ঢাকা-ওয়াশিংটন আলোচনা হতে পারে: পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক by মিজানুর রহমান
পার্টনারশিপ বা অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্কের যাবতীয় বিষয় নিয়ে শিগগিরই আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনে হবে সেই আলোচনা। এতে নেতৃত্ব দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণ পেয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। তার বিপরীতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে নবনিযুক্ত আন্ডার সেক্রেটারি দেশটির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেয়ার কথা রয়েছে। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া পরবর্তী এমন বৈঠকে উভয়ের আগ্রহ রয়েছে। গতকাল পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের বৈঠকেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সেখানে তারা নীতিগতভাবে বৈঠকটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছেন। এখন উভয়পক্ষের ‘সুবিধাজনক সময়’ খোঁজা হবে।
সূত্রমতে, ওই বৈঠকে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে বাংলাদেশের কার্যকর অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা হবে। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অগ্রাধিকার ওই প্রকল্পের আওতায় সহযোগী বা সমর্থক রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অর্থনৈতিক সহযোগিতা’ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। ওই স্ট্র্যাটেজিতে বাংলাদেশ আগেই সমর্থন দিয়েছে।
এখন এ থেকে বাংলাদেশ কীভাবে তার জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রেখে অধিকতর লাভবান হতে পারে তা নিয়ে দ্বিপক্ষীয়ভাবে বিস্তৃত আলোচনার তাগিদ রয়েছে। সেগুনবাগিচার কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘রাজনৈতিক’ সম্পর্ক যেভাবেই দেখা হোক না কেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এটি আরও বিস্তৃত এবং গভীর করতে উভয়ে আগ্রহী। বাংলাদেশের নির্বাচন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র একটি ব্যালেন্স স্টেটমেন্ট দিয়েছে উল্লেখ করে দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা গতকাল মানবজমিনকে বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিজে ওই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। ভোটের দিনে সরজমিন পরিস্থিতি দেখতে তিনি সিলেটে গিয়েছিলেন। নির্বাচনের আগে এবং ভোটের দিনে যেসব অনিয়ম হয়েছে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। তারা অভিযোগগুলোর বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
তবে ওয়াশিংটন ওই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সরকারের সঙ্গে কাজ করা এবং গণতান্ত্রিক উন্নয়ন তথা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। কেবল সরকার নয়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সমর্থনে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও ওয়াশিংটন যোগাযোগ রাখবে বলে জানিয়েছে। ঢাকার পেশাদার কূটনীতিকরা মনে করেন- যে কোনো সম্পর্কে ‘ভিন্নমত’ হতেই পারে। কিন্তু কূটনীতিতে জাতীয় স্বার্থ বরাবরই প্রাধান্য পায়। এটা মেনেই এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের সম্পর্ক এগিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দিনে দিনে আরও গভীর হবে বলেও আশা করছেন ঢাকার কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস উভয়ের আগ্রহেই গতকাল দিনের শুরুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. শহীদুল হক ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়। নভেম্বরে ঢাকায় আসা মার্কিন দূতের সঙ্গে সচিবের এটি ছিল দ্বিতীয় বৈঠক। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে এটিই তাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ-বৈঠক। সচিবের দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর রাষ্ট্রদূত কোনো কথা বলেননি। তবে দায়িত্বশীল সূত্র বলছে সচিব-দূত বৈঠকে বাংলাদেশের ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতি এবং অবস্থান নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব সন্ধ্যায় মানবজমিনকে বলেন, নির্বাচনসহ দুইদেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আন্তরিক পরিবেশে বৈঠকটি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সূত্রমতে, ওই বৈঠকে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে বাংলাদেশের কার্যকর অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা হবে। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অগ্রাধিকার ওই প্রকল্পের আওতায় সহযোগী বা সমর্থক রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অর্থনৈতিক সহযোগিতা’ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। ওই স্ট্র্যাটেজিতে বাংলাদেশ আগেই সমর্থন দিয়েছে।
এখন এ থেকে বাংলাদেশ কীভাবে তার জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রেখে অধিকতর লাভবান হতে পারে তা নিয়ে দ্বিপক্ষীয়ভাবে বিস্তৃত আলোচনার তাগিদ রয়েছে। সেগুনবাগিচার কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘রাজনৈতিক’ সম্পর্ক যেভাবেই দেখা হোক না কেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এটি আরও বিস্তৃত এবং গভীর করতে উভয়ে আগ্রহী। বাংলাদেশের নির্বাচন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র একটি ব্যালেন্স স্টেটমেন্ট দিয়েছে উল্লেখ করে দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা গতকাল মানবজমিনকে বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিজে ওই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। ভোটের দিনে সরজমিন পরিস্থিতি দেখতে তিনি সিলেটে গিয়েছিলেন। নির্বাচনের আগে এবং ভোটের দিনে যেসব অনিয়ম হয়েছে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। তারা অভিযোগগুলোর বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
তবে ওয়াশিংটন ওই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সরকারের সঙ্গে কাজ করা এবং গণতান্ত্রিক উন্নয়ন তথা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। কেবল সরকার নয়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সমর্থনে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও ওয়াশিংটন যোগাযোগ রাখবে বলে জানিয়েছে। ঢাকার পেশাদার কূটনীতিকরা মনে করেন- যে কোনো সম্পর্কে ‘ভিন্নমত’ হতেই পারে। কিন্তু কূটনীতিতে জাতীয় স্বার্থ বরাবরই প্রাধান্য পায়। এটা মেনেই এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের সম্পর্ক এগিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দিনে দিনে আরও গভীর হবে বলেও আশা করছেন ঢাকার কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস উভয়ের আগ্রহেই গতকাল দিনের শুরুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. শহীদুল হক ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়। নভেম্বরে ঢাকায় আসা মার্কিন দূতের সঙ্গে সচিবের এটি ছিল দ্বিতীয় বৈঠক। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে এটিই তাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ-বৈঠক। সচিবের দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর রাষ্ট্রদূত কোনো কথা বলেননি। তবে দায়িত্বশীল সূত্র বলছে সচিব-দূত বৈঠকে বাংলাদেশের ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতি এবং অবস্থান নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব সন্ধ্যায় মানবজমিনকে বলেন, নির্বাচনসহ দুইদেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আন্তরিক পরিবেশে বৈঠকটি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
No comments