উন্নয়নশীল দেশের পথে যাত্রা
নতুন
বছরে বাংলাদেশের জন্য একটি সুখবর অপেক্ষা করছে। বছরটি অর্থনীতি ও
সামাজিকভাবে বড় একটি উত্তরণের আনন্দের উপলক্ষ হতে পারে। সেটি হলো
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের দিকে
যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বের হওয়ার জন্য আবেদন
করার যোগ্যতা অর্জন করবে এই বছরেই। জাতিসংঘের মূল্যায়নেই এটা হবে। তবে নানা
আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত
অপেক্ষা করতে হবে। উন্নয়নকে টেকসই করতে মাথাপিছু আয়ের পাশাপাশি সামাজিক
বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে সূচক তৈরি করে থাকে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট
পলিসি (সিডিপি)। তারই ভিত্তিতে স্বল্পোন্নত, উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশ—তিন
শ্রেণিতে ভাগ করে সিডিপি।
বাংলাদেশসহ ৪৮টি দেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশের
তালিকায় আছে। প্রতি তিন বছর পরপর জাতিসংঘের সিডিপি এ তালিকায় থাকা দেশগুলোর
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে। অর্থনীতির সার্বিক গতি-প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে
সিডিপির ২০১৮ সালের মূল্যায়নে বাংলাদেশের এলডিসির তালিকা বের হওয়ার যোগ্যতা
অর্জন প্রায় নিশ্চিত। আগামী মার্চে এই মূল্যায়ন প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হতে
পারে। ইতিমধ্যে জাতিসংঘের সিডিপির কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরকারের উচ্চ মহলের
একাধিক আলোচনা হয়েছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের একাধিক প্রতিনিধিদল জাতিসংঘে
গিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সূচকের সর্বশেষ অবস্থান অবহিত করে এসেছে। এরপর গত
অক্টোবর মাসে জাতিসংঘের সিডিপির একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ঘুরে গেছে।
জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য
শামসুল আলম বলেন, ‘২০১৮ সালটি হবে বাংলাদেশের জন্য মাইলফলক। স্বল্পোন্নত
দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর প্রক্রিয়ায় বড় অর্জন
হবে।’
পদ্ধতি
স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে তিনটি বিষয় বিবেচনা করা হয়। এগুলো হলো মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি। এসব সূচকে আগের তিন বছরের গড় পয়েন্ট হিসাব করা হয়। উন্নয়নশীল দেশ হতে কমপক্ষে দুটি সূচকে ‘গ্র্যাজুয়েট’ হতে হবে। সিডিপির সর্বশেষ ২০১৫ সালের পর্যালোচনায় বাংলাদেশ একটি সূচকে উত্তীর্ণ হয়েছিল। ২০১৮ সালের পর্যালোচনায় যোগ্যতা অর্জন করলে পরের তিন বছর সূচকগুলোতে একই অবস্থা বজায় রাখতে হবে। এরপর উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ করবে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিল (ইকোসোক)। আরও তিন বছর পর ২০২৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা দেওয়া হবে।
মূল্যায়ন
২০১৫ সালের সিডিপির মূল্যায়নে দেখা গেছে, অর্থনৈতিক ঝুঁকি সূচকে বাংলাদেশের ২৫ দশমিক ১ পয়েন্ট রয়েছে। উন্নয়নশীল দেশ হতে এ সূচকে ৩২ পয়েন্ট বা তার নিচে থাকতে হবে। মানবসম্পদ সূচকে ৬৬ বা এর বেশি পয়েন্ট পেতে হবে। বাংলাদেশের রয়েছে ৬৩ দশমিক ৮ পয়েন্ট। মাথাপিছু আয় ১ হাজার ২৪২ মার্কিন ডলার থাকতে হবে। বাংলাদেশের রয়েছে ৯২৩ ডলার। মাথাপিছু আয় হিসাবটি জাতিসংঘ করেছে অ্যাটলাস পদ্ধতিতে। অন্যদিকে জাতিসংঘের সিডিপির সঙ্গে সরকারের বৈঠকে যেসব তথ্য-উপাত্ত দেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা গেছে ২০১৮ সালে মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অর্জিত পয়েন্ট হবে ৭২ দশমিক ৮। অর্থনৈতিক ঝুঁকি সূচকে ২৫ পয়েন্ট। আর মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ১ হাজার ২৭২ ডলার। সেই হিসাবে তিন সূচকেই উত্তীর্ণ হবে বাংলাদেশ।
পদ্ধতি
স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে তিনটি বিষয় বিবেচনা করা হয়। এগুলো হলো মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি। এসব সূচকে আগের তিন বছরের গড় পয়েন্ট হিসাব করা হয়। উন্নয়নশীল দেশ হতে কমপক্ষে দুটি সূচকে ‘গ্র্যাজুয়েট’ হতে হবে। সিডিপির সর্বশেষ ২০১৫ সালের পর্যালোচনায় বাংলাদেশ একটি সূচকে উত্তীর্ণ হয়েছিল। ২০১৮ সালের পর্যালোচনায় যোগ্যতা অর্জন করলে পরের তিন বছর সূচকগুলোতে একই অবস্থা বজায় রাখতে হবে। এরপর উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ করবে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিল (ইকোসোক)। আরও তিন বছর পর ২০২৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা দেওয়া হবে।
মূল্যায়ন
২০১৫ সালের সিডিপির মূল্যায়নে দেখা গেছে, অর্থনৈতিক ঝুঁকি সূচকে বাংলাদেশের ২৫ দশমিক ১ পয়েন্ট রয়েছে। উন্নয়নশীল দেশ হতে এ সূচকে ৩২ পয়েন্ট বা তার নিচে থাকতে হবে। মানবসম্পদ সূচকে ৬৬ বা এর বেশি পয়েন্ট পেতে হবে। বাংলাদেশের রয়েছে ৬৩ দশমিক ৮ পয়েন্ট। মাথাপিছু আয় ১ হাজার ২৪২ মার্কিন ডলার থাকতে হবে। বাংলাদেশের রয়েছে ৯২৩ ডলার। মাথাপিছু আয় হিসাবটি জাতিসংঘ করেছে অ্যাটলাস পদ্ধতিতে। অন্যদিকে জাতিসংঘের সিডিপির সঙ্গে সরকারের বৈঠকে যেসব তথ্য-উপাত্ত দেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা গেছে ২০১৮ সালে মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অর্জিত পয়েন্ট হবে ৭২ দশমিক ৮। অর্থনৈতিক ঝুঁকি সূচকে ২৫ পয়েন্ট। আর মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ১ হাজার ২৭২ ডলার। সেই হিসাবে তিন সূচকেই উত্তীর্ণ হবে বাংলাদেশ।
No comments