গাজীপুরে গরু মোটাতাজাকরণে ফ্যাক্টরির উচ্ছিষ্ট ও ক্ষতিকর তুলা by ইকবাল আহমদ সরকার
‘ঈদুল
আজহা’কে সামনে রেখে গাজীপুরে ব্যস্ত সময় পার করছেন গরুর খামারি ও কৃষকরা।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে গরুর পরিচর্যা। তারা বলছেন, ক্ষতিকর
ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা
করছেন। তবে দ্রুত সময়ে মোটাতাজা করতে কোথাও ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট
ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। কোথাও গো-খাদ্য হিসেবে গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির
উচ্ছিষ্ট, পরিত্যক্ত ও ক্ষতিকর তুলা ইত্যাদি ব্যবহার করে মোটাতাজাকরণ করা
হচ্ছে। যাতে পশুর স্বাস্থ্য ও মানব স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। তবে
সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে যাতে পশু মোটাতাজাকরণ করা হয় তা নজরদারি করতে
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা মেডিকেল টিম গঠন করে জেলা জুড়ে মনিটরিং করছেন।
পশুর রোগ প্রতিশোধক ভ্যাকসিনও পর্যাপ্ত রয়েছে।
এবার গাজীপুরে পর্যাপ্ত সংখ্যক পশু লালন পালন হচ্ছে কোরবানির জন্য। সরকারি হিসেবে প্রায় অর্ধলক্ষ গরু এবার গাজীপুরের কয়েক হাজার ছোট-বড় খামারে মোটাতাজাকরণ ও লালন-পালন করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সলিম মোড় এলাকায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. তরিকুল ইসলামের নির্দেশে গত ২৪শে জুলাই মৎস্য খাদ্য ও পশুখাদ্য আইন, ২০১০ এর আওতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় গো-খাদ্য হিসেবে গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির উচ্ছিষ্ট, পরিত্যক্ত ও ক্ষতিকর তুলা বিক্রির অভিযোগে মকবুল নামে একজনকে আটক করা হয়। তাকে বর্ণিত পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করাসহ প্রাপ্ত উচ্ছিষ্ট তুলা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া তারেক নামের অপর এক ব্যবসায়ীর দোকানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান উচ্ছিষ্ট তুলা, তুলা মেশানোর মেশিন ও জেনারেটর জব্দ করা হয়। অভিযানের পূর্বেই তারেক পালিয়ে যয়। অভিযানের সময় আশেপাশে উপস্থিত জনগণকে উচ্ছিষ্ট তুলা গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হলে পশুস্বাস্থ্য, মানব স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে তার সম্পর্কে অবহিত করা হয় এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শামসুল আরেফিন। খামারি, কৃষক ও শ্রমিকরা জানান, ঈদে দেশীয় গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় খামারের পাশাপাশি গরু মোটাতাজা করছেন জেলার অনেক কৃষক। তবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং গতবার লাভ কিছুটা কম হাওয়ায় এবার খামারে গরু পালন কিছুটা কমেছে। এবার মাঝারি সাইজের গরু লালন পালন বেশি হচ্ছে। যেগুলোর দাম এক লাখ টাকার মতো। তারা মনে করেন, এক লাখ টাকার চেয়ে বেশি দামের পশু কোরবানি দেয়ার লোকের সংখ্যা খুবই কম। এছাড়াও আগের চেয়ে কোরবানির জন্য লোকজনের বাজেট কমে গেছে। খামারিরা বলছেন, এলাকায় বেশির ভাগ খামারি দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস-খড়ের পাশাপাশি খৈল, ভূষি খাওয়ানো হচ্ছে। খামারিরা বলছেন, দেশীয় পদ্ধতিতে গরু পালনে ব্যয় হয়েছে বেশি, কিন্তু বাজারমূল্যে লাভবান নয় তারা। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় গরু লালন পালনে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে খামারিকে।
সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে গরু লালন পালন করা হলে দেশি দানাদার খাদ্য ও ঘাসের পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শে ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামও দেয়া হচ্ছে। তবে দেশীয় ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পশু চাষাবাদে লাভ কম হওয়ায় এক শ্রেণির খামারি ও কৃষকরা বেশি লাভের আশায় ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার করেই মোটাতাজা করা হচ্ছে। বিভিন্নস্থানে বিক্রিও হচ্ছে এসব। ভেজাল খাবারও খাওয়ানো হচ্ছে কোথাও কোথাও। ঈদ আরো কাছে চলে আসলে এসবে ব্যবহার আরো বেড়ে যায়। এতে করে প্রকৃত খামারিরা লোকসানে পড়ে। তবে লোকসান এড়াতে দেশে যাতে অবৈধভাবে ভারতীয় গরু আসতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি বাড়াতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দীপক রঞ্জন রায় জানান, ঈদ সামনে রেখে প্রতিটি উপজেলায় তাদের কর্মীরা কাজ করছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রতিটি উপজেলায় মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে খামারগুলো। খেয়াল রাখা হচ্ছে, যাতে মোটাতাজাকরণে কোনো ধরনের ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করে। এছাড়াও খামারি ও কৃষকদের সঙ্গে জনসচেতনতামূলক সভা করাসহ নানা ভাবে সচেতন করা হচ্ছে, যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করা হয়। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, গাজীপুর মহানগর ও জেলার ছোট-বড় ৫ উপজেলায় ৫ হাজার ৪শ’ ৮০ জন খামার রয়েছে। এসব খামারে ৪৮ হাজার ৪৯৮টি গরু, মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ছাগল এবং ভেড়াও রয়েছে।
