সাকিবকে দেখছে বিশ্ব
বিশ্বকাপ
ক্রিকেটে রেকর্ড রান অতিক্রম করার ক্ষেত্রে আবার বাংলাদেশের তারকা সেই
সাকিব আল হাসান। টানা চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলছেন তিনি। এক দশকেরও বেশি সময়
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডারদের অন্যতম তিনি- সেই খেতাবটি আবার জানান দিলেন।
এখন বাকি বিশ্ব তার দিকে তাকিয়ে আছে। সোমবার টনটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের
বিরুদ্ধে অবিস্মরণীয় জয়ের পর এসব কথা লিখেছে বার্তা সংস্থা এপি। আর সেই
রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ডেইলি মেইল সহ পশ্চিমা বিশ্বের বহু মিডিয়ায়। এবারের
বিশ্বকাপ যেন সাকিবময় হয়ে উঠেছে। যে বিশাল রানের পাহাড় বাংলাদেশের সামনে
দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তাতে দক্ষতার সঙ্গে, দায়িত্বশীলতার
সঙ্গে, অলরাউন্ডারের খেতাবকে সামনে ধরে, অতি শান্ত মাথায় তার মোকাবিলা করে
সাকিব বাংলাদেশকে তুলে এনেছেন এবার বিশ্বকাপের ৫ নম্বর সারিতে।
তার ভূয়সী প্রশংসা ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মুর্তজার মুখে। তিনি বলেন, এবার বিশ্বকাপে নিজেকে প্রমাণ করে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। প্রতিটি ম্যাচেই তিনি ভাল কিছু করছেন, যা ব্যতিক্রম। আশা করি এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
সাকিব আল হাসান এত বিশাল জয়ের পরেও তেমন উচ্ছ্বসিত ছিলেন না। কি হনু রে! এমন ভাবভঙ্গিও প্রকাশ পায় নি তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজে। তিনি আগাগোড়াই শান্ত ছিলেন। ঠান্ডা মাথায় সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। দলকে সামনে এগিয়ে নেয়ার কথা বলেছেন। এপি লিখেছে, টি টুয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিব ব্যাট করেন তিন নম্বরে। তিনি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৫ নম্বরে ব্যাট করেন। তিনি চেয়েছিলেন ৫ নম্বর থেকে উঠে এসে তিন নম্বরে ব্যাট করতে। কিন্তু জাতীয় দলের সাবেক কোচ চন্দিকা হাতুরুসিংহে তাকে সেই সুযোগ দেন নি। সাকিব যা চেয়েছিলেন তিনি তাকে সেই সুযোগ দেন নি। সাকিব বলেছেন, যদি আমি ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নামি তাহলে আমাকে ব্যাট করতে হবে ৩০তম বা ৪০তম ওভারে। মনে হয় আমার জন্য এটা উপযুক্ত নয়।
মানসিক শক্তির বলে তিনি ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছেন। কারণ, তিনি ব্যাট করার জন্য অনেকটা সময় চান। তিন নম্বরে নামলে অনেকটা ওভার তিনি খেলতে পারেন। আর তাতে দলের রান উঠে যেতে পারে অনেক উপরে। ২০১৮ সালের শুরু থেকে তার ২০টি ইনিংসের গড় রান ৬০.০৫। আর সোমবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তিনি টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। অপরাজিত ১২৪ রান করে ৭ উইকেটে পরাজিত করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
এক্ষেত্রে আরেক তারকা খেলোয়াড় তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের চমৎকার সূচনাকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। ৩২২ রানকে তাড়া করতে তারাও ভাল ভূমিকা পালন করেছেন। সাকিব মাঠে নামেন সপ্তম ওভারে। তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করছিল বাংলাদেশের ওপর এবং বাংলাদেশকে তারা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছিল। কিন্তু সাকিব নেমে যেন সব গুঁড়িয়ে দিতে থাকেন। যখন তার ব্যক্তিগত রান ২৩, তখন তিনি আরেকটি রেকর্ড স্পর্শ করেন। দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে ৬০০০ রান করা বাংলাদেশী খেলোয়াড়ের তালিকায় তার নাম জ্বল জ্বল করে জ্বলে ওঠে। আরো একটি রেকর্ড গড়েন তিনি। যখন ব্যক্তিগত ৮৪ রান তখন এবার বিশ্বকাপের এ পর্যন্ত হয়ে যাওয়া খেলায় সব খেলোয়াড়কে পিছনে ফেলে তিনি হয়ে ওঠেন সবচেয়ে বেশি রান করা খেলোয়াড়। টনটনের বিশাল স্ক্রিনে যখন এক নম্বরে সাকিবের নামটি দেখানো হচ্ছিল, তখন গ্যালারিতে বাংলাদেশীদের সে কি উচ্ছ্বাস। কভার বাউন্ডারি খেলে ৮৩ বলে তিনি পূরণ করেন শত রান। এটাই একদিনের নবম এবং সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি। এর আগে ইংল্যান্ডের কাছে হারলেও তিনি ১২১ রান পূর্ণ করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পুল অ্যান্ড কাট করে দিয়ে তিনি অপরাজিত ১২৪ রান করেন। এর মধ্যে ১৬টি বাউন্ডারি। তাকে এক্ষেত্রে যুৎসই সহযোগিতা করেন পার্টনার লিটন দাস। এই লিটন দাস অষ্টম বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন ৯৪ রানে।
এমন বিজয়ে তখন বাংলার ঘরে ঘরে আনন্দ। টনটনের স্টেডিয়ামে যেসব বাংলাদেশী উপস্থিত হয়েছিলেন তাদের বুকটা গর্বে ভরে উঠেছিল। আর সাকিব বললেন, আমি কখনোই তাড়াহুড়ো করি নি। খুব বেশি ভাল বল খেলি নি। খারাপ বলগুলোকে ছেড়ে দেয়ার ক্ষেত্রে আমি যথেষ্ট ধৈর্য্য দেখিয়েছি। আমি বলের ওপর লক্ষ্য রাখছিলাম। আমার তখন একটি জিনিসই নিশ্চিত হওয়ার ছিল। তা হলো, আমাকে ফ্রেস থাকতে হবে। অবসাদমুক্ত থাকতে হবে। যা ঘটতে যাচ্ছে তাকে উপভোগ করতে হবে। আর আমার গেম প্লানের দিকে মনোযোগ স্থির রাখতে হবে।
বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া লিটন দাসেরও প্রশংসা করলেন সাকিব। ১৯তম ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ যখন ১৩৩ রান ৩ উইকেটে, তখন সাকিবকে সঙ্গ দিতে মাঠে নামেন লিটন। তাকে সাকিব বলেছিলেন, এ অবস্থা থেকে তারা জিততে পারেন। লিটন দাস সম্পর্কে সাকিব বলেন, সে কখনো ওই রানের পাহাড় টকপানোর জন্য আমার ওপর চাপ প্রয়োগ করে নি। চারটি ম্যাচ মিস করার পর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে খেলা, এটি একজন খেলোয়াড়ের জন্য সহজ কাজ নয়। কিন্তু অত্যন্ত মেধার সঙ্গে সে সেই চাপ মোকাবিলা করেছে। সাকিব বলেন, আমি জানি না, এ যাবত ব্যাট করার মধ্যে এ দিনের ব্যাটিং সেরা কিনা। তবে ভালভাবেই অগ্রসর হচ্ছে। আশা করি অব্যাহত থাকবে এ ধারা।
তার ভূয়সী প্রশংসা ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মুর্তজার মুখে। তিনি বলেন, এবার বিশ্বকাপে নিজেকে প্রমাণ করে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। প্রতিটি ম্যাচেই তিনি ভাল কিছু করছেন, যা ব্যতিক্রম। আশা করি এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
সাকিব আল হাসান এত বিশাল জয়ের পরেও তেমন উচ্ছ্বসিত ছিলেন না। কি হনু রে! এমন ভাবভঙ্গিও প্রকাশ পায় নি তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজে। তিনি আগাগোড়াই শান্ত ছিলেন। ঠান্ডা মাথায় সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। দলকে সামনে এগিয়ে নেয়ার কথা বলেছেন। এপি লিখেছে, টি টুয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিব ব্যাট করেন তিন নম্বরে। তিনি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৫ নম্বরে ব্যাট করেন। তিনি চেয়েছিলেন ৫ নম্বর থেকে উঠে এসে তিন নম্বরে ব্যাট করতে। কিন্তু জাতীয় দলের সাবেক কোচ চন্দিকা হাতুরুসিংহে তাকে সেই সুযোগ দেন নি। সাকিব যা চেয়েছিলেন তিনি তাকে সেই সুযোগ দেন নি। সাকিব বলেছেন, যদি আমি ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নামি তাহলে আমাকে ব্যাট করতে হবে ৩০তম বা ৪০তম ওভারে। মনে হয় আমার জন্য এটা উপযুক্ত নয়।
