ঈদে ২৫৬ দুর্ঘটনায় ২৯৮ মৃত্যু -যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদন
এবছর
ঈদের ছুটিতে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ২৫৬টি দুর্ঘটনায় ২৯৮ জন নিহত হয়েছে। আহত
হয়েছে ৮৬০ জন। এরমধ্যে সড়ক-মহাসড়কে ২৩২টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ২৭৩ জন, আহত
হয়েছে ৮৪৯ জন। যার বেশির ভাগ দুর্ঘটনা মোটরসাইকেল ও গাড়িচাপায় ঘটেছে। তবে
বিগত বছরের তুলনায় এবছর দুর্ঘটনা কমেছে এবং ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে বলে
জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঈদুল ফিতরের যাত্রায় দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি ৩রা মে থেকে ১১ই জুন পর্যন্ত মোট ১৩ দিনের দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনায় নিহত-আহতের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। বিগত ঈদের চেয়ে এবার রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো হয়েছে, নৌ পথে কয়েকটি নতুন লঞ্চ যুক্ত হয়েছে, রেলপথেও বেশ কয়েক জোড়া নতুন রেল ও বগি সংযুক্ত হয়েছে। এছাড়া জনসতেনতাও আগের তুলনায় বেড়েছে।
এবারের ঈদের লম্বা ছুটি থাকায় জনসাধারণ তাদের পরিবারকে আগেই বাড়ি পাঠিয়েছে। এরপরও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, চাঁদাবাজি, নৈরাজ্য চলেছে পথে পথে। মোজাম্মেল চৌধুরী বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ১৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ, মৃত্যু ২৪ দশমিক ১৭ শতাংশ ও আহত হওয়ার ঘটনা ৪৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমেছে। এবছর মোট সংঘটিত ২৩২টি সড়ক দুর্ঘটনার ৭৬টি ঘটেছে মোটরসাইকেলের সঙ্গে অন্যান্য যানবাহনের সংঘর্ষে, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩ শতাংশ। মোট নিহতের ৩০ শতাংশ এবং মোট আহতের ১০ শতাংশ। এটা এর আগে ছিল না। মোটরসাইকেলে ঈদ যাত্রা এবছর ব্যাপক হারে লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে পথচারীকে গাড়ী চাপা দেয়ার ঘটনা ঘটছে প্রায় ৪৫ শতাংশ। আগামী ঈদে এ দুটি ঘটনা এড়ানো সম্ভব হলে ঈদের দুর্ঘটনার ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
প্রতিবেদনে তুলে ধরে সংগঠনের মহাসচিব বলেন, ঈদ যাত্রার ১৩ দিনে ৪০ জন চালক, ২০ জন শ্রমিক, ৬৮ জন নারী, ৩৩ জন শিশু, ২৪ জন ছাত্র-ছাত্রী, ২ জন চিকিৎসক, ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ৩ জন রাজনৈতিক নেতা, ৯১২ জন পথচারী সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। এছাড়া এই সময়ে রেল পথে ট্রেনে কাটা পড়ে ৮টি, ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ২টি, ট্রেন যানবাহন সংঘর্ষে ১ টি, ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ২ টি ঘটনায় মোট ১৩ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন। একই সময়ে নৌ-পথে ১১টি ছোটখাট বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত, ৩ জন নিখোঁজ ও ৮ জন আহত হয়েছেন।
সড়ক মহাসড়কে ঈদে দুর্ঘটনার কারণ বৃদ্ধি সম্পর্কে মোজাম্মেল চৌধুরী বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন। অদক্ষ চালক ও হেলপার দ্বারা যানবাহন চালানো। মহাসড়কে অটোরিক্সা, ব্যাটারিচালিত রিক্সা, নসিমন-করিমন ও মোটরসাইকেল অবাধে চলাচল। বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানো। সড়ক-মহাসড়কে ফুটপাত না থাকা। পণ্যবাহী যানবাহন বন্ধের নিষেধাজ্ঞা অমান্য ও মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা এসব দুর্ঘটনার জন্য অধিক দায়ী। তবে ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা হ্রাস করতে সরকারের কাছে ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, চালক প্রশিক্ষণ, লাইসেন্স ইস্যু পদ্ধতি আধুনিকায়ন, যানবাহনের ফিটনেস প্রদান পদ্ধতি আধুনিকায়ন, রাস্তায় ফুটপাত-আন্ডারপাস-ওভারপাস নির্মাণ, জেব্রা ক্রসিং অংকন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও গবেষণা এবং ডিজিটাল ট্রাফিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। তিনি বলেন, সড়ক নিরাপত্তার জন্য বাজেটে কোনো ধরনের বরাদ্ধ দেয়া হয় না। যা আছে তা সড়ক উন্নয়নের জন্য। চলতি বাজেটে সড়ক নিরাপত্তা খাতে ১০,০০০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ সংযুক্তির দাবি করছি। সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, মোটরসাইকেল হালকা যান। লম্বা পথে গেলে চালকের চাপ বেড়ে যায়। এছাড়া বড় গাড়ি চলায় তাদের উপর আলাদা চাপ থাকে। তাদের জন্য মহাসড়কে আলাদা কোনো লেন নেই। এটা আগে ছিল না। এ কারণে দুর্ঘটনা ব্যাপক বাড়ছে। এটার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক ও নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ প্রমুখ।