এবার গাজীপুরে পর্যাপ্ত সংখ্যক পশু লালন পালন হচ্ছে কোরবানির জন্য। সরকারি হিসেবে প্রায় অর্ধলক্ষ গরু এবার গাজীপুরের কয়েক হাজার ছোট-বড় খামারে মোটাতাজাকরণ ও লালন-পালন করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সলিম মোড় এলাকায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. তরিকুল ইসলামের নির্দেশে গত ২৪শে জুলাই মৎস্য খাদ্য ও পশুখাদ্য আইন, ২০১০ এর আওতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় গো-খাদ্য হিসেবে গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির উচ্ছিষ্ট, পরিত্যক্ত ও ক্ষতিকর তুলা বিক্রির অভিযোগে মকবুল নামে একজনকে আটক করা হয়। তাকে বর্ণিত পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করাসহ প্রাপ্ত উচ্ছিষ্ট তুলা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া তারেক নামের অপর এক ব্যবসায়ীর দোকানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান উচ্ছিষ্ট তুলা, তুলা মেশানোর মেশিন ও জেনারেটর জব্দ করা হয়। অভিযানের পূর্বেই তারেক পালিয়ে যয়। অভিযানের সময় আশেপাশে উপস্থিত জনগণকে উচ্ছিষ্ট তুলা গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হলে পশুস্বাস্থ্য, মানব স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে তার সম্পর্কে অবহিত করা হয় এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শামসুল আরেফিন। খামারি, কৃষক ও শ্রমিকরা জানান, ঈদে দেশীয় গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় খামারের পাশাপাশি গরু মোটাতাজা করছেন জেলার অনেক কৃষক। তবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং গতবার লাভ কিছুটা কম হাওয়ায় এবার খামারে গরু পালন কিছুটা কমেছে। এবার মাঝারি সাইজের গরু লালন পালন বেশি হচ্ছে। যেগুলোর দাম এক লাখ টাকার মতো। তারা মনে করেন, এক লাখ টাকার চেয়ে বেশি দামের পশু কোরবানি দেয়ার লোকের সংখ্যা খুবই কম। এছাড়াও আগের চেয়ে কোরবানির জন্য লোকজনের বাজেট কমে গেছে। খামারিরা বলছেন, এলাকায় বেশির ভাগ খামারি দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস-খড়ের পাশাপাশি খৈল, ভূষি খাওয়ানো হচ্ছে। খামারিরা বলছেন, দেশীয় পদ্ধতিতে গরু পালনে ব্যয় হয়েছে বেশি, কিন্তু বাজারমূল্যে লাভবান নয় তারা। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় গরু লালন পালনে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে খামারিকে।
সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে গরু লালন পালন করা হলে দেশি দানাদার খাদ্য ও ঘাসের পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শে ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামও দেয়া হচ্ছে। তবে দেশীয় ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পশু চাষাবাদে লাভ কম হওয়ায় এক শ্রেণির খামারি ও কৃষকরা বেশি লাভের আশায় ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার করেই মোটাতাজা করা হচ্ছে। বিভিন্নস্থানে বিক্রিও হচ্ছে এসব। ভেজাল খাবারও খাওয়ানো হচ্ছে কোথাও কোথাও। ঈদ আরো কাছে চলে আসলে এসবে ব্যবহার আরো বেড়ে যায়। এতে করে প্রকৃত খামারিরা লোকসানে পড়ে। তবে লোকসান এড়াতে দেশে যাতে অবৈধভাবে ভারতীয় গরু আসতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি বাড়াতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দীপক রঞ্জন রায় জানান, ঈদ সামনে রেখে প্রতিটি উপজেলায় তাদের কর্মীরা কাজ করছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রতিটি উপজেলায় মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে খামারগুলো। খেয়াল রাখা হচ্ছে, যাতে মোটাতাজাকরণে কোনো ধরনের ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করে। এছাড়াও খামারি ও কৃষকদের সঙ্গে জনসচেতনতামূলক সভা করাসহ নানা ভাবে সচেতন করা হচ্ছে, যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করা হয়। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, গাজীপুর মহানগর ও জেলার ছোট-বড় ৫ উপজেলায় ৫ হাজার ৪শ’ ৮০ জন খামার রয়েছে। এসব খামারে ৪৮ হাজার ৪৯৮টি গরু, মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ছাগল এবং ভেড়াও রয়েছে।
No comments