দ্রাবিড়কে ছাপিয়ে নায়ক ব্রড
২৭৩। স্কোরবোর্ডের এই সংখ্যাটা কি কাল রাতে দুঃস্বপ্ন হয়ে তাড়া করেছে ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে? শুধু ধোনি নন, এই ২৭৩ পুরো ভারতীয় দলকেই তাড়িয়ে বেড়ানোর কথা। ‘মি. ওয়াল’ রাহুল দ্রাবিড়ের ব্যাটে ভারত ছুটছিল রোশনাই ছড়ানো পথে। কিন্তু ওই ২৭৩-এ এসেই আলোকিত পথে নামে অন্ধকার। ২৭৩-এ দাঁড়িয়েই ৪ উইকেটের পতন! এর তিনটিই পর পর তিন বলে তুলে নিয়ে টেস্ট ইতিহাসের ‘৩৯তম’ হ্যাটট্রিক উদ্যাপন করলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। টেস্টে ভারতের বিপক্ষে কোনো বোলারের প্রথম হ্যাটট্রিক।
ইতিহাসের ৩৭তম এবং ইংল্যান্ডের দ্বাদশ বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন ব্রড। অস্ট্রেলিয়ার জিমি ম্যাথাউস এবং পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরামের কেবল দুটি করে হ্যাটট্রিক। জিমি ম্যাথাউস আবার হ্যাটট্রিক দুটি করেছিলেন ১৯১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একই টেস্টের একই দিনে!
ধোনি, হরভজন ও প্রাভিন কুমারকে দিয়ে ব্রডের এই হ্যাটট্রিকে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার মারাইস এরাসমাসের অবদানও আছে! হরভজনের বলটি আগে ব্যাটে লাগলেও ব্রডের আবেদনে সাড়া দিয়েছেন এরাসমাস। সে যা-ই হোক, ব্রডের এই হ্যাটট্রিকই কাল শেষ বিকেলে নাটকীয়ভাবে ঘুরিয়ে দেয় ম্যাচের মোড়। ২৭৩-এর ধাক্কায় ৪ উইকেটে ২৬৭ রান থেকে ভারত ২৮৮ রানে অলআউট! মানে ২১ রানের ব্যবধানে শেষ ৬ উইকেটের পতন! একপর্যায়ে বড় লিডের স্বপ্ন দেখা ভারত পায় মাত্র ৬৭ রানের লিড।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতেও দলকে বিপদ থেকে টেনে তুলেছিলেন ব্রড। এবার দলকে ব্যাকফুট থেকে ম্যাচে ফেরালেন হ্যাটট্রিকসহ ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে। ৪৬ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ইনিংসে চতুর্থবারের মতো ৫ উইকেট-কীর্তি।
অথচ দিনের গল্পটা ব্রডময় না হয়ে পারত দ্রাবিড়ময়। রাহুল দ্রাবিড়ের ব্যাটই ভারতকে নিয়ে যায় লিডের পথে। লর্ডসের পর কাল ট্রেন্টব্রিজেও করেছেন সেঞ্চুরি (১১৭)। এই সেঞ্চুরি দিয়ে দ্রাবিড় ছুঁয়ে ফেললেন সুনীল গাভাস্কার ও ব্রায়ান লারাকে। টেস্টে তিনজনেরই সেঞ্চুরি সমান—৩৪টি করে। ওয়েবসাইট।
১ উইকেটে ২৪ রান নিয়ে দিন শুরু করে দ্রাবিড়-লক্ষ্মণ কাল যোগ করেন আরও ৬৯। দর্শনীয় সব শট খেলে হাফ সেঞ্চুরি করা লক্ষ্মণ (৫৪) আরও একবার আউট আলস্য ভঙ্গিতে খেলতে গিয়ে। সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি আলোচনায় আরও একবার পানি ঢেলে টেন্ডুলকার আউট ১৬ রানে। অনেক দিন পর টেস্টে ফিরে যুবরাজ সিং প্রমাণ করেছেন নিজের সামর্থ্য। দ্রাবিড়ের সঙ্গে তাঁর ১২৮ রানের জুটিটিই মূলত ভারতকে নিয়ে যাচ্ছিল বড় লিগের পথে। কিন্তু অল্প সময়ের ওই ঝড়েই সর্বনাশ ভারতের। যে ঝড়ের শুরুটা যুবরাজকে (৬২) দিয়েই। ব্রেসনান-অ্যান্ডারসন নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড করেছে ১ উইকেটে ২৪ রান। ভারত এখনো এগিয়ে আছে ৪৩ রানে।
রানপ্রবাহ
টেস্টে টানা চার ইনিংসে অন্তত ফিফটির দেখা পাননি—টেন্ডুলকারের জন্য এই অভিজ্ঞতা এর আগে সর্বশেষ হয়েছিল তিন বছর আগে।
ইতিহাসের ৩৭তম এবং ইংল্যান্ডের দ্বাদশ বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন ব্রড। অস্ট্রেলিয়ার জিমি ম্যাথাউস এবং পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরামের কেবল দুটি করে হ্যাটট্রিক। জিমি ম্যাথাউস আবার হ্যাটট্রিক দুটি করেছিলেন ১৯১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একই টেস্টের একই দিনে!
