ইউরেনিয়াম মজুত সীমা ১০ দিনেই অতিক্রমের হুমকি ইরানের
দশ
দিনের মধ্যে ইউরেনিয়ামের মজুত সীমা অতিক্রমের হুমকি দিয়েছে তেহরান। আজ
সোমবার ইরান এ হুমকি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে
ইরান নতুন এ হুমকি দিলেও তারা জানিয়েছে, ইউরোপীয় দেশগুলোর হাতে এখনো সময়
আছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র-ইরান উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। গত বৃহস্পতিবার ওমান উপসাগরে দুটি তেলের ট্যাংকারে হওয়া হামলার দায় যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র সৌদি আরবও আঙুল তুলেছে ইরানের দিকে। তবে ইরান এ দায় অস্বীকার করেছে। গুরুত্বপূর্ণ তেল পরিবহন রুটে হওয়া সর্বশেষ এ হামলার সূত্র ধরেই নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে ইরান ইউরেনিয়াম পুনঃ সমৃদ্ধকরণের হুমকি দিল। তবে তারা এ ক্ষেত্রে উত্তেজনা প্রশমনের একটি রাস্তা খোলা রেখেছে। তারা বলেছে, ইউরোপের দেশগুলো যদি এই সময়ের মধ্যে একটি পরমাণু চুক্তি সম্পাদনের পথে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়, তবে সংকটের সমাধান অন্যভাবে হতে পারে।
ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি বলেছেন, ‘(ইউরেনিয়াম) সমৃদ্ধকরণ হার আমরা চারগুণ করেছি। সম্প্রতি এ হার আমরা আরও বাড়িয়েছি, যাতে দশ দিনের মধ্যেই আমরা বেঁধে দেওয়া ৩০০ কেজি সীমা অতিক্রম করতে পারি। ইউরোপীয় দেশগুলো সক্রিয় হলে অবশ্য এখনো সময় আছে। ইরানের ইউরেনিয়াম মজুত বৃদ্ধির হার প্রতিদিন আরও বাড়ছে। চুক্তি সুরক্ষিত রাখাটা যদি (ইউরোপ) তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়, তবে তাদের উচিত সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। তারা যত দ্রুত প্রতিশ্রুত পদক্ষেপ নেবে, পরিস্থিতিও তত দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে।’
উল্লেখ্য, গত মে মাসে তেহরান ছয় জাতি পরমাণু চুক্তি থেকে কিছুটা সরে আসার ঘোষণা দেয়। ২০১৫ সালে হওয়া ওই চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়া ও নতুন করে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিক্রিয়াতেই এ পদক্ষেপ নেয় ইরান।
ওই চুক্তি অনুযায়ী ইরান তার পরমাণু অস্ত্র প্রকল্প থেকে সরে আসার অংশ হিসেবে ইউরেনিয়াম মজুত কমানোর কথা। চুক্তিতে ১৫ বছরের জন্য ইরান নিম্নমানের ইউরেনিয়ামের (ইউরেনিয়াম-২৩৫ আইসোটোপের পরিমাণ যেখানে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ) মজুত ৩০০ কেজিতে সীমিত রাখার কথা বলা হয়েছে। এর বিনিময়ে ইরানের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল চুক্তির বাকি পাঁচ অংশীদারের পক্ষ থেকে। চুক্তি অনুযায়ী ইরান তার প্রতিশ্রুতি পালন করলেও যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে অভিযোগ এনে গত বছর নিজেকে চুক্তি থেকে সরিয়ে নেয়।
ইরানের পক্ষ থেকে ইউরোপকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানানো হলেও ইউরোপ এ ক্ষেত্রে তাদের নিরুপায় অবস্থার কথা প্রকারান্তরে জানিয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় ইরান বলেছে, মে মাসে যে ষাট দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তা শেষ হওয়ার পর তারা আরও ষাট দিন সময়ের প্রত্যাশা করতে পারে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র-ইরান উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। গত বৃহস্পতিবার ওমান উপসাগরে দুটি তেলের ট্যাংকারে হওয়া হামলার দায় যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র সৌদি আরবও আঙুল তুলেছে ইরানের দিকে। তবে ইরান এ দায় অস্বীকার করেছে। গুরুত্বপূর্ণ তেল পরিবহন রুটে হওয়া সর্বশেষ এ হামলার সূত্র ধরেই নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে ইরান ইউরেনিয়াম পুনঃ সমৃদ্ধকরণের হুমকি দিল। তবে তারা এ ক্ষেত্রে উত্তেজনা প্রশমনের একটি রাস্তা খোলা রেখেছে। তারা বলেছে, ইউরোপের দেশগুলো যদি এই সময়ের মধ্যে একটি পরমাণু চুক্তি সম্পাদনের পথে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়, তবে সংকটের সমাধান অন্যভাবে হতে পারে।
ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি বলেছেন, ‘(ইউরেনিয়াম) সমৃদ্ধকরণ হার আমরা চারগুণ করেছি। সম্প্রতি এ হার আমরা আরও বাড়িয়েছি, যাতে দশ দিনের মধ্যেই আমরা বেঁধে দেওয়া ৩০০ কেজি সীমা অতিক্রম করতে পারি। ইউরোপীয় দেশগুলো সক্রিয় হলে অবশ্য এখনো সময় আছে। ইরানের ইউরেনিয়াম মজুত বৃদ্ধির হার প্রতিদিন আরও বাড়ছে। চুক্তি সুরক্ষিত রাখাটা যদি (ইউরোপ) তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়, তবে তাদের উচিত সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। তারা যত দ্রুত প্রতিশ্রুত পদক্ষেপ নেবে, পরিস্থিতিও তত দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে।’
উল্লেখ্য, গত মে মাসে তেহরান ছয় জাতি পরমাণু চুক্তি থেকে কিছুটা সরে আসার ঘোষণা দেয়। ২০১৫ সালে হওয়া ওই চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়া ও নতুন করে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিক্রিয়াতেই এ পদক্ষেপ নেয় ইরান।
ওই চুক্তি অনুযায়ী ইরান তার পরমাণু অস্ত্র প্রকল্প থেকে সরে আসার অংশ হিসেবে ইউরেনিয়াম মজুত কমানোর কথা। চুক্তিতে ১৫ বছরের জন্য ইরান নিম্নমানের ইউরেনিয়ামের (ইউরেনিয়াম-২৩৫ আইসোটোপের পরিমাণ যেখানে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ) মজুত ৩০০ কেজিতে সীমিত রাখার কথা বলা হয়েছে। এর বিনিময়ে ইরানের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল চুক্তির বাকি পাঁচ অংশীদারের পক্ষ থেকে। চুক্তি অনুযায়ী ইরান তার প্রতিশ্রুতি পালন করলেও যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে অভিযোগ এনে গত বছর নিজেকে চুক্তি থেকে সরিয়ে নেয়।
ইরানের পক্ষ থেকে ইউরোপকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানানো হলেও ইউরোপ এ ক্ষেত্রে তাদের নিরুপায় অবস্থার কথা প্রকারান্তরে জানিয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় ইরান বলেছে, মে মাসে যে ষাট দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তা শেষ হওয়ার পর তারা আরও ষাট দিন সময়ের প্রত্যাশা করতে পারে না।
No comments