চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার নেতৃবৃন্দের প্রস্তুতি সভা কাল- খালেদা জিয়ার সমাবেশ by হাসান নাসির

 দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আগমনকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে বিএনপির হেভিওয়েট নেতারা একসঙ্গে বসলেও তৃণমূলে জোড়াতালি লাগছে কী? এ প্রশ্ন খোদ বিএনপি অভ্যনত্মরেই।
মহাসমাবেশে কমর্ী সমর্থকরা যোগ দেবে এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু শেষ পর্যনত্ম এটি বহুধা বিভক্ত বিএনপি নেতাদের শোডাউনের মধ্য দিয়ে মূলত শক্তি প্রদর্শনের মহড়া হতে যাচ্ছে কিনা সে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। দলীয় সূত্রে জানানো হয়, আগামী ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে বেগম জিয়ার সমাবেশ সফল করাই এখন প্রধান কর্তব্য। যে কোন মূল্যে মহাসমাবেশ সফল করতে নেতাকমর্ীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। আর এ ল্যে আগামীকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রামের হোটেল সেন্টমার্টিনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার নেতৃবৃন্দকে নিয়ে প্রস্তুতি সভা। সেখানে নেয়া হবে বিভিন্ন জেলা থেকে লোকসমাগমের পরিকল্পনা। সভায় উপস্থিত থাকবেন বিএনপির চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় নেতারা। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে নির্বাচিত দলীয় এমপিদেরও।
এদিকে, কোন্দলের পুরোভাগে থাকা হেভিওয়েট নেতারা এক বৈঠকে মিলিত হলেও তা সাধারণ কমর্ী সমর্থককে কতটা প্রভাবিত করবে এ নিয়ে সংশয় রয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া হাঙ্গামার পর থেকে এখনও পর্যনত্ম এক হতে পারেনি তৃণমূলের নেতাকমর্ীরা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুলস্নাহ আল নোমান এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার জনকণ্ঠকে বলেন, আমাদের চেষ্টা থাকবে ঐক্যবদ্ধ প্রস্তুতির জন্য। যেহেতু সকলেই বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী এবং সকলেই চায় চেয়ারপার্সনের মহাসমাবেশ সফল হোক, সেহেতু কোন নেতার সমর্থনে পৃথক জমায়েতের প্রয়োজন নেই। আগামীকাল শনিবারের প্রস্তুতি সভায় তিনিসহ কেন্দ্র ও জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। সেখান থেকে পরিকল্পনা চূড়ানত্ম করা হবে।
দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার জানান, মহাসমাবেশের জন্য আগামী ২২ মার্চের তৃণমূল সভা বাতিল করা হয়েছে। চেয়ারপার্সনের সমাবেশের পর সুবিধাজনক যে কোন সময় তা করা যাবে। আগামীকালের প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম বিভাগের আওতাধীন ১১টি জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নেতারা।

No comments

Powered by Blogger.