ধোনি, হরভজন ও প্রাভিন কুমারকে দিয়ে ব্রডের এই হ্যাটট্রিকে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার মারাইস এরাসমাসের অবদানও আছে! হরভজনের বলটি আগে ব্যাটে লাগলেও ব্রডের আবেদনে সাড়া দিয়েছেন এরাসমাস। সে যা-ই হোক, ব্রডের এই হ্যাটট্রিকই কাল শেষ বিকেলে নাটকীয়ভাবে ঘুরিয়ে দেয় ম্যাচের মোড়। ২৭৩-এর ধাক্কায় ৪ উইকেটে ২৬৭ রান থেকে ভারত ২৮৮ রানে অলআউট! মানে ২১ রানের ব্যবধানে শেষ ৬ উইকেটের পতন! একপর্যায়ে বড় লিডের স্বপ্ন দেখা ভারত পায় মাত্র ৬৭ রানের লিড।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতেও দলকে বিপদ থেকে টেনে তুলেছিলেন ব্রড। এবার দলকে ব্যাকফুট থেকে ম্যাচে ফেরালেন হ্যাটট্রিকসহ ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে। ৪৬ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ইনিংসে চতুর্থবারের মতো ৫ উইকেট-কীর্তি।
অথচ দিনের গল্পটা ব্রডময় না হয়ে পারত দ্রাবিড়ময়। রাহুল দ্রাবিড়ের ব্যাটই ভারতকে নিয়ে যায় লিডের পথে। লর্ডসের পর কাল ট্রেন্টব্রিজেও করেছেন সেঞ্চুরি (১১৭)। এই সেঞ্চুরি দিয়ে দ্রাবিড় ছুঁয়ে ফেললেন সুনীল গাভাস্কার ও ব্রায়ান লারাকে। টেস্টে তিনজনেরই সেঞ্চুরি সমান—৩৪টি করে। ওয়েবসাইট।
১ উইকেটে ২৪ রান নিয়ে দিন শুরু করে দ্রাবিড়-লক্ষ্মণ কাল যোগ করেন আরও ৬৯। দর্শনীয় সব শট খেলে হাফ সেঞ্চুরি করা লক্ষ্মণ (৫৪) আরও একবার আউট আলস্য ভঙ্গিতে খেলতে গিয়ে। সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি আলোচনায় আরও একবার পানি ঢেলে টেন্ডুলকার আউট ১৬ রানে। অনেক দিন পর টেস্টে ফিরে যুবরাজ সিং প্রমাণ করেছেন নিজের সামর্থ্য। দ্রাবিড়ের সঙ্গে তাঁর ১২৮ রানের জুটিটিই মূলত ভারতকে নিয়ে যাচ্ছিল বড় লিগের পথে। কিন্তু অল্প সময়ের ওই ঝড়েই সর্বনাশ ভারতের। যে ঝড়ের শুরুটা যুবরাজকে (৬২) দিয়েই। ব্রেসনান-অ্যান্ডারসন নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড করেছে ১ উইকেটে ২৪ রান। ভারত এখনো এগিয়ে আছে ৪৩ রানে।
রানপ্রবাহ
টেস্টে টানা চার ইনিংসে অন্তত ফিফটির দেখা পাননি—টেন্ডুলকারের জন্য এই অভিজ্ঞতা এর আগে সর্বশেষ হয়েছিল তিন বছর আগে।
No comments