খুলনায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক রিমান্ডে: দুই সাংবাদিকের মামলা প্রত্যাহারের দাবি আসকের
ডিজিটাল
নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার বাংলা ট্রিবিউনের খুলনা প্রতিনিধি ও দৈনিক
প্রবাহের সিটি এডিটর হেদায়েৎ হোসেন মোল্লাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া
হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে খুলনার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর
বিচারক নয়ন বিশ্বাস এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তারিক মাহমুদ তারা জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান ৭ দিনের রিমান্ড দাবি করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় মঙ্গলবার বিকালে খুলনা মহানগরীর গল্লামারী এলাকা থেকে সাংবাদিক হেদায়েৎ হোসেন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৩০শে ডিসেম্বর রাতে খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা তার কার্যালয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। ওই ফলাফলে খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাট) আসনে মোট ভোটারের চেয়ে ২২ হাজারেরও বেশি ভোট গ্রহণ হয়েছে মর্মে বাংলা ট্রিবিউন ও দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় সাংবাদিক হেদায়েৎ হোসেন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া মামলায় দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার রাশিদুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
এদিকে খুলনা প্রেস ক্লাবের সদস্য ও বিদায়ী কোষাধ্যক্ষ মো. হেদায়েৎ হোসেন মোল্লাকে গ্রেপ্তারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে সাংবাদিকদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ক্লাবের সভাপতি এসএম হাবিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাহেব আলীর পরিচালনায় উপস্থিত সাংবাদিকরা সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বক্তারা অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সাংবাদিক মো. হেদায়েৎ হোসেন মোল্লাকে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন দৈনিক প্রবাহের সম্পাদক আশরাফ-উল-হক, দৈনিক পূর্বাঞ্চলের নির্বাহী সম্পাদক আহমদ আলী খান, ড. মো. জাকির হোসেন, দৈনিক প্রবর্তন সম্পাদক মোস্তফা সরোয়ার, অমিয় কান্তি পাল, গৌরাঙ্গ নন্দী, কাজী মোতাহার রহমান, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, দৈনিক খুলনাঞ্চলের সম্পাদক মিজানুর রহমান মিলটন, মো. শাহ আলম, হাসান আহমেদ মোল্লা, মো. আনিসুজ্জামান, আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, মামুন রেজা, কৌশিক দে বাপ্পি, মোস্তফা জামাল পপলু, মুনির উদ্দিন আহমেদ, মো. জাহিদুল ইসলাম, এনামুল হক, এএইচএম শামিমুজ্জামান, শামছুজ্জামান শাহীন, আবুল হাসান হিমালয়, অভিজিৎ পাল, বিমল সাহা, বাবুল আক্তার, শেখ লিয়াকত হোসেন, শেখ মাহমুদ হাসান সোহেল, আব্দুল মালেক, প্রবীর বিশ্বাস প্রমুখ।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক গ্রেপ্তার, আসকের উদ্বেগ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে খুলনার দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা এবং একজনকে গ্রেপ্তারে উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আসক এ উদ্বেগ জানিয়েছে। এতে বলা হয়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-১ আসনে ঘোষিত ফলে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ও মোট ভোটারের সংখ্যার পার্থক্য নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করায় দু’জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বটিয়াঘাটা উপজেলার নির্বাহী অফিসার। মামলার সূত্র ধরে ইতিমধ্যে একজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
আসক জানায়, ডিজিটাল আইনের ধারাসমূহের ব্যাপকতা, ভুল বা ভ্রান্ত তথ্য প্রকাশের দায়ে সাংবাকিদের গ্রেপ্তার করা, ১৪টি অপরাধ জামিন অযোগ্য ঘোষণা প্রভৃতি কারণে শুরু থেকেই নানা পর্যায়ে সমালোচিত হয়ে আসছে। সাংবাদিকরা এই আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রকে সংকুচিত করে তুলবে বলে বারংবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ আইনের আওতায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার প্রকৃতপক্ষে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের শঙ্কা আরো বৃদ্ধি করবে। অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ভুল তথ্য বা সংবাদ পরিবেশন করা হলে সেটির জন্য সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা ও তার প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার নয়, বরং ভুল সংশোধনের কিংবা ব্যাখ্যা প্রদানের সুযোগ দেয়া যুক্তিযুক্ত। কেননা সাংবাদিকরা সাধারণত বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তাদের সংবাদ উপস্থাপন করে থাকেন।
