তারেক, বাবরসহ ৪৯ জনের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ
২১
আগস্ট গ্রেনেড হামলাসংক্রান্ত দুটি মামলায় তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান
বাবর, আবদুস সালাম পিন্টুসহ ৪৯ জন আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি
করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর
রহমান আইনগত বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে এ শাস্তি দাবি করেন। গত ২৭
ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ২৪৫ জনের সাক্ষ্য পর্যবেক্ষণের আলোকে যুক্তিতর্ক
উপস্থাপন শেষ করেছিল। আজ ১ জানুয়ারি (২০১৮) আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক এবং
রাষ্ট্রপক্ষে আইনগত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। আসামিপক্ষ
সময় চেয়ে আবেদন করায় আদালত তা মঞ্জুর করে কাল মঙ্গলবার পর্যন্ত শুনানি
মুলতবি করেন। পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের
পাশে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা হত্যা ও
বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুই মামলার বিচারকাজ চলছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২২
জন নিহত এবং শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার যত চেষ্টা হয়,
এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ
ঘটনা হলো চারদলীয় জোট সরকার আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু
অ্যাভিনিউতে গ্রেনেড হামলা। ওই হামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি
রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২২ নেতা-কর্মী নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ শত শত
নেতা-কর্মী। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মামলা দিতে গেলে পুলিশ সে
মামলা নেয়নি। তার আগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। তৎকালীন সরকার মামলার
তদন্ত ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করে। নোয়াখালীর গ্রাম থেকে জজ মিয়া নামের
এক যুবককে ধরে নিয়ে এসে আদালতে মিথ্যা জবানবন্দি আদায় করে। পরবর্তী সময়ে
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে মামলাটির নতুন করে তদন্ত শুরু করে এবং
একের পর এক সত্য বেরিয়ে আসতে থাকে। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে অধিকতর
তদন্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়। এতে বিএনপির নেতা তারেক রহমান, হারিছ
চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আরও অনেকের
নাম আসে।
No comments