নির্বাচনের সময় বাংলাদেশ থেকে কাদের আনা হয়েছিল: বিজেপিকে মমতার প্রশ্ন
লোকসভা
নির্বাচনে বিজেপির নিরঙ্কুশ বিজয়ের নেপথ্যে ইভিএম জালিয়াতি ও বিদেশিদের
ইন্ধন রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়। সুনির্দিষ্ট নাম-পরিচয় উল্লেখ না করে তিনি দাবি করেছেন,
বাংলাদেশ থেকে মানুষ নিয়ে গিয়ে তাদের নির্বাচনে জালিয়াতির কাজে ব্যবহার
করেছে ক্ষমতাসীনরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে
মমতা এসব দাবি করেন।
সম্প্রতি শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচন, মোদির নিরঙ্কুশ বিজয়, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উত্থান ও তৃণমূলের বেশ কিছু আসন হারানোর ব্যাপারে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মমতা। বিজেপির আবারও বিপুল সংখ্যক আসন জিতে ক্ষমতায় আসা প্রসঙ্গে সঞ্চালক সুমন চট্টোপাধ্যায়ের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আরএসএস-এর এখনও ১ হাজার লোক বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান করছে। খোঁজ নিন না ওরা কত স্কুল চালায়। কোথা থেকে টাকা আসছে? কারা তাদের টাকা দিচ্ছে? ফরেনস ফান্ডস ইনভলভড। বাংলাদেশের বর্ডার থেকে ইলেকশনের সময় কারা এসছিলো মিটিং করতে?’প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি অভিযোগ করেন, ‘বাংলাদেশের বর্ডার থেকে অন্য ধর্মের লোক পাঠিয়েছে। কোন ধর্মের মানুষ আমি বলবো না।’
লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনাকে ঘিরে এর আগে-পরে বিরোধীরা বারবার ইভিএম জালিয়াতির আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছিল। গণনার আগে সে দেশের ২৩টি রাজনৈতিক দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এ ব্যাপারে আশঙ্কা জানিয়ে এসেছিল। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে এ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়েরের পদক্ষেপও নিয়েছিল বিরোধীরা। তবে সর্বোচ্চ আদালত সেসব অভিযোগ আমলে নেননি। এবিপির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মমতা অভিযোগ করেন, বিজেপি আগেই মেশিনে প্রোগ্রামিং করে রেখে দিয়েছিল। দেশজুড়ে ৩০০টি আসনে এবং পশ্চিমবঙ্গে ২৩টি আসনে প্রোগ্রামিং করে রেখেছিল তারা। তবে তার মধ্যেও তৃণমূল কংগ্রেস বেশি আসনে জিতে যায়। প্রোগ্রামিংয়ের কারণে বিজেপির আসলে ২৩টি আসনে জয়ের কথা ছিল। তবে তাদের দুর্ভাগ্য যে ২৮টি আসনে জয় পেয়েছে। নির্বাচনের আগেই ২৩টি আসনে জয় পাবে বলে বিজেপির দাবির কথা মনে করিযে দেন মমতা। নরেন্দ্র মোদি তার দল ৩০০টির বেশি আসন পাবে বলে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তা-ও উল্লেখ করেন তৃণমূল নেত্রী। প্রশ্ন করেন, ‘কীভাবে এ সংখ্যা মিলে গেল?’
মমতার অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় বাঙালিদের নামে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছিল বিজেপি। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ তৈরি করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তারা। মমতা বলেন ‘আসামে বিজেপি প্রচারণা চালিয়েছিল, সেখানে বাঙালিরা জিতলে রাজবংশীদের জমি কেড়ে নেবে। কুচবিহারে বাঙালিদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের লাগিয়ে দিয়েছিল বিজেপি, রাজবংশীদেরও লাগিয়ে দিয়েছিল। দার্জিলিংয়ে গিয়ে বলেছে গোর্খাল্যান্ড করবো। ওখানেও লাগিয়ে দিয়েছে। আবার বিভিন্ন জেলায় জেলায় হিন্দিভাষীদের সঙ্গে বাঙালিদের লাগিয়ে দিয়েছে।’
সম্প্রতি শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচন, মোদির নিরঙ্কুশ বিজয়, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উত্থান ও তৃণমূলের বেশ কিছু আসন হারানোর ব্যাপারে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মমতা। বিজেপির আবারও বিপুল সংখ্যক আসন জিতে ক্ষমতায় আসা প্রসঙ্গে সঞ্চালক সুমন চট্টোপাধ্যায়ের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আরএসএস-এর এখনও ১ হাজার লোক বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান করছে। খোঁজ নিন না ওরা কত স্কুল চালায়। কোথা থেকে টাকা আসছে? কারা তাদের টাকা দিচ্ছে? ফরেনস ফান্ডস ইনভলভড। বাংলাদেশের বর্ডার থেকে ইলেকশনের সময় কারা এসছিলো মিটিং করতে?’প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি অভিযোগ করেন, ‘বাংলাদেশের বর্ডার থেকে অন্য ধর্মের লোক পাঠিয়েছে। কোন ধর্মের মানুষ আমি বলবো না।’
লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনাকে ঘিরে এর আগে-পরে বিরোধীরা বারবার ইভিএম জালিয়াতির আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছিল। গণনার আগে সে দেশের ২৩টি রাজনৈতিক দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এ ব্যাপারে আশঙ্কা জানিয়ে এসেছিল। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে এ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়েরের পদক্ষেপও নিয়েছিল বিরোধীরা। তবে সর্বোচ্চ আদালত সেসব অভিযোগ আমলে নেননি। এবিপির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মমতা অভিযোগ করেন, বিজেপি আগেই মেশিনে প্রোগ্রামিং করে রেখে দিয়েছিল। দেশজুড়ে ৩০০টি আসনে এবং পশ্চিমবঙ্গে ২৩টি আসনে প্রোগ্রামিং করে রেখেছিল তারা। তবে তার মধ্যেও তৃণমূল কংগ্রেস বেশি আসনে জিতে যায়। প্রোগ্রামিংয়ের কারণে বিজেপির আসলে ২৩টি আসনে জয়ের কথা ছিল। তবে তাদের দুর্ভাগ্য যে ২৮টি আসনে জয় পেয়েছে। নির্বাচনের আগেই ২৩টি আসনে জয় পাবে বলে বিজেপির দাবির কথা মনে করিযে দেন মমতা। নরেন্দ্র মোদি তার দল ৩০০টির বেশি আসন পাবে বলে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তা-ও উল্লেখ করেন তৃণমূল নেত্রী। প্রশ্ন করেন, ‘কীভাবে এ সংখ্যা মিলে গেল?’
মমতার অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় বাঙালিদের নামে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছিল বিজেপি। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ তৈরি করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তারা। মমতা বলেন ‘আসামে বিজেপি প্রচারণা চালিয়েছিল, সেখানে বাঙালিরা জিতলে রাজবংশীদের জমি কেড়ে নেবে। কুচবিহারে বাঙালিদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের লাগিয়ে দিয়েছিল বিজেপি, রাজবংশীদেরও লাগিয়ে দিয়েছিল। দার্জিলিংয়ে গিয়ে বলেছে গোর্খাল্যান্ড করবো। ওখানেও লাগিয়ে দিয়েছে। আবার বিভিন্ন জেলায় জেলায় হিন্দিভাষীদের সঙ্গে বাঙালিদের লাগিয়ে দিয়েছে।’
No comments