আসক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গণমাধ্যমের প্রত্যাশিত ভূমিকা এবং সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এ ঘটনার বৃহত্তর প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে গ্রেপ্তারকৃত সাংবাদিককে দ্রুত মুক্তি দেয়ার এবং দুই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে রাজশাহী প্রেস ক্লাব দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলায় প্রতিবাদ জানিয়েছে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তারিক মাহমুদ তারা জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান ৭ দিনের রিমান্ড দাবি করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় মঙ্গলবার বিকালে খুলনা মহানগরীর গল্লামারী এলাকা থেকে সাংবাদিক হেদায়েৎ হোসেন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৩০শে ডিসেম্বর রাতে খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা তার কার্যালয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। ওই ফলাফলে খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাট) আসনে মোট ভোটারের চেয়ে ২২ হাজারেরও বেশি ভোট গ্রহণ হয়েছে মর্মে বাংলা ট্রিবিউন ও দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় সাংবাদিক হেদায়েৎ হোসেন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া মামলায় দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার রাশিদুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
এদিকে খুলনা প্রেস ক্লাবের সদস্য ও বিদায়ী কোষাধ্যক্ষ মো. হেদায়েৎ হোসেন মোল্লাকে গ্রেপ্তারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে সাংবাদিকদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ক্লাবের সভাপতি এসএম হাবিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাহেব আলীর পরিচালনায় উপস্থিত সাংবাদিকরা সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বক্তারা অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সাংবাদিক মো. হেদায়েৎ হোসেন মোল্লাকে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন দৈনিক প্রবাহের সম্পাদক আশরাফ-উল-হক, দৈনিক পূর্বাঞ্চলের নির্বাহী সম্পাদক আহমদ আলী খান, ড. মো. জাকির হোসেন, দৈনিক প্রবর্তন সম্পাদক মোস্তফা সরোয়ার, অমিয় কান্তি পাল, গৌরাঙ্গ নন্দী, কাজী মোতাহার রহমান, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, দৈনিক খুলনাঞ্চলের সম্পাদক মিজানুর রহমান মিলটন, মো. শাহ আলম, হাসান আহমেদ মোল্লা, মো. আনিসুজ্জামান, আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, মামুন রেজা, কৌশিক দে বাপ্পি, মোস্তফা জামাল পপলু, মুনির উদ্দিন আহমেদ, মো. জাহিদুল ইসলাম, এনামুল হক, এএইচএম শামিমুজ্জামান, শামছুজ্জামান শাহীন, আবুল হাসান হিমালয়, অভিজিৎ পাল, বিমল সাহা, বাবুল আক্তার, শেখ লিয়াকত হোসেন, শেখ মাহমুদ হাসান সোহেল, আব্দুল মালেক, প্রবীর বিশ্বাস প্রমুখ।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক গ্রেপ্তার, আসকের উদ্বেগ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে খুলনার দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা এবং একজনকে গ্রেপ্তারে উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আসক এ উদ্বেগ জানিয়েছে। এতে বলা হয়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-১ আসনে ঘোষিত ফলে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ও মোট ভোটারের সংখ্যার পার্থক্য নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করায় দু’জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বটিয়াঘাটা উপজেলার নির্বাহী অফিসার। মামলার সূত্র ধরে ইতিমধ্যে একজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
আসক জানায়, ডিজিটাল আইনের ধারাসমূহের ব্যাপকতা, ভুল বা ভ্রান্ত তথ্য প্রকাশের দায়ে সাংবাকিদের গ্রেপ্তার করা, ১৪টি অপরাধ জামিন অযোগ্য ঘোষণা প্রভৃতি কারণে শুরু থেকেই নানা পর্যায়ে সমালোচিত হয়ে আসছে। সাংবাদিকরা এই আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রকে সংকুচিত করে তুলবে বলে বারংবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ আইনের আওতায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার প্রকৃতপক্ষে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের শঙ্কা আরো বৃদ্ধি করবে। অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ভুল তথ্য বা সংবাদ পরিবেশন করা হলে সেটির জন্য সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা ও তার প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার নয়, বরং ভুল সংশোধনের কিংবা ব্যাখ্যা প্রদানের সুযোগ দেয়া যুক্তিযুক্ত। কেননা সাংবাদিকরা সাধারণত বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তাদের সংবাদ উপস্থাপন করে থাকেন।
আসক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গণমাধ্যমের প্রত্যাশিত ভূমিকা এবং সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এ ঘটনার বৃহত্তর প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে গ্রেপ্তারকৃত সাংবাদিককে দ্রুত মুক্তি দেয়ার এবং দুই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে রাজশাহী প্রেস ক্লাব দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলায় প্রতিবাদ জানিয়েছে।
No comments