শ্রীঘরে লালু বেহাল আধপেটা দিনকাল
কানের পাশে সমানে গুনগুনিয়ে গান গাইছে। আবার মনের সুখে রক্তও খাচ্ছে। নাহ! আর তো পারা গেল না। প্রথম রাতেই যদি বিরসা মুন্ডের শ্রীঘরে (জেলখানায়) মশা আর ছারপোকার কামড় খেতে হয়, কাহাতক আর ভালো লাগে! যে কোনো সাধারণ মানুষ হলে মশা মেরে আর ছারপোকা তাড়িয়েই রণে ভঙ্গ দিতেন। কিন্তু ইনি ভারতের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব- তাই এসব সহজ রাস্তা মোটেই তাকে মানায় না। একে তো সারা রাত ঘুম হয়নি। মেজাজ খাপ্পা। ফলে সকাল থেকেই জেলের মধ্যে নিজস্ব ঢঙে শোরগোল ফেলে দিলেন। তখনই তার কাগজ-কলম চাই। চিঠি লিখবেন পুর কর্তৃপক্ষকে। জেল সুপারের তো তখন ‘ত্রাহি মধুসূদন!’ অবস্থা। যত যাই হোক লালু বলে কথা। তাকে শান্ত করা গেল কোনো ক্রমে। জেল কর্তৃপক্ষ তাকে বলেন, ‘আমরা আপনার অভিযোগ শুনেছি। তবে এ চিঠি কোনো বন্দি দিতে পারেন না।
আমরাই দিচ্ছি।’ এরপর অবশ্য আর দেরি হয়নি। মশা ও ছারপোকা মারার জন্য চিঠি যায় পুর কর্তৃপক্ষের কাছে। জেল কর্তৃপক্ষও বলে, ‘মঙ্গলবার রাত থেকে আর কোনো সমস্যা হবে না। আমরা মশা ও ছারপোকা মারার সব ব্যবস্থা করছি।’ গত দু’বছর ধরেই বন্দিরা এই ছারপোকা আর মশার উপদ্রবের কথা বলে আসছেন, কিন্তু বিশেষ পাত্তা দেননি জেলার। এবার লালু বলতেই নড়েচড়ে বসলেন তারা। তবে লালু আর সেই লালু নেই- তার সেই চেনা মেজাজও আর নেই। মোটেও ভালো যাচ্ছে না তার দিনকাল। গেঞ্জি আর পায়জামায় আছেন জেলে। যে সেলে আছেন, সেখানে আবার এয়ারকুলার নেই। ফ্যানের হাওয়াটা তাই মানিয়ে নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। খাবারও সেই ডাল-রুটি- তাও মাপা ওজনের। জেলবন্দিরা নির্দিষ্ট পরিমাণেরই খাবার পান, নিয়ম তাই। লালুর জন্যও সেই আধপেটা নিয়মের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। ইন্ডিয়া টুডে, দ্য হিন্দু, হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments