গুম ভবিষ্যতের ইতিহাস by শাহদীন মালিক
নিখোঁজ বাবা সাজেদুল ইসলামের অপেক্ষায় মেয়ে আরওয়া ইসলাম। ছবি: সাজিদ হোসেননিখোঁজ বাবা সাজেদুল ইসলামের অপেক্ষায় মেয়ে আরওয়া ইসলাম। ছবি: সাজিদ হোসেন |
এই
লেখার বিষয়বস্তু অনেকটা নিকট ভবিষ্যতের ইতিহাস। মোটামুটি ২০ বছর পরের
ইতিহাস। জানি, ব্যাপারটা গোলমেলে ঠেকছে। পাঠক হয়তো ভাবছেন, ভবিষ্যতের কি
ইতিহাস হয়! হয়, এই অর্থে যে ২০ বছর পরে আমাদের গুমের ইতিহাস যাঁরা লিখবেন,
তাঁরা কী লিখতে পারেন, সে কথা আজকেই বলার চেষ্টা করব। ২০ বছর পরে
বাংলাদেশের গুমের ইতিহাস লিখতে গিয়ে যে কথা হয়তো লেখা হবে না, তা হলো ২০১৭
সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে দক্ষিণ আমেরিকার পেরুর রাজধানী লিমাতে যে
বিক্ষোভ হচ্ছে তার কথা। পেরুর রাষ্ট্রপতি ২০১৭ সালের বড়দিনে তাঁর
পূর্বসূরি এক রাষ্ট্রপতি আলবের্তো ফুজিমোরিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার আওতায়
জেল থেকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হাজার
হাজার বিক্ষোভকারী লিমার রাস্তায় নেমেছে। ফুজিমোরির বিচার হয়ে দীর্ঘমেয়াদি
কারাদণ্ড হয়েছিল । অভিযোগ ছিল, তাঁর শাসনামলে বহু বিরোধী নেতা-কর্মীকে
বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছিল, গুম করা হয়েছিল শত শত মানুষকে।
২০০১
সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে আল-কায়দার বিমান হমলার চেয়ে
অনেক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল ১৯৭৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আমেরিকার আরেক দেশ
চিলিতে। চিলির সেনাপ্রধান জেনারেল আউগুস্তো পিনোশে নির্বাচিত বামপন্থী
রাষ্ট্রপতি সালভাদর আয়েন্দেকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেন। পিনোশের ১৭ বছরের
দীর্ঘ শাসনামলে হাজার হাজার বামপন্থী নেতা-কর্মীকে নির্বিচারে হত্যা ও গুম
করা হয়। তিনি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পর নিজেকে বাঁচাতে অনেক দিন
সেনাপ্রধানের পদ আঁকড়ে ধরে ছিলেন। পরে ইংল্যান্ড, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে
পালিয়ে বেড়িয়েছেন। কিন্তু বিচার তাঁর পিছু ছাড়েনি। ইংল্যান্ড ও স্পেনে তাঁর
বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। অবশ্য শাস্তি হওয়ার আগেই তিনি মারা গিয়ে
রক্ষা পেয়েছিলেন। গত শতাব্দীর আশি ও নব্বইয়ের দশকে পিনোশেকে বিশ্বের অন্যতম
শক্তিশালী একনায়ক মনে করা হতো। তা সত্ত্বেও তিনি বিচারের হাত থেকে রেহাই
পাননি। ফলে সারা বিশ্বে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমের শিকার ব্যক্তিদের
নিকটজনের মধ্যে একটা বিশ্বাস জন্মে যে অপরাধী যত শক্তিশালী হোক, তাঁর ও
তাঁর সঙ্গীদের বিচার দেরিতে হলেও হবে। এবং হচ্ছে। বিপুল ভোটে জয়ী
রাষ্ট্রপতি ফুজিমোরির বিচারে ২৫ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। হিসেন হেব্রে ১৯৮২
থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত ছিলেন আফ্রিকার চাঁদের রাষ্ট্রপতি। আট বছরে
