নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের শপিং- দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার এই তো সুযোগ
আগের দিনে রাজা-বাদশারা নিয়মিত ভ্রমণ
করতেন। তাঁদের সঙ্গে ভ্রমণসঙ্গী হিসেবে থাকতেন স্ত্রী, সন্তান, উজির,
আত্মীয়, ভাইবোন ও বন্ধুদের বিশাল দল। সবাই মিলে ভ্রমণ করাটাই ছিল ঐতিহ্য।
আজ রাজা-বাদশারা নেই।
সেই ঐতিহ্যও যেন অনেকটা হারিয়ে যেতে
বসেছে। তবে, হারিয়ে যাওয়া সেই ঐতিহ্যকেই অতল গহ্বর থেকে টেনে এনেছি
আমরা। ঐতিহ্য রক্ষায় বিশ্বজুড়েই আমাদের খ্যাতি রয়েছে। দলবল নিয়ে ভ্রমণ
করার ঐতিহ্য বোধ হয় আবারও পুনরুদ্ধার হতে চলল। কদিন আগে আমাদের
প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১৪০ জন সফরসঙ্গী নিয়ে নিউইয়র্ক গিয়েছেন।
রাজা-বাদশাদের তুলনায় সংখ্যাটা একটু কম হয়ে গেছে, তাতে কি! এক দিনেই তো
আর পুরো ঐতিহ্য উদ্ধার করা সম্ভব নয়। সময় লাগবে। প্রধানমন্ত্রীর
সফরসঙ্গীর মধ্যে আছেন মন্ত্রী, এমপি, মন্ত্রীপত্নী, এমপিপত্নী, নানা স্তরের
নেতা-কর্মী এবং তাঁদের পরিবার, কবি, সাহিত্যিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন জাতিসংঘের অধিবেশনে বক্তব্য দিতে। জাতিসংঘটাও যেন কেমন, সফরসঙ্গীদের বক্তব্য দেওয়ার কোনো অপশনই রাখেনি। কী আর করা, সময় কাটাতে তাঁরা নিউইয়র্কে ঘুরছেন, শপিং করছেন। দীর্ঘদিন ধরে এসব মন্ত্রী, নেতা-কর্মী দেশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। একটু বিশ্রামের সময়ও পাননি। এত দিন পর তাঁরা একটু অবসর পেয়েছেন। কিন্তু তাঁরা তো কাজ ছাড়া বসে থাকার পাত্র নন। একটা কিছু তো করতে হবে। তাই মনভরে শপিং করছেন। তা ছাড়া বাংলাদেশকে অনেকেই গরিব দেশ মনে করে। তাঁদের বিলাসবহুল শপিং দেখে নিশ্চয়ই আমাদের আর কেউ গরিব বলবে না। বিশাল বিশাল স্যুটকেস-ব্যাগসহ তাঁদের দেখে নিউইয়র্কবাসী যখন অবাক হয়ে বলবে, ‘ওই দেখ, বাংলাদেশের এক পাতিনেতার বন্ধু। উনিই কত ধনী! নেতাদের কথা তো ভাবাই যায় না।’ তখন গর্বে আমাদের বুক ভরে যাবে! আর শপিং করাও একটা বিরাট গুণ। কত বিদেশি নেতাই তো বাংলাদেশে আসেন, কই, শপিং তো করতে পারেন না।
আমাদের নেতা-কর্মী এবং তাঁদের পরিবার এ ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে আছেন। তাই দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের জন্য আমাদের নেতা-কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের উচিত আরও বেশি বেশি শপিং করা। তাঁদের এ মহানুভবতার কথা জাতি চিরদিন মনে রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন জাতিসংঘের অধিবেশনে বক্তব্য দিতে। জাতিসংঘটাও যেন কেমন, সফরসঙ্গীদের বক্তব্য দেওয়ার কোনো অপশনই রাখেনি। কী আর করা, সময় কাটাতে তাঁরা নিউইয়র্কে ঘুরছেন, শপিং করছেন। দীর্ঘদিন ধরে এসব মন্ত্রী, নেতা-কর্মী দেশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। একটু বিশ্রামের সময়ও পাননি। এত দিন পর তাঁরা একটু অবসর পেয়েছেন। কিন্তু তাঁরা তো কাজ ছাড়া বসে থাকার পাত্র নন। একটা কিছু তো করতে হবে। তাই মনভরে শপিং করছেন। তা ছাড়া বাংলাদেশকে অনেকেই গরিব দেশ মনে করে। তাঁদের বিলাসবহুল শপিং দেখে নিশ্চয়ই আমাদের আর কেউ গরিব বলবে না। বিশাল বিশাল স্যুটকেস-ব্যাগসহ তাঁদের দেখে নিউইয়র্কবাসী যখন অবাক হয়ে বলবে, ‘ওই দেখ, বাংলাদেশের এক পাতিনেতার বন্ধু। উনিই কত ধনী! নেতাদের কথা তো ভাবাই যায় না।’ তখন গর্বে আমাদের বুক ভরে যাবে! আর শপিং করাও একটা বিরাট গুণ। কত বিদেশি নেতাই তো বাংলাদেশে আসেন, কই, শপিং তো করতে পারেন না।
আমাদের নেতা-কর্মী এবং তাঁদের পরিবার এ ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে আছেন। তাই দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের জন্য আমাদের নেতা-কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের উচিত আরও বেশি বেশি শপিং করা। তাঁদের এ মহানুভবতার কথা জাতি চিরদিন মনে রাখবে।
No comments