নির্বাচন বাতিল ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি: ইসিতে ঐক্যফ্রন্টের স্মারকলিপি
একাদশ
সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ফের জাতীয়
নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন জাতীয়
ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। আজ বৃহস্পতিবার ৩টার দিকে ফ্রন্টের মুখপাত্র ও
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার
বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মঈন খান, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলার সহায়তায় নির্বাচনের আগের রাত ৯টার মধ্যে সকল দোকানপাট বন্ধ করে সারাদেশে ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি করা হয়। এছাড়া ওই রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভোটগ্রহন কর্মকর্তার সহায়তাায় আওয়ামী লীগকর্মী ও সন্ত্রসাবাহিনীর সহায়তায় ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ ভোট কেটে ব্যালেট বাক্সে ভর্তি করা হয়। ১৭টি পয়েন্টে অনিয়মের চিত্র ধরে হয় স্মারকলিপিতে। এছাড়া অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা, ভোট জালিয়াতি, সরকারি প্রশাসন তথা রাষ্ট্রযন্ত্রকে নজীরবিহীন ভাবে জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার এবং নির্বাচন কমিশনের সর্বাতœক পক্ষপাতমূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাপল বাতিল এবং অনতিবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়। সিইসির হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
পরে সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে স্মারকলিপির সারমর্ম তুলে ধরেন তিনি।
গুলশানে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক:এর আগে সকালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসেনর গুলশান কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। শেষ হয় বেলা দেড় টায়। বৈঠকে প্রার্থীদর কাছ থেকে নির্বাচনে অনিয়মের বর্ণনা শুনেন তারা। অনেকেই লিখিত ভাবে তা জমা দিয়েছেন ফ্রন্টের নেতাদের কাছে। বৈঠক শেষে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান জানান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি যাবেন নির্বাচন কমিশনে। ভোটে অনিয়মের চিত্রের প্রমাণ দিয়ে আসবেন। পরবর্তীতে করণীয় কি তা ফের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিএনপি পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আজকের বৈঠকের বিষয় হাইকমান্ডকে জানানো হবে। সূত্র জানায় বৈঠকে নির্বাচনের বিভিন্ন এলাকায় অনিয়মের চিত্র তুলে ধরছেন প্রার্থীরা। এর পেক্ষিতে করণীয় কি হতে পারে সে বিষয়ে মতামতও দিয়েছেন তারা। বৈঠকে উপস্থিত প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকার ভোটের অনিয়মের একটি প্রতিবেদনও নিয়ে আসেন । গত ১লা জানুয়ারি বিএনপির পক্ষ থেকে প্রার্থীদের একটি চিঠি পাঠানো হয়। এতে বলা হয়েছিল ভোটে অনিয়ম-কারচুপির প্রমাণ, প্রতিটি কেন্দ্রের অস্বাভাবিক ভোটের হিসাব, গ্রেপ্তার এজেন্ট ও নেতা-কর্মীদের তালিকা, সহিংসতায় আহত ও নিহতদের তালিকাসহ ৮টি বিষয়ে তথ্যসহ একটি প্রতিবেদনও দিতে। ভোট কারচুপির ভিডিও থাকলে তাও প্রতিবেদনের সঙ্গে দিতে বলা হয়। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর -৩ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আমার নির্বাচনী এলাকা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছি। সেখানে ভোটের অনিয়মের সব কিছু তুলে ধরেছি। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, আমরা যেহেতু এই নির্বাচন প্রত্যাখান করেছি, ফলে কারও শপথ নেয়ার প্রশ্নই আসে না। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জেএসডির আসম আব্দুর রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মঈন খান, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলার সহায়তায় নির্বাচনের আগের রাত ৯টার মধ্যে সকল দোকানপাট বন্ধ করে সারাদেশে ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি করা হয়। এছাড়া ওই রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভোটগ্রহন কর্মকর্তার সহায়তাায় আওয়ামী লীগকর্মী ও সন্ত্রসাবাহিনীর সহায়তায় ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ ভোট কেটে ব্যালেট বাক্সে ভর্তি করা হয়। ১৭টি পয়েন্টে অনিয়মের চিত্র ধরে হয় স্মারকলিপিতে। এছাড়া অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা, ভোট জালিয়াতি, সরকারি প্রশাসন তথা রাষ্ট্রযন্ত্রকে নজীরবিহীন ভাবে জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার এবং নির্বাচন কমিশনের সর্বাতœক পক্ষপাতমূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাপল বাতিল এবং অনতিবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়। সিইসির হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
পরে সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে স্মারকলিপির সারমর্ম তুলে ধরেন তিনি।
গুলশানে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক:এর আগে সকালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসেনর গুলশান কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। শেষ হয় বেলা দেড় টায়। বৈঠকে প্রার্থীদর কাছ থেকে নির্বাচনে অনিয়মের বর্ণনা শুনেন তারা। অনেকেই লিখিত ভাবে তা জমা দিয়েছেন ফ্রন্টের নেতাদের কাছে। বৈঠক শেষে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান জানান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি যাবেন নির্বাচন কমিশনে। ভোটে অনিয়মের চিত্রের প্রমাণ দিয়ে আসবেন। পরবর্তীতে করণীয় কি তা ফের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিএনপি পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আজকের বৈঠকের বিষয় হাইকমান্ডকে জানানো হবে। সূত্র জানায় বৈঠকে নির্বাচনের বিভিন্ন এলাকায় অনিয়মের চিত্র তুলে ধরছেন প্রার্থীরা। এর পেক্ষিতে করণীয় কি হতে পারে সে বিষয়ে মতামতও দিয়েছেন তারা। বৈঠকে উপস্থিত প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকার ভোটের অনিয়মের একটি প্রতিবেদনও নিয়ে আসেন । গত ১লা জানুয়ারি বিএনপির পক্ষ থেকে প্রার্থীদের একটি চিঠি পাঠানো হয়। এতে বলা হয়েছিল ভোটে অনিয়ম-কারচুপির প্রমাণ, প্রতিটি কেন্দ্রের অস্বাভাবিক ভোটের হিসাব, গ্রেপ্তার এজেন্ট ও নেতা-কর্মীদের তালিকা, সহিংসতায় আহত ও নিহতদের তালিকাসহ ৮টি বিষয়ে তথ্যসহ একটি প্রতিবেদনও দিতে। ভোট কারচুপির ভিডিও থাকলে তাও প্রতিবেদনের সঙ্গে দিতে বলা হয়। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর -৩ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আমার নির্বাচনী এলাকা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছি। সেখানে ভোটের অনিয়মের সব কিছু তুলে ধরেছি। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, আমরা যেহেতু এই নির্বাচন প্রত্যাখান করেছি, ফলে কারও শপথ নেয়ার প্রশ্নই আসে না। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জেএসডির আসম আব্দুর রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
No comments