হত্যা-নির্যাতনসহ অনেক অপকর্ম করেছিলেন। বিচারে তাঁর শাস্তি হয় যাবজ্জীবন
কারাদণ্ড। আবার দক্ষিণ আমেরিকায় ফিরে গেলে বলতে হয় আর্জেন্টিনার ক্ষমতাবান
জেনারেল রেনাল বিগনানের বিচার ও ২০ বছরের কারাদণ্ডের কথা। গুয়েতেমালার
হত্যা-গুমের হোতা সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এখন বিচারের মুখোমুখি
হচ্ছেন। বহু বহু বছরের জন্য ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছেন কারাগারে। বলা বাহুল্য,
শুধু নেতাদেরই বিচার ও শাস্তি হচ্ছে না, তাঁদের সহকর্মী-সহযোগীরাও বাদ
পড়ছেন না।
২. আমাদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড প্রথমে হয় দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই। গত শতাব্দীতে যুদ্ধ করে যেসব দেশ স্বাধীন হয়েছে, তার প্রতিটিতেই যুদ্ধ-পরবর্তী কিছু সময় অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা, খুনখারাবি, লুটপাট ইত্যাদি ছিল। যুদ্ধ করে স্বাধীন হওয়া কোনো দেশই এর থেকে রেহাই পায়নি। এর পরের বেশি সংখ্যায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এ দেশে ঘটে ২০০২-এর অক্টোবর থেকে ২০০৩-এর জানুয়ারি পর্যন্ত। পুলিশ, সেনা ও অন্যান্য বাহিনীর যৌথ অভিযানে তিন মাসে নিহত হন প্রায় ৬০ জন নাগরিক। সাম্প্রতিককালের মধ্যে এটি স্বল্প সময়ে সর্বাধিকসংখ্যক বিচারবহির্ভূত ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ২০০৩ সালে জাতীয় সংসদ আইন পাস করে যৌথ বাহিনীকে সেই সময়ের হত্যাসহ অন্য সব অপরাধ থেকে দায়মুক্তি দিয়েছিল। হাইকোর্ট বিভাগ এই আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে বাতিল করেছেন। অতএব এই সময়ের অপরাধগুলোর বিচার একদিন হবে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দায়মুক্তির অধ্যাদেশটি ১৯৯৬ সালের ১৪ নভেম্বর তারিখে দ্য ইনডেমনিটি অ্যাক্ট, ১৯৯৬-এর মাধ্যমে বাতিল করা হয় এবং পরে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়, অনেকের শাস্তি কার্যকর হয়।
৩. ২০১৭ সালে অনেকেই নিখোঁজ ও গুম হয়েছেন। বছরের শেষের দিকে দুই-চার মাস আগে ‘নিখোঁজ’ হওয়া কয়েকজন ফিরে এসেছেন। অনেকের ফেরার অপেক্ষায় আছে তাঁদের স্বজনেরা। যাঁরা ফিরে এসেছেন, তাঁদের সবার ঘটনা প্রায় একই রকম; যে একই বর্ণনা শুনে আসছি ২০০৪ সাল থেকে, ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধগুলোর ঘটনায়। প্রায় সব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডেই কথিত সন্ত্রাসীর ওত পেতে থাকা দোসররা গভীর রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর গুলি ছোড়ে, তাঁরা পাল্টা গুলি ছোড়েন। আটককৃত ব্যক্তিটি দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হন। নিখোঁজ হয়ে ফিরে আসা ব্যক্তিদের গল্পগুলোও প্রায় একই রকমের: কে ধরে নিয়ে গিয়েছিল তা বলতে পারেন না, কারণ চোখ বাঁধা ছিল। তাঁকে কোথায় আটকে রাখা হয়েছিল, সেটাও জানেন না। কেন ছেড়ে দিল, তা-ও জানেন না। অতএব উপসংহার: গুমের জন্য দায়ী একটা গোষ্ঠী এবং তাদের পারদর্শিতা ও দক্ষতার নমুনা আমরা কিছুটা হলেও পেয়েছি নারায়ণগঞ্জের সাত হত্যাকাণ্ডের মামলা থেকে।
