নির্যাতনের ৭৭ শতাংশই পারিবারিক পরিসরে
বেসরকারি
সংস্থা ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির অধীনে দেশের ৫৬টি জেলায় ৯
হাজার ১৯৬টি নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। ২০১৭ সালের
১০ মাসের তথ্য এটি। গড়ে প্রতি মাসে ৯১৯টি এবং প্রতিদিন ৩০টি নির্যাতনের
ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। ২০১৬ সালে ৫৫ জেলায় একই সময়ে ৫ হাজার ৮২৫ জন নারী ও
কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছিল। ১২ হাজারের বেশি
কমিউনিটিভিত্তিক নারী সংগঠন পল্লী সমাজ এবং ব্র্যাকের অন্যান্য কর্মসূচির
বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে পাওয়া নারী নির্যাতনের তথ্যের
ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্নভাবে ঘটনা জানার পর
ব্র্যাকের এ কর্মসূচির মাঠপর্যায়ের কর্মীরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তা
যাচাই-বাছাই করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য ফরমে পূরণ এবং পরবর্তী সময়ে অনলাইনের
মাধ্যমে ডেটা এন্ট্রি করেন। গত বছর ৮৩ শতাংশ নারী এবং ১৭ শতাংশ মেয়েশিশু
নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়।
বেশির ভাগ নির্যাতনই পারিবারিক পরিসরে
ব্র্যাকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরে নথিভুক্ত হওয়া নির্যাতনের ঘটনার মধ্যে ৬ হাজার ৪৮৫টি বা ৭৭ শতাংশই ঘটেছে পারিবারিক পরিসরে। স্বামীর মাধ্যমেই বেশির ভাগ ঘটনা ঘটেছে। যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে ৩২ শতাংশ। পারিবারিক সংঘাতের ঘটনা ছিল ২৪ শতাংশ। বহুবিবাহ এবং বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণেও পারিবারিক পরিসরে নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার নারীদের মধ্যে প্রায় ৮২ শতাংশ ছিলেন বিবাহিত এবং তিন-চতুর্থাংশই ছিলেন গৃহিণী। নির্যাতনের শিকার নারীদের মধ্যে ৬৬ শতাংশই ছিলেন দরিদ্র নারী। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী প্রথম আলোকে বলেন, পারিবারিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে ভুক্তভোগী বা কোনো না কোনো মাধ্যমে তা নথিভুক্ত হচ্ছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক। তিনি বলেন, যৌন নির্যাতন ও হয়রানির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হওয়া আন্দোলন হ্যাশট্যাগ মি টু (#MeToo) এবার টাইম ম্যাগাজিন–এর ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ (বর্ষসেরা ব্যক্তি) হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, যার নেতৃত্ব দেবে তরুণ সমাজ। দেশের ৪২ জেলায় ১২ লাখ চেঞ্জমেকারের মাধ্যমে পারিবারিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট। জোটের কো-চেয়ার এম বি আখতার প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে পারিবারিক নির্যাতনের পরে সমাজের মানুষেরাই প্রতিবাদ করছেন, সোচ্চার হচ্ছেন, আইনি পদক্ষেপও নিচ্ছেন অনেকে।
বড় উদ্বেগ শিশু ধর্ষণ
ব্র্যাকের প্রতিবেদন বলছে, বছরটিতে কন্যাশিশুদের ক্ষেত্রে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে (মোট ধর্ষণের ঘটনার ৭০ শতাংশ)। ধর্ষণের ঘটনায় প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে শিশুর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি ছিল। এক বছরের কম বয়সী থেকে ৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ৪৪ জন, ৬-১০ বছর বয়সীদের মধ্যে ১১১ জন, ১১-১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে ৩৩৭ জন ধর্ষণের শিকার হয়। তথ্য বলছে, প্রতিদিন ১ দশমিক ৭ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়।
আইনি সহায়তা নেওয়ার হার কম
