কার্বন মাত্রা কিঞ্চিৎ কমার আশা

বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের মাত্রা এই বছর কিছুটা কমতে পারে বলে জলবায়ু সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে। বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের মাত্রা পরিমাপ করার একটি গবেষণায় নতুন এই জরিপ উঠে এসেছে। বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির এরকম সময়ে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমানোর ঘটনাকে বিরল বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। চীনে কয়লার ব্যবহার কমে যাওয়াতে এবং নবায়নযোগ্য সম্পদ আহরণের মাত্রা বেড়ে যাওয়াই কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমার মূল কারণ বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। কিন্তু এই হ্রাস সাময়িক এবং পরবর্তী বছরেই এই মাত্রা আবার বেড়ে যেতে পারে বলে গবেষকরা দাবি করেছেন। প্যারিসে অনুষ্ঠিত হওয়া জলবায়ুর এই সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানি এবং শিল্প-কারখানা থেকে নির্গত কার্বন নিঃসরণের মাত্রা ২০১৫ সালে ০.৬ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণের একটি সমীক্ষা প্রকাশ করে এই বিবৃতি দেয়া হয়। গত বছর এই নিঃসরণের মাত্রা সমান পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছিল বলে জানানো হয়। ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাংগলার অধ্যাপক করিনি লে কুইরে বলেন যে ‘আমরা এ বছর কার্বন নির্গমনের মাত্রাটি একটি স্থির পর্যায়ে থাকতে পারে বলে আশা করছি। এমনকি এই মাত্রা কমেও যেতে পারে।’ করিনি লে কুইরে এই গবেষণাকে নেতৃত্ব দান করেন। বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমনের মাত্রা গত ২০০০ সাল থেকে বার্ষিক ২-৩ শতাংশ হারে বাড়ছে। কেবলমাত্র এই বছরই এই মাত্রাটি এখনও পর্যন্ত স্থির রয়েছে বলে সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা জানান। এই মাত্রা এই বছরের শেষে কিছুটা কমেও যেতে পারে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিবিসি। জলবায়ু তহবিলে কার কত অর্থ?
জাতিসংঘের জলবায়ু তহবিলে অর্থায়নের ঘোষণা দিয়েছে বিভিন্ন উন্নত দেশের সরকার, বহুজাতিক উন্নয়ন ব্যাংক ও অন্যান্য সংস্থা। জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার (১০ হাজার কোটি ডলার) প্রয়োজন হলেও সংগ্রহ হয়েছে ৬৭ বিলিয়ন ডলার (৬৭০০ কোটি ডলার)। নিচে দাতাদের তালিকা দেয়া হল
উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি
অস্ট্রিয়া : ৫০ কোটি ইউরো (২০১৫-২০)
বেলজিয়াম : ৫ কোটি ইউরো (২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর)
কানাডা : ২৬৫ কোটি কানাডিয়ান ডলার (৫ বছরের জন্য)
চেকপ্রজাতন্ত্র : ৫৩ লাখ ডলার (এছাড়া ২০ লাখ ডলার)
ডেনমার্ক : ৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার
এস্তোনিয়া : ৬০ লাখ ইউরো (২০১৫-২০)
ইউরোপীয় কমিশন : ২০০ কোটি ইউরো (বার্ষিক)
ফিনল্যান্ড : ৫০ কোটি ইউরো (৪ বছরের জন্য)
ফ্রান্স : ৫০০ কোটি ইউরো (২০২০ সাল পর্যন্ত বার্ষিক)
জার্মানি : ৪০০ কোটি ইউরো (২০২০ সাল পর্যন্ত বার্ষিক)
আইসল্যান্ড : ১ কোটি ডলার (বার্ষিক)
আয়ারল্যান্ড : ১৮ কোটি ইউরো (বার্ষিক)
ইতালি : ৪০০ কোটি ডলার (২০১৫-২০)
জাপান : ১.৩ ট্রিলিয়ন ইয়েন (২০২০ সাল পর্যন্ত)
লিথুনিয়া : ১ লাখ ইউরো (২০১৫)
লুক্সেমবার্গ : ৩৭ কোটি ইউরো (২০১৪-২০)
নেদারল্যান্ডস : ৪৪ কোটি ইউরো (২০১৫)
নিউজিল্যান্ড : ২০ কোটি এনজে ডলার (পাঁচ বছরের জন্য)
নরওয়ে : ৪০ কোটি ডলার (বার্ষিক)
পোল্যান্ড : ৮০ কোটি ডলার (২০২০ সাল পর্যন্ত)
স্লোভেনিয়া : আগের তুলনায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি
সুইডেন : বার্ষিক অনুদান দ্বিগুণ করবে
স্পেন : ৯০ কোটি ইউরো (২০২০ পর্যন্ত বার্ষিক)
যুক্তরাজ্য : ৫৮০ কোটি পাউন্ড (২০২০ পর্যন্ত বার্ষিক)
বহুজাতিক উন্নয়ন ব্যাংক
আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক : ৫০০ কোটি ডলার (বার্ষিক)
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক : ৬০০ কোটি ডলার (বার্ষিক)
ইউরোপীয় ব্যাংক : ২০০০ কোটি ডলার (পাঁচ বছরের জন্য)
ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক : ২০০০ কোটি ডলার (বার্ষিক)
আন্তঃআমেরিকা উন্নয়ন ব্যাংক : আগের তুলনায় ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি
বিশ্বব্যাংক : ১৬০০ কোটি ডলার (বার্ষিক)
অন্যান্য
উন্নত দেশগুলোর একত্রিত ঘোষণা : ১০১০ কোটি ডলার (প্রাথমিক)
১১ দেশের গ্রুপ : ২৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার

No comments

Powered by Blogger.