পুরোনো আইনেই শেয়ার ছাড়তে চায় ১৪ বিমা কোম্পানি
শেয়ারবাজারের বাইরে থাকা ১৪টি বিমা কোম্পানি নতুন বিমা আইনকে এড়িয়ে পুরোনো আইন অনুসরণ করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চাইছে। এতে করে কম পরিমাণ শেয়ার ছেড়েই কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হতে পারবে। অন্যদিকে উদ্যোক্তাদেরও বেশি টাকা দিতে হবে না।
পুরোনো আইনের আওতায় শেয়ার ছাড়ার ব্যাপারে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) সরকারের বিভিন্ন মহলে তদবির করে আসছে বলে জানা গেছে।
নতুন বিমা আইন-২০১০ অনুযায়ী যেকোনো সাধারণ বিমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন হবে ৪০ কোটি টাকা, আর জীবন বিমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন হবে ৩০ কোটি টাকা।
নতুন আইনে সাধারণ বিমা কোম্পানির ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকার ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ২৪ কোটি টাকা উদ্যোক্তা, আর বাকি ১৬ কোটি টাকা জনসাধারণের কাছ থেকে উত্তোলনের কথা বলা হয়েছে।
একইভাবে জীবন বিমা কোম্পানির ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে উত্তোলন করতে হবে ৩০ কোটি টাকার ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ১৮ কোটি টাকা। বাকি ১২ কোটি টাকা শেয়ার ছেড়ে জনসাধারণের কাছ থেকে তুলতে হবে।
অন্যদিকে পুরোনো ১৯৩৮ সালের বিমা আইন ও পরের বিধি অনুযায়ী সাধারণ বিমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি টাকা, আর জীবন বিমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন সাত কোটি ৫০ লাখ টাকা।
পুরোনো আইনের আওতায় পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ জনসাধারণের কাছ থেকে বা শেয়ার ছেড়ে সংগ্রহের জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু মোট পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ অনেক কম হওয়ায় কম শেয়ার ছেড়েই পরিশোধিত মূলধনের বাধ্যবাধকতা পূরণ করা যায়।
নতুন বিমা আইন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২১ (১) ও ২১ (৩) ধারা অনুযায়ী বিমা কোম্পানিগুলোকে পরিশোধিত মূলধন কমিয়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) এবং বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) মতামত নিয়েও কোনো সমাধান খুঁজে পায়নি।
এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এসইসি, আইডিআরএ ও বিআইএর সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এসইসির সদস্য আরিফ খান, আইডিআরএর সদস্য ফজলুল করিম, বিআইএর চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিমা কোম্পানিগুলোর আইপিওতে আসার যাবতীয় বিষয় এসইসি দেখবে বলে মতামত এসেছে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘তালিকাভুক্তির বাইরে থাকা কোম্পানিগুলো কীভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তালিকাভুক্ত হতে পারে, সে জন্য এসইসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে যখনই আসুক না কেন, আইন মেনেই আসতে হবে।’
পুরোনো না নতুন কোন আইনের আওতায় আসবে—এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান, ‘সেটাও সিদ্ধান্ত নেবে এসইসি।’
তবে বিমা কোম্পানিগুলোকে নতুন আইনে বর্ণিত পরিশোধিত মূলধনই পূরণ করতে হবে বলে মনে করেন আইডিআরএর চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘নতুন আইন কার্যকর হবে নতুন বিধির মাধ্যমে। সেই বিধি এখনো তৈরি হয়নি। বিধিতে যে পদ্ধতি ও সময়সীমা দেওয়া থাকবে, বিমা কোম্পানিগুলোকে তাই মানতে হবে।’
কোনো কোম্পানিরই আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন শেফাক আহমেদ।
