প্রত্যাশার চেয়ে ৩০০০ কোটি ডলার কম আয় হবে হুয়াওয়ের
মার্কিন
বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় কিছুটা হলেও জেরবার চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই নিজেই তা স্বীকার করেছেন। হুয়াওয়ের
বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অবরোধ তীব্র হয়ে উঠার পর থেকে তাদের মোবাইল
ফোন বিক্রি গত এক মাসেই কমে গেছে ৪০ শতাংশ। হুয়াওয়ের সদর দপ্তরে দেওয়া এক
বক্তৃতায় ঝেংফেই আরও বলেছেন, আগামী দুই বছরে প্রত্যাশার চেয়েও ৩০০০ কোটি
ডলার কম আয় করবে তার প্রতিষ্ঠান। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
গত মাসে হুয়াওয়েকে একটি বিশেষ তালিকার অন্তর্ভূক্ত করে মার্কিন প্রশাসন। এ কারণে একটি বিশেষ লাইসেন্স না থাকলে আমেরিকান প্রতিষ্ঠানগুলো হুয়াওয়ের সঙ্গে কোনো ধরণের বাণিজ্যে জড়িত হতে পারবে না।
হুয়াওয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমা বিশ্ব সহ বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি জগতে, বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ খাতে, নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বিশ্বের বৃহত্তম টেলিযোগাযোগ যন্ত্রাংশ ও দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা এই প্রতিষ্ঠানটি দেশটির জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
মার্কিন প্রশাসনের যুক্তি, হুয়াওয়েকে ব্যবহার করে চীন সরকার পশ্চিমা ও মার্কিন নাগরিকদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাতে পারবে। কেননা চীনে সরকারের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার কোনো সামর্থ্য স্থানীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের নেই। তবে হুয়াওয়ে বলছে, তারা চীন সরকার থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন।
চীনের শেংঝেনে অবস্থিত হুয়াওয়ে সদরদপ্তরে এক প্যানেল আলোচনায় হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠাতা রেন বলেন, আগামী দুই বছরে হুয়াওয়ের উৎপাদন ৩০০০ কোটি ডলার কমানো হবে। ২০১৯ ও ২০২০ সালে হুয়াওয়ে ১০০০০ কোটি ডলারের পণ্য বিক্রি করবে। যদিও হুয়াওয়ে ২০১৯ সালে ১২৫০০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য বিক্রির আশা করেছিল। রেন অবশ্য বলছেন, ২০২১ সালে ফের ঘুরে দাঁড়াবে হুয়াওয়ে।
তিনি আরও বলেছেন, বিদেশে হুয়াওয়ের স্মার্টফোন বিক্রি কমলেও, চীনে তা আগের মতোই অব্যাহত আছে। তিনি আরও বলেন, গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে হুয়াওয়ের বিপুল ব্যয় কমবে না।
হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠাতা অবশ্য আগে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব উড়িয়ে দিয়েছেন। এবার তিনি বলছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব এমন কঠোর হবে, তা তারা কখনোই অনুমান করতে পারেননি। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের কর্ণধার গুগল ঘোষণা দেয়, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আপডেট হুয়াওয়েকে দেওয়া হবে না। ফলে হুয়াওয়ের নতুন স্মার্টফোনে গুগলের তীব্র জনপ্রিয় অনেক অ্যাপ থাকবে না। জাপানের সফটব্যাংক ও কেডিডিআই জানায়, তারা আপাতত হুয়াওয়ের নতুন ফোন বিক্রি করবে না। মার্কিন চিপ ডিজাইনার এআরএম জানায়, তাদেরকেও হুয়াওয়ের সঙ্গে ব্যবসা গুটাতে হবে।
গত মাসে হুয়াওয়েকে একটি বিশেষ তালিকার অন্তর্ভূক্ত করে মার্কিন প্রশাসন। এ কারণে একটি বিশেষ লাইসেন্স না থাকলে আমেরিকান প্রতিষ্ঠানগুলো হুয়াওয়ের সঙ্গে কোনো ধরণের বাণিজ্যে জড়িত হতে পারবে না।
হুয়াওয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমা বিশ্ব সহ বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি জগতে, বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ খাতে, নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বিশ্বের বৃহত্তম টেলিযোগাযোগ যন্ত্রাংশ ও দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা এই প্রতিষ্ঠানটি দেশটির জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
মার্কিন প্রশাসনের যুক্তি, হুয়াওয়েকে ব্যবহার করে চীন সরকার পশ্চিমা ও মার্কিন নাগরিকদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাতে পারবে। কেননা চীনে সরকারের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার কোনো সামর্থ্য স্থানীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের নেই। তবে হুয়াওয়ে বলছে, তারা চীন সরকার থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন।
চীনের শেংঝেনে অবস্থিত হুয়াওয়ে সদরদপ্তরে এক প্যানেল আলোচনায় হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠাতা রেন বলেন, আগামী দুই বছরে হুয়াওয়ের উৎপাদন ৩০০০ কোটি ডলার কমানো হবে। ২০১৯ ও ২০২০ সালে হুয়াওয়ে ১০০০০ কোটি ডলারের পণ্য বিক্রি করবে। যদিও হুয়াওয়ে ২০১৯ সালে ১২৫০০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য বিক্রির আশা করেছিল। রেন অবশ্য বলছেন, ২০২১ সালে ফের ঘুরে দাঁড়াবে হুয়াওয়ে।
তিনি আরও বলেছেন, বিদেশে হুয়াওয়ের স্মার্টফোন বিক্রি কমলেও, চীনে তা আগের মতোই অব্যাহত আছে। তিনি আরও বলেন, গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে হুয়াওয়ের বিপুল ব্যয় কমবে না।
হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠাতা অবশ্য আগে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব উড়িয়ে দিয়েছেন। এবার তিনি বলছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব এমন কঠোর হবে, তা তারা কখনোই অনুমান করতে পারেননি। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের কর্ণধার গুগল ঘোষণা দেয়, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আপডেট হুয়াওয়েকে দেওয়া হবে না। ফলে হুয়াওয়ের নতুন স্মার্টফোনে গুগলের তীব্র জনপ্রিয় অনেক অ্যাপ থাকবে না। জাপানের সফটব্যাংক ও কেডিডিআই জানায়, তারা আপাতত হুয়াওয়ের নতুন ফোন বিক্রি করবে না। মার্কিন চিপ ডিজাইনার এআরএম জানায়, তাদেরকেও হুয়াওয়ের সঙ্গে ব্যবসা গুটাতে হবে।
No comments