মুসলিম বৃদ্ধকে ২৫ থাপ্পড়, দাড়ি ধরে টানাটানি!
ভারতে
সাম্প্রদায়িক অহিষ্ণুতা এবং হিংসার ঘটনা বেড়েছে। সে রিপোর্ট খোদ
কেন্দ্রীয় সরকারই লোকসভায় প্রকাশ করেছে মঙ্গলবার। তার ঠিক আগের রাতেই আরও
এক ন্যক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী হলো রাজস্থান। মধ্যবয়স্ক এক মুসলিম ব্যক্তিকে
‘জয় শ্রী রাম’ বলার জন্য ‘আদেশ’ দিচ্ছে এক তরুণ, আর মেরে চলেছে একের পর এক
থাপ্পড়। ঘটনাটির একটি ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শুরু
হয়েছে হইচই। পুলিশ বিজয় মিনা নামের বছর আঠেরোর ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার
করেছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। মিনিট তিনেকের ভিডিওটিতে ওই তরুণকে
আক্রান্তের দাড়ি ধরে টানাটানি করতেও দেখা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে পরপর ২৫টি
চড় মারতে। সঙ্গে সঙ্গেই ‘জয় শ্রী রাম’ বলার জন্য নির্দেশও দিচ্ছিল সে। আর
মুহাম্মদ সালিম নামের ওই আক্রান্ত ব্যক্তি তখন বলে চলেছেন, ‘পরওয়ার্দিগার
সবসে বড়া হ্যায়।
ভিডিওটি প্রকাশ্য আসতেই তীব্র ক্ষোভের প্রতিক্রিয়া দেখা
দেয়। এমনিতেই একের পর এক সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় চাপে রয়েছে রাজস্থান
সরকার এবং প্রশাসন। কেন্দ্রের রিপোর্টেও দেখা যাচ্ছে, এ ধরনের ঘটনার
সংখ্যায় দেশে উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটকের পরই তিন নম্বরে আছে রাজস্থান। আর
সাম্প্রদায়িক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশের পরেই, দু’নম্বরে।
সোমবারের ওই ঘটনাটি ঘটেছে মাউন্ট আবু থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে একটি রাস্তার
ওপর। মঙ্গলবার এর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর হয়। ওম প্রকাশ নামে এক পুলিশ
অফিসার এনডিটিভিকে বলেছেন, ধর্মীয় আবেগে আঘাত, শান্তিভঙ্গ, বিদ্বেষ ছড়ানো
এবং নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। রাজস্থানের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলাব চন্দ কাটারিয়া বলেছেন, “এ ধরনের ঘটনা ঘটলে পুলিশ
সব সময়েই ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।” গত ৬
ডিসেম্বর রাজস্থানের রাজসমন্দে মহম্মদ আফরাজুল বলে এক জনকে পিটিয়ে মেরে দেহ
জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তার ভিডিও-ও ছড়িয়ে পড়েছিল। তার আগে গত বছরেই,
স্বঘোষিত গোরক্ষকদের হাতে মৃত্যু হয়েছিল বছর ৫৫ বছরের এক ব্যক্তির।
No comments