বিআইএ চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘বাজারের বাইরে থাকা বিমা কোম্পানিগুলোকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাজারে আনার চেষ্টা চলছে। আইপিওর বিষয়টি এসইসি দেখবে।’
এসইসি সদস্য আরিফ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শেয়ারের সরবরাহ সংকটের বিষয়টি আমাদের মাথায় থাকে। সে অনুযায়ীই বিমা কোম্পানিগুলোর আইপিও প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে। তবে নতুন আইনে না পুরোনো আইনে তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় (১৯৯৬ থেকে ২০০১) বিমা কোম্পানিগুলোকে নিবন্ধন দেওয়ার সময় তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার শর্ত দিয়েছিল। ১৪টি কোম্পানি সেই শর্ত এখনো পূরণ করতে পারেনি। ফলে আইন অনুযায়ী সাত থেকে আট বছর ধরে বিলম্বের জন্য প্রত্যেক কোম্পানি প্রতিদিন এক হাজার টাকা করে জরিমানা দিয়ে আসছে।
আইডিআরএ: অর্থ মন্ত্রণালয়কে আইডিআরএ বলেছে, নতুন আইনে বিমা কোম্পানির জন্য পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন আইন পাস হওয়ার আগে যেসব কোম্পানি নিবন্ধিত হয়েছে, সেগুলোকে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি ও ৩০ কোটি টাকা থাকার শর্ত পূরণ করতে হবে নতুন বিধির মাধ্যমে। বিধিতে নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময়সীমা দেওয়া থাকবে। এ জন্য বর্তমানে বিমা ব্যবসায় নিয়োজিত কোম্পানিগুলোকে আইন প্রবর্তনের তারিখ (১৮ মার্চ, ২০১০) থেকে তিন বছর সময় দেওয়া যেতে পারে।
আইডিআরএ আরও বলেছে, স্বল্প মূলধনসম্পন্ন বিমা কোম্পানির ক্ষেত্রে নতুন আইনে বর্ণিত মূলধনের শর্ত পরিপালন করলেই কোনো কোম্পানিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বাজারে শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে, অন্যথায় নয়।
এসইসি: আইপিওর বিষয়ে ২০১০ সালের ১৪ নভেম্বর একটি নীতিমালা জারি করেছে এসইসি। এতে বলা হয়েছে, আইপিওর জন্য ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন হবে (বর্তমান + প্রস্তাবিত) ৩০ কোটি টাকা। আর ন্যূনতম আইপিওর আকার হবে ১২ কোটি টাকা, তবে তা কোম্পানির মোট পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের কম হবে না।
নীতিমালাটি বর্তমানেও প্রযোজ্য—এ কথা উল্লেখ করে এসইসি অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, এই নীতিমালার কারণে আগের আইনের আওতায় নিবন্ধন নেওয়া বিমা কোম্পানিগুলো আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার ছাড়তে পারছে না।
এসইসি অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, স্বল্প মূলধন অর্থাৎ ১৮ কোটি টাকার কম পরিশোধিত মূলধনের ক্ষেত্রে আইডিআরএর সঙ্গে এসইসি একমত। আইডিআরএ যে তিন বছরের সময় দিয়েছে, তাতেও দ্বিমত নেই সংস্থাটির।
এসইসি আরও জানিয়েছে, আইপিওতে আসার পর স্বল্প মূলধনসম্পন্ন বিমা কোম্পানিগুলোকে নতুন আইন অনুসারে মূলধন উত্তোলন করতে হবে। কোম্পানিগুলো এই মূলধন উত্তোলিত না হওয়া পর্যন্ত রাইট শেয়ার ও বোনাস শেয়ার ইস্যু করে তা উত্তোলন করতে পারবে এবং এ সময় তারা কোনো নগদ লভ্যাংশ দিতে পারবে না।
১৪টি কোম্পানি: জীবন বিমা ও সাধারণ বিমা মিলিয়ে বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রয়েছে ৪৪টি। আর তালিকাভুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে ১৪টি কোম্পানি। এর মধ্যে সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলো হলো, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী কমার্শিয়াল, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্স ও ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স। জীবন বিমার মধ্যে রয়েছে সান লাইফ, সানফ্লাওয়ার লাইফ, পদ্মা ইসলামী লাইফ, বায়রা লাইফ, গোল্ডেন লাইফ ও হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি।
