প্রবাসীদের সমস্যা শুনতে দূতাবাসে উন্মুক্ত আলোচনা
কাতারে
বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে ওপেন হাউস ডে আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ
দূতাবাস। প্রথমবারের মতো ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় এই উন্মুক্ত আলোচনা
অনুষ্ঠিত হবে। কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, এর ফলে
দূতাবাসের কার্যক্রম এবং এর যেকোনো সেবা নিয়ে খোলামেলা প্রশ্নোত্তরের
সুযোগ পাবেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দূতাবাস সূত্র জানায়, এ আলোচনায়
দূতাবাসের সব শাখার কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। ফলে পাসপোর্ট সেবা থেকে
শুরু করে যেকোনো সেবা সম্পর্কে মতামত জানা যাবে। পাশাপাশি দূতাবাসের
কার্যক্রম আরও গতিশীল এবং সবার কাছে সহজলভ্য করতে কমিউনিটির অভিজ্ঞজনদের
পরামর্শও শুনবেন রাষ্ট্রদূত ও অন্য কর্মকর্তারা। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত
আসুদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটি আমাদের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা ছিল।
কিন্তু এত দিন তা বাস্তবায়নের সুযোগ হয়ে ওঠেনি। আশা করছি, এই আয়োজনের ফলে
বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে দূতাবাসের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।’ রাষ্ট্রদূত
আরও বলেন, কাতারে বসবাসরত প্রবাসীদের কল্যাণে দূতাবাস এ পর্যন্ত যেসব
উদ্যোগ নিয়েছে, সেগুলো তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি আরও নতুন কী ধরনের
সেবামূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হবে প্রবাসীদের
সঙ্গে। রাষ্ট্রদূত জানান, কোনো বিশেষ শ্রেণির জন্য, বরং সবার জন্য এই
উন্মুক্ত আয়োজন। এদিন যে কেউ দূতাবাসে এসে কর্মকর্তাদের সামনে যেকোনো
বিষয়ে মতামত জানাতে পারবেন।
দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর ড. সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই আয়োজন দূতাবাসের সেবার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এবং সেবাগ্রহীতারা উপকৃত হবেন। যাঁরা নিয়মিত দূতাবাসে আসেন, তাঁদের মতামত আমরা জানতে পারব। এর ফলে হয়তো এমন খুঁটিনাটি কিছু বিষয় উঠে আসবে, যা আমাদের জানা নাও থাকতে পারে।’ বাংলাদেশি কমিউনিটি বাংলাদেশ দূতাবাসের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। প্রবাসীরা বলছেন, এর ফলে তাঁরা খোলাখুলিভাবে নিজেদের অভিযোগ ও সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পারবেন। এটি বাংলাদেশি কমিউনিটির দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বলেও মন্তব্য করেন অনেকে। প্রবাসী বাংলাদেশি আবদুল মতিন পাটোয়ারি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চাই, দূতাবাস সর্বস্তরের বাংলাদেশি শ্রমিকদের অভিযোগগুলো শুনুক এবং সেসব সমাধানে কাতার সরকারের সঙ্গে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিক।’ তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অনেক প্রবাসী কর্মী কাতারে এসে নানা কারণে প্রতিকূলতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন, এর সমাধানে দূতাবাসের এ ধরনের আয়োজনের বিকল্প নেই। গত ২৮ ও ২৯ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত দূত সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত রাষ্ট্রদূতদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেছিলেন, রাষ্ট্রদূতেরা যেন সপ্তাহে বা মাসে অন্তত একটি দিন প্রবাসীদের সমস্যাগুলো শোনেন এবং সেসব সমাধানের উদ্যোগ নেন।
দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর ড. সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই আয়োজন দূতাবাসের সেবার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এবং সেবাগ্রহীতারা উপকৃত হবেন। যাঁরা নিয়মিত দূতাবাসে আসেন, তাঁদের মতামত আমরা জানতে পারব। এর ফলে হয়তো এমন খুঁটিনাটি কিছু বিষয় উঠে আসবে, যা আমাদের জানা নাও থাকতে পারে।’ বাংলাদেশি কমিউনিটি বাংলাদেশ দূতাবাসের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। প্রবাসীরা বলছেন, এর ফলে তাঁরা খোলাখুলিভাবে নিজেদের অভিযোগ ও সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পারবেন। এটি বাংলাদেশি কমিউনিটির দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বলেও মন্তব্য করেন অনেকে। প্রবাসী বাংলাদেশি আবদুল মতিন পাটোয়ারি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চাই, দূতাবাস সর্বস্তরের বাংলাদেশি শ্রমিকদের অভিযোগগুলো শুনুক এবং সেসব সমাধানে কাতার সরকারের সঙ্গে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিক।’ তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অনেক প্রবাসী কর্মী কাতারে এসে নানা কারণে প্রতিকূলতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন, এর সমাধানে দূতাবাসের এ ধরনের আয়োজনের বিকল্প নেই। গত ২৮ ও ২৯ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত দূত সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত রাষ্ট্রদূতদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেছিলেন, রাষ্ট্রদূতেরা যেন সপ্তাহে বা মাসে অন্তত একটি দিন প্রবাসীদের সমস্যাগুলো শোনেন এবং সেসব সমাধানের উদ্যোগ নেন।
No comments