৪. বিভিন্ন দেশে গত শতাব্দীর ৭০, ৮০ ও ৯০-এর দশকে সংঘটিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমের বিচার হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সনদও হয়েছে। বিচারগুলো এ জন্যই হচ্ছে যে প্রতিটি দেশ ও সমাজ ক্রমে বুঝতে পারছে যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুম কোনো সমাজেরই কল্যাণ বয়ে আনেনি। দায়ী ব্যক্তিদের বিচার না করলে রাষ্ট্র কল্যাণকর রাষ্ট্রে উন্নীত হতে পারে না। যে দেশে যখন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুম বেড়ে যায়, তখন সে দেশে অদ্ভুত ধরনের ব্যক্তিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল পদগুলোতে থাকেন। পরে তাঁরা বিচারের সম্মুখীন হন এবং শাস্তি পান। এখন শাস্তি ভোগ করছেন নিকট অতীতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, পুলিশের মহাপরিদর্শক, এনএসআইয়ের প্রধানসহ অন্যরা। ২০ বছর পর যখন ইতিহাস লেখা হবে, সেই ইতিহাস হবে চিলি, আর্জেন্টিনা, চাঁদ ও অন্যান্য দেশে আজকে যে রকম ইতিহাস লেখা হচ্ছে, সে রকম। ২০ বছর পরে ২০১৭ সালে সংঘটিত গুমের শাস্তির ইতিহাস যদি আমরা লিখতে না পারি, অর্থাৎ চলে যাওয়া বছরে গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার ও শাস্তির ইতিহাস যদি রচিত না হয়, তাহলে ২০৩৭ সালে হয়তো বাংলাদেশ হবে একটা দুর্বল রাষ্ট্র, যেখানে খুন, রাহাজানি, সন্ত্রাস, নির্যাতন, গণহত্যা ইত্যাদিই হবে আইন। কিন্তু এই রাষ্ট্রকে আমরা কোনো মতেই ব্যর্থ রাষ্ট্র হতে দেব না। তাই বিচারের ইতিহাস অবশ্যই লেখা হবে। এবং লেখা হবে খুব শিগগিরই।
ড. শাহদীন মালিক: অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; আইনের শিক্ষক, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক।
২. আমাদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড প্রথমে হয় দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই। গত শতাব্দীতে যুদ্ধ করে যেসব দেশ স্বাধীন হয়েছে, তার প্রতিটিতেই যুদ্ধ-পরবর্তী কিছু সময় অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা, খুনখারাবি, লুটপাট ইত্যাদি ছিল। যুদ্ধ করে স্বাধীন হওয়া কোনো দেশই এর থেকে রেহাই পায়নি। এর পরের বেশি সংখ্যায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এ দেশে ঘটে ২০০২-এর অক্টোবর থেকে ২০০৩-এর জানুয়ারি পর্যন্ত। পুলিশ, সেনা ও অন্যান্য বাহিনীর যৌথ অভিযানে তিন মাসে নিহত হন প্রায় ৬০ জন নাগরিক। সাম্প্রতিককালের মধ্যে এটি স্বল্প সময়ে সর্বাধিকসংখ্যক বিচারবহির্ভূত ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ২০০৩ সালে জাতীয় সংসদ আইন পাস করে যৌথ বাহিনীকে সেই সময়ের হত্যাসহ অন্য সব অপরাধ থেকে দায়মুক্তি দিয়েছিল। হাইকোর্ট বিভাগ এই আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে বাতিল করেছেন। অতএব এই সময়ের অপরাধগুলোর বিচার একদিন হবে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দায়মুক্তির অধ্যাদেশটি ১৯৯৬ সালের ১৪ নভেম্বর তারিখে দ্য ইনডেমনিটি অ্যাক্ট, ১৯৯৬-এর মাধ্যমে বাতিল করা হয় এবং পরে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়, অনেকের শাস্তি কার্যকর হয়।
