বিয়ে করে বেকায়দায় ষাটোর্ধ্ব প্রবাসী আব্দুল মতিন
সিলেটের
বিশ্বনাথে বিয়ে করে বেকায়দায় পড়েছেন আব্দুল মতিন নামে ষাটোর্ধ এক লন্ডন
প্রবাসী। বিয়ের দুই মাসের মাথায় স্ত্রীকে তালাক নোটিশ পাঠিয়ে ধারাবাহিক ৩টি
মামলার আসামি হতে হয়েছে ওই প্রবাসীকে। তাই ষড়যন্ত্রমূলক একাধিক মিথ্যা
মামলা থেকে রেহাই ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণের আবেদন জানিয়ে সিলেটের ডিআইজি, পুলিশ সুপার ও প্রবাসী কল্যাণ সেলে
স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আনফর আলীর
পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল মতিন। স্মারকলিপিতে আব্দুল মতিন উল্লেখ
করেন, তার স্ত্রী মৃত্যুবরণ করায় গত বছরের ৩ অক্টোবর উপজেলা দৌলতপুর
ইউনিয়নের চরচন্ডি গ্রামের জহির উল্লাহর মেয়ে রাজনা বেগমকে (২৭) বিয়ে করেন।
বিয়ের পরে তিনি বুঝতে পারেন তার স্ত্রী একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য ও
একাধিক পুরুষের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। সম্পদ আত্মসাৎ করতে এই
বিয়ের নাটক সাজিয়ে তাকে বেকায়দায় ফেলা হয়েছে। এরপর বারণ করার পরও তার কথায়
কর্ণপাত না করায় বাধ্য হয়ে গতবছরের ৬ ডিসেম্বর রাজনা বেগমের কাছে ডাকযোগে
তালাক নোটিশ পাঠান আব্দুল মতিন। উক্ত তালাক নোটিশ হাতে পাওয়ার পরই ১৪
ডিসেম্বর সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩-এর আদালতে স্ত্রী আব্দুল
মতিনের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা (সিআর-৩৬২/১৭) দায়ের করেন রাজনা।
উক্ত মামলা দায়েরের ৫ দিন পর মোকদ্দমাটি আদালত থেকে বিবাদী আব্দুল মতিনের
অগোচরে উঠিয়ে আনা হয়।
এরপর গত ১৩ জানুয়ারি এলাকার চিহ্নিত দালালদের
সহযোগিতায় সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং কাল্পনিক উক্তি দিয়ে গর্ভের সন্তান
নষ্ট করার চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ
থানায় মামলা (মামলা নং-৭) দায়ের করেন রাজনা বেগম। পরবর্তীতে গত ১
ফেব্রুয়ারি মেয়ের গর্ভের সন্তান নষ্ট ও মারপিট করে আহত করার অভিযোগে রাজনা
বেগমের পিতা বাদি হয়ে বিশ্বনাথ থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায়
আব্দুল মতিনসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। আবদুল মতিন আরো উল্লেখ করেন, উক্ত
মামলার এজাহারে গত ২৪ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে রাজনা বেগমের পৈত্রিক বাড়িতে
গিয়ে যে হামলা ও মারধরের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। ঐদিন
এধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। রাজনা বেগমের পৈত্রিক বাড়ি থেকে তার বাড়ির দূরত্ব
প্রায় ৫ কিলোমিটার। রাজনা বেগম, তার পিতা জহির উল্লাহ ও এলাকার দালালরা
অবৈধ ফায়দা হাসিলের অসৎ উদ্দেশ্যে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে
হয়রানী করছেন বলে স্মারকলিপিতে আব্দুল মতিন উল্লেখ করেন। ন্যায় ও সুবিচারের
স্বার্থে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে ষড়যন্ত্রমূলক এসব মিথ্যা
মামলা থেকে রেহাই পেতে স্মারকলিপিতে আবেদন জানান আব্দুল মতিন।
No comments