বছরের ১০ মাসে ৩৭০টি হত্যার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা নথিভুক্ত করা হয় ৭০৭টি। বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্যাতনের শিকার নারীরা পারিবারিক, সামাজিক ও আইনগত নানা জটিলতার কারণে আইনি সহায়তা নিতে চান না। কর্মসূচির অধীনে নির্যাতনের তথ্য জানার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্মীরা যেসব তথ্য নথিভুক্ত করেন, সে অনুযায়ী নথিভুক্ত ঘটনার মাত্র ১৯ শতাংশের ক্ষেত্রে মামলা হয়েছিল। ৮ শতাংশ মামলা সালিসের মাধ্যমে মীমাংসা হয়। ৩২ শতাংশ ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
বেশির ভাগ নির্যাতনই পারিবারিক পরিসরে
ব্র্যাকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরে নথিভুক্ত হওয়া নির্যাতনের ঘটনার মধ্যে ৬ হাজার ৪৮৫টি বা ৭৭ শতাংশই ঘটেছে পারিবারিক পরিসরে। স্বামীর মাধ্যমেই বেশির ভাগ ঘটনা ঘটেছে। যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে ৩২ শতাংশ। পারিবারিক সংঘাতের ঘটনা ছিল ২৪ শতাংশ। বহুবিবাহ এবং বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণেও পারিবারিক পরিসরে নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার নারীদের মধ্যে প্রায় ৮২ শতাংশ ছিলেন বিবাহিত এবং তিন-চতুর্থাংশই ছিলেন গৃহিণী। নির্যাতনের শিকার নারীদের মধ্যে ৬৬ শতাংশই ছিলেন দরিদ্র নারী। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী প্রথম আলোকে বলেন, পারিবারিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে ভুক্তভোগী বা কোনো না কোনো মাধ্যমে তা নথিভুক্ত হচ্ছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক। তিনি বলেন, যৌন নির্যাতন ও হয়রানির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হওয়া আন্দোলন হ্যাশট্যাগ মি টু (#MeToo) এবার টাইম ম্যাগাজিন–এর ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ (বর্ষসেরা ব্যক্তি) হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, যার নেতৃত্ব দেবে তরুণ সমাজ। দেশের ৪২ জেলায় ১২ লাখ চেঞ্জমেকারের মাধ্যমে পারিবারিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট। জোটের কো-চেয়ার এম বি আখতার প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে পারিবারিক নির্যাতনের পরে সমাজের মানুষেরাই প্রতিবাদ করছেন, সোচ্চার হচ্ছেন, আইনি পদক্ষেপও নিচ্ছেন অনেকে।
বড় উদ্বেগ শিশু ধর্ষণ
ব্র্যাকের প্রতিবেদন বলছে, বছরটিতে কন্যাশিশুদের ক্ষেত্রে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে (মোট ধর্ষণের ঘটনার ৭০ শতাংশ)। ধর্ষণের ঘটনায় প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে শিশুর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি ছিল। এক বছরের কম বয়সী থেকে ৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ৪৪ জন, ৬-১০ বছর বয়সীদের মধ্যে ১১১ জন, ১১-১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে ৩৩৭ জন ধর্ষণের শিকার হয়। তথ্য বলছে, প্রতিদিন ১ দশমিক ৭ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়।
আইনি সহায়তা নেওয়ার হার কম
বছরের ১০ মাসে ৩৭০টি হত্যার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা নথিভুক্ত করা হয় ৭০৭টি। বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্যাতনের শিকার নারীরা পারিবারিক, সামাজিক ও আইনগত নানা জটিলতার কারণে আইনি সহায়তা নিতে চান না। কর্মসূচির অধীনে নির্যাতনের তথ্য জানার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্মীরা যেসব তথ্য নথিভুক্ত করেন, সে অনুযায়ী নথিভুক্ত ঘটনার মাত্র ১৯ শতাংশের ক্ষেত্রে মামলা হয়েছিল। ৮ শতাংশ মামলা সালিসের মাধ্যমে মীমাংসা হয়। ৩২ শতাংশ ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
No comments