পুরোনো আইনের আওতায় শেয়ার ছাড়ার ব্যাপারে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) সরকারের বিভিন্ন মহলে তদবির করে আসছে বলে জানা গেছে।
নতুন বিমা আইন-২০১০ অনুযায়ী যেকোনো সাধারণ বিমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন হবে ৪০ কোটি টাকা, আর জীবন বিমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন হবে ৩০ কোটি টাকা।
নতুন আইনে সাধারণ বিমা কোম্পানির ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকার ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ২৪ কোটি টাকা উদ্যোক্তা, আর বাকি ১৬ কোটি টাকা জনসাধারণের কাছ থেকে উত্তোলনের কথা বলা হয়েছে।
একইভাবে জীবন বিমা কোম্পানির ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে উত্তোলন করতে হবে ৩০ কোটি টাকার ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ১৮ কোটি টাকা। বাকি ১২ কোটি টাকা শেয়ার ছেড়ে জনসাধারণের কাছ থেকে তুলতে হবে।
অন্যদিকে পুরোনো ১৯৩৮ সালের বিমা আইন ও পরের বিধি অনুযায়ী সাধারণ বিমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি টাকা, আর জীবন বিমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন সাত কোটি ৫০ লাখ টাকা।
পুরোনো আইনের আওতায় পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ জনসাধারণের কাছ থেকে বা শেয়ার ছেড়ে সংগ্রহের জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু মোট পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ অনেক কম হওয়ায় কম শেয়ার ছেড়েই পরিশোধিত মূলধনের বাধ্যবাধকতা পূরণ করা যায়।
নতুন বিমা আইন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২১ (১) ও ২১ (৩) ধারা অনুযায়ী বিমা কোম্পানিগুলোকে পরিশোধিত মূলধন কমিয়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) এবং বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) মতামত নিয়েও কোনো সমাধান খুঁজে পায়নি।
এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এসইসি, আইডিআরএ ও বিআইএর সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এসইসির সদস্য আরিফ খান, আইডিআরএর সদস্য ফজলুল করিম, বিআইএর চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিমা কোম্পানিগুলোর আইপিওতে আসার যাবতীয় বিষয় এসইসি দেখবে বলে মতামত এসেছে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘তালিকাভুক্তির বাইরে থাকা কোম্পানিগুলো কীভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তালিকাভুক্ত হতে পারে, সে জন্য এসইসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে যখনই আসুক না কেন, আইন মেনেই আসতে হবে।’
পুরোনো না নতুন কোন আইনের আওতায় আসবে—এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান, ‘সেটাও সিদ্ধান্ত নেবে এসইসি।’
তবে বিমা কোম্পানিগুলোকে নতুন আইনে বর্ণিত পরিশোধিত মূলধনই পূরণ করতে হবে বলে মনে করেন আইডিআরএর চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘নতুন আইন কার্যকর হবে নতুন বিধির মাধ্যমে। সেই বিধি এখনো তৈরি হয়নি। বিধিতে যে পদ্ধতি ও সময়সীমা দেওয়া থাকবে, বিমা কোম্পানিগুলোকে তাই মানতে হবে।’
কোনো কোম্পানিরই আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন শেফাক আহমেদ।
বিআইএ চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘বাজারের বাইরে থাকা বিমা কোম্পানিগুলোকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাজারে আনার চেষ্টা চলছে। আইপিওর বিষয়টি এসইসি দেখবে।’