৩. ২০১৭ সালে অনেকেই নিখোঁজ ও গুম হয়েছেন। বছরের শেষের দিকে দুই-চার মাস আগে ‘নিখোঁজ’ হওয়া কয়েকজন ফিরে এসেছেন। অনেকের ফেরার অপেক্ষায় আছে তাঁদের স্বজনেরা। যাঁরা ফিরে এসেছেন, তাঁদের সবার ঘটনা প্রায় একই রকম; যে একই বর্ণনা শুনে আসছি ২০০৪ সাল থেকে, ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধগুলোর ঘটনায়। প্রায় সব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডেই কথিত সন্ত্রাসীর ওত পেতে থাকা দোসররা গভীর রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর গুলি ছোড়ে, তাঁরা পাল্টা গুলি ছোড়েন। আটককৃত ব্যক্তিটি দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হন। নিখোঁজ হয়ে ফিরে আসা ব্যক্তিদের গল্পগুলোও প্রায় একই রকমের: কে ধরে নিয়ে গিয়েছিল তা বলতে পারেন না, কারণ চোখ বাঁধা ছিল। তাঁকে কোথায় আটকে রাখা হয়েছিল, সেটাও জানেন না। কেন ছেড়ে দিল, তা-ও জানেন না। অতএব উপসংহার: গুমের জন্য দায়ী একটা গোষ্ঠী এবং তাদের পারদর্শিতা ও দক্ষতার নমুনা আমরা কিছুটা হলেও পেয়েছি নারায়ণগঞ্জের সাত হত্যাকাণ্ডের মামলা থেকে।
৪. বিভিন্ন দেশে গত শতাব্দীর ৭০, ৮০ ও ৯০-এর দশকে সংঘটিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমের বিচার হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সনদও হয়েছে। বিচারগুলো এ জন্যই হচ্ছে যে প্রতিটি দেশ ও সমাজ ক্রমে বুঝতে পারছে যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুম কোনো সমাজেরই কল্যাণ বয়ে আনেনি। দায়ী ব্যক্তিদের বিচার না করলে রাষ্ট্র কল্যাণকর রাষ্ট্রে উন্নীত হতে পারে না। যে দেশে যখন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুম বেড়ে যায়, তখন সে দেশে অদ্ভুত ধরনের ব্যক্তিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল পদগুলোতে থাকেন। পরে তাঁরা বিচারের সম্মুখীন হন এবং শাস্তি পান। এখন শাস্তি ভোগ করছেন নিকট অতীতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, পুলিশের মহাপরিদর্শক, এনএসআইয়ের প্রধানসহ অন্যরা। ২০ বছর পর যখন ইতিহাস লেখা হবে, সেই ইতিহাস হবে চিলি, আর্জেন্টিনা, চাঁদ ও অন্যান্য দেশে আজকে যে রকম ইতিহাস লেখা হচ্ছে, সে রকম। ২০ বছর পরে ২০১৭ সালে সংঘটিত গুমের শাস্তির ইতিহাস যদি আমরা লিখতে না পারি, অর্থাৎ চলে যাওয়া বছরে গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার ও শাস্তির ইতিহাস যদি রচিত না হয়, তাহলে ২০৩৭ সালে হয়তো বাংলাদেশ হবে একটা দুর্বল রাষ্ট্র, যেখানে খুন, রাহাজানি, সন্ত্রাস, নির্যাতন, গণহত্যা ইত্যাদিই হবে আইন। কিন্তু এই রাষ্ট্রকে আমরা কোনো মতেই ব্যর্থ রাষ্ট্র হতে দেব না। তাই বিচারের ইতিহাস অবশ্যই লেখা হবে। এবং লেখা হবে খুব শিগগিরই।
ড. শাহদীন মালিক: অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; আইনের শিক্ষক, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক।
No comments