ১৫ টাকা হয়েছে।
বাংলামোটরের বাসিন্দা নাসরিন বেগম বলেন, আগে শুধু রাতে ঘুমানোর আগে মশার কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতেন। ডেঙ্গুর কারণে এখন দিনের বেলায়ও কয়েল জ্বালিয়ে রাখেন।
আরেক ক্রেতা নাসিম হোসেন জানান, পরিবারের জন্য আগে প্রতি মাসে তিন প্যাকেট কয়েল কিনতাম ২৪০ টাকায়। এখন কয়েল চাহিদা আর দাম দুটোই বেড়েছে। মাসে এখন ৬-৭ প্যাকেট কয়েল লাগে।
তবে এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়েছে একটি চক্র। তারা মশক নিধন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
নিরুপায় হয়ে বেশি দামেই এসব পণ্য কিনতে হচ্ছে। এদিকে পাইকারি বিক্রেতাদের দাবি, মানুষের আতঙ্ক, প্রয়োজন আর চাহিদার সুযোগ নিচ্ছেন এলাকার খুচরা বিক্রেতা ও দোকানিরা।
বাজারে আকস্মিক বেশি চাহিদা থাকায় এসব পণ্যের সরবরাহও করতে পারছে না অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এই সুযোগে এসব মশা নিধনের পণ্যের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে বাড়তি দামেই প্রয়োজনীয় এসব পণ্য কিনছেন নগরবাসী। ফলে বাড়তি টাকা পকেট থেকে যাচ্ছে ভোক্তা সাধারণের।
রাজধানীর কয়েকটি বাজার সরজমিন দেখা গেছে, আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে, মশারি, কয়েল ও অ্যারোসলসহ নানা কোম্পানির মশা তাড়ানোর স্প্রে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা মশারির। বর্তমানে ৩ বাই ৪ ফিট থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ বাই ৯ ফিট সাইজের মশারি বাজারে পাওয়া যায়। এর মধ্যে সিঙ্গেল বা ৩ বাই ৪ ফিট সাইজের চাহিদা বেশি। এসব মশারির দাম ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০ টাকা পর্যন্ত চাচ্ছেন বিক্রেতারা। অথচ এক সপ্তাহ আগে এসব সাইজের মশারির দাম ১০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত। তবে মশারির মান ও আকৃতিভেদে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
কাওরানবাজার কিচেন মার্কেটের বিপরীতে ফুটপাথের মশারি বিক্রেতা মানিক মিয়া জানান, ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির পর থেকে মশারির চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। আগে যেখানে দিনে ৫০ থেকে ১০০ পিস বিক্রি হেতো। এখন সেখানে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ পিস। কোনো কোনো দিন দোকানে নিয়ে আসা সব মশারি শেষ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারেই প্রতি পিস ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর সঙ্গে আমরা আরো কয়েক টাকা বেশি ধরে বিক্রি করছি। তার মতে, আসলে আমাদের করার কিছুই নেই। কারণ বেশি দামে কিনে আনি, বেশি দামে বিক্রি করি। আরেক ব্যবসায়ী নাজিম জানান, ক্রেতা বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না। আগে যে মশারি ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় ক্রয় করতে পারতেন ব্যবসায়ীরা- ওই মশারি এখন পাইকারি দামে ১৫০ টাকায় ক্রয় করতে হচ্ছে। যে কারণে দোকান থেকে তা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। আর যে মশারি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় ক্রয় করতেন ব্যবসায়ীরা সেটা এখন ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় ক্রয় করতে হচ্ছে। খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেতে ৩৫০ টাকায়।
এদিকে মশারির পাশাপশি মশা মারার বৈদ্যুতিক ব্যাটের প্রতিটির দাম কয়েক সপ্তাহ আগে ছিলো ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। এখন তা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে। মূল্যবৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে কাওরান বাজারের ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেটের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, ব্যাটগুলো এখনো দেশে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয় না। বাইরে থেকে আসে। ডেঙ্গুর প্রকোপের মধ্যে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়ে গেছে।
ওডোমস ও রোলঅন ক্রিমের চাহিদা বেশ বেড়েছে। মশা থেকে রক্ষা পেতে ক্রিমগুলো কিনছেন ক্রেতারা। বাজারে ওডোমস অয়েন্টমেন্ট ১০০ গ্রাম ক্রিম অন্য সময়ে ২০০ টাকার কম দামে বিক্রি হয়। এখন তার দাম বেড়ে হয়েছে ৩০০ টাকা। ক্রেতারা জানিয়েছেন, দাম বেশি দিয়েও ক্রিম পাওয়া যাচ্ছে না ওষুধের দোকানগুলোতে।
বাজারে মশা মারার স্প্রে ক্যানপ্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা দাম বেড়েছে। হিট ব্র্যান্ডের ৪৭৫ মিলি লিটারের স্প্রে ২৭০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই ব্র্যান্ডের ৮০০ মিলির স্প্রে ক্যান ৪২০ টাকা ছিল। তা বেড়ে ৪৫০ থেকে ৪৭০ টাকা হয়েছে। অন্যান্য ব্র্যান্ডের মধ্যে আগে ছোট স্প্রে ক্যান ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও তা এখন ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাওরান বাজার কিচেন মার্কেটে দ্বিতীয় তলার বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের মালিক সেলিম হোসেন বলেন, মশার স্প্রের বিক্রি দ্বিগুণ হয়েছে। আগে মাসে ২০ থেকে ২৫ কার্টন (প্রতিটিতে ১২টি করে) স্প্রে বিক্রি হতো। গত ৩ দিনেই প্রায় ৪০ কার্টন স্প্রে বিক্রি হয়েছে। অ্যারোসল ক্যানের দাম সামান্য বেড়েছে বলে জানান তিনি। অ্যারোসল ৪৭৫ এমএল ক্যানের দাম ২৬০ টাকা। আর ৮০০ এমএমল ক্যান ৪০০ টাকা।
এদিকে বিভিন্ন কোম্পানির প্রায় ৫০টি ব্র্যান্ডের কয়েল বাজারে আছে। প্রায় সব কোম্পানির কয়েলই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে চার-পাঁচ টাকার কয়েলের দাম হয়েছে ৮ টাকা। এ ছাড়া পাঁচ টাকার নিম কয়েল বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকায়। বিভিন্ন নামের বুস্টার শ্রেণিভুক্ত কয়েলের দাম ১২ থেকে বেড়ে ১৫ টাকা হয়েছে।
বাংলামোটরের বাসিন্দা নাসরিন বেগম বলেন, আগে শুধু রাতে ঘুমানোর আগে মশার কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতেন। ডেঙ্গুর কারণে এখন দিনের বেলায়ও কয়েল জ্বালিয়ে রাখেন।
আরেক ক্রেতা নাসিম হোসেন জানান, পরিবারের জন্য আগে প্রতি মাসে তিন প্যাকেট কয়েল কিনতাম ২৪০ টাকায়। এখন কয়েল চাহিদা আর দাম দুটোই বেড়েছে। মাসে এখন ৬-৭ প্যাকেট কয়েল লাগে।
No comments