এসইসি সদস্য আরিফ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শেয়ারের সরবরাহ সংকটের বিষয়টি আমাদের মাথায় থাকে। সে অনুযায়ীই বিমা কোম্পানিগুলোর আইপিও প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে। তবে নতুন আইনে না পুরোনো আইনে তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় (১৯৯৬ থেকে ২০০১) বিমা কোম্পানিগুলোকে নিবন্ধন দেওয়ার সময় তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার শর্ত দিয়েছিল। ১৪টি কোম্পানি সেই শর্ত এখনো পূরণ করতে পারেনি। ফলে আইন অনুযায়ী সাত থেকে আট বছর ধরে বিলম্বের জন্য প্রত্যেক কোম্পানি প্রতিদিন এক হাজার টাকা করে জরিমানা দিয়ে আসছে।
আইডিআরএ: অর্থ মন্ত্রণালয়কে আইডিআরএ বলেছে, নতুন আইনে বিমা কোম্পানির জন্য পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন আইন পাস হওয়ার আগে যেসব কোম্পানি নিবন্ধিত হয়েছে, সেগুলোকে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি ও ৩০ কোটি টাকা থাকার শর্ত পূরণ করতে হবে নতুন বিধির মাধ্যমে। বিধিতে নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময়সীমা দেওয়া থাকবে। এ জন্য বর্তমানে বিমা ব্যবসায় নিয়োজিত কোম্পানিগুলোকে আইন প্রবর্তনের তারিখ (১৮ মার্চ, ২০১০) থেকে তিন বছর সময় দেওয়া যেতে পারে।
আইডিআরএ আরও বলেছে, স্বল্প মূলধনসম্পন্ন বিমা কোম্পানির ক্ষেত্রে নতুন আইনে বর্ণিত মূলধনের শর্ত পরিপালন করলেই কোনো কোম্পানিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বাজারে শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে, অন্যথায় নয়।
এসইসি: আইপিওর বিষয়ে ২০১০ সালের ১৪ নভেম্বর একটি নীতিমালা জারি করেছে এসইসি। এতে বলা হয়েছে, আইপিওর জন্য ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন হবে (বর্তমান + প্রস্তাবিত) ৩০ কোটি টাকা। আর ন্যূনতম আইপিওর আকার হবে ১২ কোটি টাকা, তবে তা কোম্পানির মোট পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের কম হবে না।
নীতিমালাটি বর্তমানেও প্রযোজ্য—এ কথা উল্লেখ করে এসইসি অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, এই নীতিমালার কারণে আগের আইনের আওতায় নিবন্ধন নেওয়া বিমা কোম্পানিগুলো আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার ছাড়তে পারছে না।
এসইসি অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, স্বল্প মূলধন অর্থাৎ ১৮ কোটি টাকার কম পরিশোধিত মূলধনের ক্ষেত্রে আইডিআরএর সঙ্গে এসইসি একমত। আইডিআরএ যে তিন বছরের সময় দিয়েছে, তাতেও দ্বিমত নেই সংস্থাটির।
এসইসি আরও জানিয়েছে, আইপিওতে আসার পর স্বল্প মূলধনসম্পন্ন বিমা কোম্পানিগুলোকে নতুন আইন অনুসারে মূলধন উত্তোলন করতে হবে। কোম্পানিগুলো এই মূলধন উত্তোলিত না হওয়া পর্যন্ত রাইট শেয়ার ও বোনাস শেয়ার ইস্যু করে তা উত্তোলন করতে পারবে এবং এ সময় তারা কোনো নগদ লভ্যাংশ দিতে পারবে না।
১৪টি কোম্পানি: জীবন বিমা ও সাধারণ বিমা মিলিয়ে বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রয়েছে ৪৪টি। আর তালিকাভুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে ১৪টি কোম্পানি। এর মধ্যে সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলো হলো, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী কমার্শিয়াল, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্স ও ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স। জীবন বিমার মধ্যে রয়েছে সান লাইফ, সানফ্লাওয়ার লাইফ, পদ্মা ইসলামী লাইফ, বায়রা লাইফ, গোল্ডেন লাইফ ও হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি।
No comments