বিশেষ বরাদ্দের চাল-গমের জন্য তদবিরবাজদের ভিড় by দীন ইসলাম
অর্থ
বছরের শেষ। জুন ক্লোজিং চলছে। এ কারণে ‘বিশেষ বরাদ্দ’ নিতে দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে তদবিরবাজদের রীতিমতো ভিড় লেগেছে। এ
মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও সিনিয়র সচিবের দপ্তরে গতকাল দিনভর
তদবিরবাজদের আনাগোনা দেখা যায়। তদবিরবাজদের যন্ত্রণায় রীতিমতো অতিষ্ঠ
তারা। তদবিরবাজদের তালিকায় রাজনৈতিক নেতাকর্মী থেকে শুরু করে পেশাজীবীরাও
রয়েছেন। পেশাজীবী কয়েকটি সংগঠন তালিকা ধরিয়ে দিয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে
জানা গেছে। এসব তদবির কিছু আমলে নিতে গিয়ে এখন দুর্যোগ মন্ত্রণালয়কে
মধ্যরাত অবধি কাজ করতে হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে গতকাল সরজমিন দেখা যায়, তদবিরকারীদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগসহ মহাজোটের শরিক অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। অনেকে আসেন নিজ এলাকার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে। অনেককে আবার নিজ আসনের সংসদ সদস্যের ডিও লেটার নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে আসতে দেখা যায়। এর বাইরে আরও অনেক তদবিরকারী রয়েছেন, যারা নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয় দিলেও বরাবরই এরা ‘পেশাদার তদবিরবাজ’ হিসেবে পরিচিত। মন্ত্রীর এক ব্যক্তিগত কর্মকর্তার রুমে দলবদ্ধভাবে কয়েক জন পেশাজীবিকে চাল, গম বরাদ্দ নিয়ে আলাপ করতে দেখা যায়। তদবিরবাজদের ভীড় সর্ম্পকে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল মানবজমিনকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের কাজ জেলা পর্যায়ে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। তাই তদবিরবাজদের ভীড় অনেক কমে গেছে। এখন যা দেখা যাচ্ছে এ রকম সব সময়ই থাকে। মধ্য রাত পর্যন্ত কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রয়োজনেই রাতে কাজ করতে হয়। এটা এমন কিছু নয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা বা অন্য কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আবেদন করছে। এছাড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রকল্প বানিয়ে অনেকে মন্ত্রণালয়ে এসে ওই সব কাগজপত্র জমা দিচ্ছেন। এসব কাগজপত্রের ভিত্তিতে চাল বা গম বরাদ্দ পেতে অনেকেই আবেদন করছেন। পাশাপাশি করছেন তদবির। গতকাল তদবির করতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বরাদ্দ পেতে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। তাই বরাদ্দ পেতে তাদের কোন ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হবে না। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ বকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দ এরই মধ্যে বাতিল করা হয়েছে। ওই অর্থ দিয়ে এ বছর থেকে গৃহহীন মানুষের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘর তৈরি করে দেবে সরকার। আগামী পাঁচ বছরে এ বরাদ্দের তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে দরিদ্রদের এক লাখ ২৫ হাজার নতুন ঘর তৈরি করে দেয়া হবে। মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, প্রতি ছয় মাসে টিআর খাতে ২০০ কোটি টাকা এবং কাবিটা খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় অর্থ বিভাগ। চলতি বছর দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষের জন্য ৬৪ জেলায় ৬৪ হাজার ঘর নির্মাণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে প্রতি জেলায় গড়ে প্রায় ১৮৭টি করে ৬৪ জেলায় ১১ হাজার ৪০৬টি নতুন ঘর নির্মাণ হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫০০ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে থাকবে দুটি রুম, একটি করিডোর, একটি বাথরুম ও একটি রান্নাঘর। দুর্যোগসহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে সোলার সিস্টেম ও বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৮ হাজার টাকা। সিনিয়র সচিব শাহ কামাল জানান, এ বছর থেকে টিআর ও কাবিটার বরাদ্দ দিয়ে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। এজন্য তদবির অর্ধেকের বেশি কমে গেছে। আগামীতে মন্ত্রণালয়ের আরও কিছু কাজ কমিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে গতকাল সরজমিন দেখা যায়, তদবিরকারীদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগসহ মহাজোটের শরিক অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। অনেকে আসেন নিজ এলাকার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে। অনেককে আবার নিজ আসনের সংসদ সদস্যের ডিও লেটার নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে আসতে দেখা যায়। এর বাইরে আরও অনেক তদবিরকারী রয়েছেন, যারা নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয় দিলেও বরাবরই এরা ‘পেশাদার তদবিরবাজ’ হিসেবে পরিচিত। মন্ত্রীর এক ব্যক্তিগত কর্মকর্তার রুমে দলবদ্ধভাবে কয়েক জন পেশাজীবিকে চাল, গম বরাদ্দ নিয়ে আলাপ করতে দেখা যায়। তদবিরবাজদের ভীড় সর্ম্পকে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল মানবজমিনকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের কাজ জেলা পর্যায়ে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। তাই তদবিরবাজদের ভীড় অনেক কমে গেছে। এখন যা দেখা যাচ্ছে এ রকম সব সময়ই থাকে। মধ্য রাত পর্যন্ত কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রয়োজনেই রাতে কাজ করতে হয়। এটা এমন কিছু নয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা বা অন্য কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আবেদন করছে। এছাড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রকল্প বানিয়ে অনেকে মন্ত্রণালয়ে এসে ওই সব কাগজপত্র জমা দিচ্ছেন। এসব কাগজপত্রের ভিত্তিতে চাল বা গম বরাদ্দ পেতে অনেকেই আবেদন করছেন। পাশাপাশি করছেন তদবির। গতকাল তদবির করতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বরাদ্দ পেতে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। তাই বরাদ্দ পেতে তাদের কোন ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হবে না। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ বকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দ এরই মধ্যে বাতিল করা হয়েছে। ওই অর্থ দিয়ে এ বছর থেকে গৃহহীন মানুষের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘর তৈরি করে দেবে সরকার। আগামী পাঁচ বছরে এ বরাদ্দের তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে দরিদ্রদের এক লাখ ২৫ হাজার নতুন ঘর তৈরি করে দেয়া হবে। মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, প্রতি ছয় মাসে টিআর খাতে ২০০ কোটি টাকা এবং কাবিটা খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় অর্থ বিভাগ। চলতি বছর দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষের জন্য ৬৪ জেলায় ৬৪ হাজার ঘর নির্মাণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে প্রতি জেলায় গড়ে প্রায় ১৮৭টি করে ৬৪ জেলায় ১১ হাজার ৪০৬টি নতুন ঘর নির্মাণ হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫০০ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে থাকবে দুটি রুম, একটি করিডোর, একটি বাথরুম ও একটি রান্নাঘর। দুর্যোগসহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে সোলার সিস্টেম ও বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৮ হাজার টাকা। সিনিয়র সচিব শাহ কামাল জানান, এ বছর থেকে টিআর ও কাবিটার বরাদ্দ দিয়ে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। এজন্য তদবির অর্ধেকের বেশি কমে গেছে। আগামীতে মন্ত্রণালয়ের আরও কিছু কাজ কমিয়ে দেয়া হবে।
No comments