মানসিক শক্তির বলে তিনি ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছেন। কারণ, তিনি ব্যাট করার জন্য অনেকটা সময় চান। তিন নম্বরে নামলে অনেকটা ওভার তিনি খেলতে পারেন। আর তাতে দলের রান উঠে যেতে পারে অনেক উপরে। ২০১৮ সালের শুরু থেকে তার ২০টি ইনিংসের গড় রান ৬০.০৫। আর সোমবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তিনি টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। অপরাজিত ১২৪ রান করে ৭ উইকেটে পরাজিত করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
এক্ষেত্রে আরেক তারকা খেলোয়াড় তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের চমৎকার সূচনাকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। ৩২২ রানকে তাড়া করতে তারাও ভাল ভূমিকা পালন করেছেন। সাকিব মাঠে নামেন সপ্তম ওভারে। তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করছিল বাংলাদেশের ওপর এবং বাংলাদেশকে তারা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছিল। কিন্তু সাকিব নেমে যেন সব গুঁড়িয়ে দিতে থাকেন। যখন তার ব্যক্তিগত রান ২৩, তখন তিনি আরেকটি রেকর্ড স্পর্শ করেন। দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে ৬০০০ রান করা বাংলাদেশী খেলোয়াড়ের তালিকায় তার নাম জ্বল জ্বল করে জ্বলে ওঠে। আরো একটি রেকর্ড গড়েন তিনি। যখন ব্যক্তিগত ৮৪ রান তখন এবার বিশ্বকাপের এ পর্যন্ত হয়ে যাওয়া খেলায় সব খেলোয়াড়কে পিছনে ফেলে তিনি হয়ে ওঠেন সবচেয়ে বেশি রান করা খেলোয়াড়। টনটনের বিশাল স্ক্রিনে যখন এক নম্বরে সাকিবের নামটি দেখানো হচ্ছিল, তখন গ্যালারিতে বাংলাদেশীদের সে কি উচ্ছ্বাস। কভার বাউন্ডারি খেলে ৮৩ বলে তিনি পূরণ করেন শত রান। এটাই একদিনের নবম এবং সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি। এর আগে ইংল্যান্ডের কাছে হারলেও তিনি ১২১ রান পূর্ণ করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পুল অ্যান্ড কাট করে দিয়ে তিনি অপরাজিত ১২৪ রান করেন। এর মধ্যে ১৬টি বাউন্ডারি। তাকে এক্ষেত্রে যুৎসই সহযোগিতা করেন পার্টনার লিটন দাস। এই লিটন দাস অষ্টম বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন ৯৪ রানে।
এমন বিজয়ে তখন বাংলার ঘরে ঘরে আনন্দ। টনটনের স্টেডিয়ামে যেসব বাংলাদেশী উপস্থিত হয়েছিলেন তাদের বুকটা গর্বে ভরে উঠেছিল। আর সাকিব বললেন, আমি কখনোই তাড়াহুড়ো করি নি। খুব বেশি ভাল বল খেলি নি। খারাপ বলগুলোকে ছেড়ে দেয়ার ক্ষেত্রে আমি যথেষ্ট ধৈর্য্য দেখিয়েছি। আমি বলের ওপর লক্ষ্য রাখছিলাম। আমার তখন একটি জিনিসই নিশ্চিত হওয়ার ছিল। তা হলো, আমাকে ফ্রেস থাকতে হবে। অবসাদমুক্ত থাকতে হবে। যা ঘটতে যাচ্ছে তাকে উপভোগ করতে হবে। আর আমার গেম প্লানের দিকে মনোযোগ স্থির রাখতে হবে।
বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া লিটন দাসেরও প্রশংসা করলেন সাকিব। ১৯তম ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ যখন ১৩৩ রান ৩ উইকেটে, তখন সাকিবকে সঙ্গ দিতে মাঠে নামেন লিটন। তাকে সাকিব বলেছিলেন, এ অবস্থা থেকে তারা জিততে পারেন। লিটন দাস সম্পর্কে সাকিব বলেন, সে কখনো ওই রানের পাহাড় টকপানোর জন্য আমার ওপর চাপ প্রয়োগ করে নি। চারটি ম্যাচ মিস করার পর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে খেলা, এটি একজন খেলোয়াড়ের জন্য সহজ কাজ নয়। কিন্তু অত্যন্ত মেধার সঙ্গে সে সেই চাপ মোকাবিলা করেছে। সাকিব বলেন, আমি জানি না, এ যাবত ব্যাট করার মধ্যে এ দিনের ব্যাটিং সেরা কিনা। তবে ভালভাবেই অগ্রসর হচ্ছে। আশা করি অব্যাহত থাকবে এ ধারা।
No comments