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঈদুল ফিতরের যাত্রায় দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি ৩রা মে থেকে ১১ই জুন পর্যন্ত মোট ১৩ দিনের দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনায় নিহত-আহতের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। বিগত ঈদের চেয়ে এবার রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো হয়েছে, নৌ পথে কয়েকটি নতুন লঞ্চ যুক্ত হয়েছে, রেলপথেও বেশ কয়েক জোড়া নতুন রেল ও বগি সংযুক্ত হয়েছে। এছাড়া জনসতেনতাও আগের তুলনায় বেড়েছে।
এবারের ঈদের লম্বা ছুটি থাকায় জনসাধারণ তাদের পরিবারকে আগেই বাড়ি পাঠিয়েছে। এরপরও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, চাঁদাবাজি, নৈরাজ্য চলেছে পথে পথে। মোজাম্মেল চৌধুরী বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ১৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ, মৃত্যু ২৪ দশমিক ১৭ শতাংশ ও আহত হওয়ার ঘটনা ৪৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমেছে। এবছর মোট সংঘটিত ২৩২টি সড়ক দুর্ঘটনার ৭৬টি ঘটেছে মোটরসাইকেলের সঙ্গে অন্যান্য যানবাহনের সংঘর্ষে, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩ শতাংশ। মোট নিহতের ৩০ শতাংশ এবং মোট আহতের ১০ শতাংশ। এটা এর আগে ছিল না। মোটরসাইকেলে ঈদ যাত্রা এবছর ব্যাপক হারে লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে পথচারীকে গাড়ী চাপা দেয়ার ঘটনা ঘটছে প্রায় ৪৫ শতাংশ। আগামী ঈদে এ দুটি ঘটনা এড়ানো সম্ভব হলে ঈদের দুর্ঘটনার ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
প্রতিবেদনে তুলে ধরে সংগঠনের মহাসচিব বলেন, ঈদ যাত্রার ১৩ দিনে ৪০ জন চালক, ২০ জন শ্রমিক, ৬৮ জন নারী, ৩৩ জন শিশু, ২৪ জন ছাত্র-ছাত্রী, ২ জন চিকিৎসক, ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ৩ জন রাজনৈতিক নেতা, ৯১২ জন পথচারী সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। এছাড়া এই সময়ে রেল পথে ট্রেনে কাটা পড়ে ৮টি, ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ২টি, ট্রেন যানবাহন সংঘর্ষে ১ টি, ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ২ টি ঘটনায় মোট ১৩ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন। একই সময়ে নৌ-পথে ১১টি ছোটখাট বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত, ৩ জন নিখোঁজ ও ৮ জন আহত হয়েছেন।
সড়ক মহাসড়কে ঈদে দুর্ঘটনার কারণ বৃদ্ধি সম্পর্কে মোজাম্মেল চৌধুরী বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন। অদক্ষ চালক ও হেলপার দ্বারা যানবাহন চালানো। মহাসড়কে অটোরিক্সা, ব্যাটারিচালিত রিক্সা, নসিমন-করিমন ও মোটরসাইকেল অবাধে চলাচল। বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানো। সড়ক-মহাসড়কে ফুটপাত না থাকা। পণ্যবাহী যানবাহন বন্ধের নিষেধাজ্ঞা অমান্য ও মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা এসব দুর্ঘটনার জন্য অধিক দায়ী। তবে ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা হ্রাস করতে সরকারের কাছে ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, চালক প্রশিক্ষণ, লাইসেন্স ইস্যু পদ্ধতি আধুনিকায়ন, যানবাহনের ফিটনেস প্রদান পদ্ধতি আধুনিকায়ন, রাস্তায় ফুটপাত-আন্ডারপাস-ওভারপাস নির্মাণ, জেব্রা ক্রসিং অংকন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও গবেষণা এবং ডিজিটাল ট্রাফিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। তিনি বলেন, সড়ক নিরাপত্তার জন্য বাজেটে কোনো ধরনের বরাদ্ধ দেয়া হয় না। যা আছে তা সড়ক উন্নয়নের জন্য। চলতি বাজেটে সড়ক নিরাপত্তা খাতে ১০,০০০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ সংযুক্তির দাবি করছি। সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, মোটরসাইকেল হালকা যান। লম্বা পথে গেলে চালকের চাপ বেড়ে যায়। এছাড়া বড় গাড়ি চলায় তাদের উপর আলাদা চাপ থাকে। তাদের জন্য মহাসড়কে আলাদা কোনো লেন নেই। এটা আগে ছিল না। এ কারণে দুর্ঘটনা ব্যাপক বাড়ছে। এটার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক ও নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ প্রমুখ।
No comments