বাংলাদেশে দুর্নীতি প্রতিরোধে কতটা কার্যকর দুদক?
বাংলাদেশে
যে প্রত্যাশা নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হয়েছিল, সেটা খুব একটা পূরণ
করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন ট্রান্সপারেন্সির ইন্টারন্যাশনাল
বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। বাংলাদেশে দুর্নীতি
সবসময়ই বড় একটি ইস্যু এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে এখানে একটি কমিশনও রয়েছে।
তবে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষমতা, নিরপেক্ষতা এবং কার্যকারিতা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে জনমনে। এমনকি এই প্রতিষ্ঠানেরই একজন সাবেক প্রধান একে ‘দন্ত বিহীন বাঘ’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। এমন প্রেক্ষাপটে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশন আসলে কতটা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছে ?
এ প্রশ্নে দুর্নীতি বিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন “খুব যে প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে তা বলা যাবে না”।
কিন্তু এর মাধ্যমে দুর্নীতি দমনের যে আশাবাদ ছিল তা ক্রমাগত বাড়ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি কমিশনে সরকার দলীয় মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেন। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে খুব একটা সুফল পাওয়া যায়নি বলেও জানান।
মিস্টার জামান বলেন, “তাদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে দুয়েকটি অত্যন্ত ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত ছাড়া সত্যিকার অর্থে তাদের বিচারের সম্মুখীন করার ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশন কিন্তু খুব সক্রিয় ভূমিকা দেখাতে পারেনি। কমিশন নিজেই অনেক সময় বলছে তাদের ‘দায়মুক্তি’ দেয়া হচ্ছে।”
বিভিন্ন অজুহাতে বা কোনও কোনও ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা ছাড়াই অনেককেই মওকুফ করে দেয়া হয়েছিল বলে তিনি জানান।
এর কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব, নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা এবং প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের মধ্যে দৃঢ়তার ঘাটতির কথা উল্লেখ করেন মিস্টার ইফতেখারুজ্জামান।
মিস্টার জামান বলেন, অনেক দেশে এ ধরনের আলাদা কমিশন না থাকলেও যেসব প্রতিষ্ঠানের ওপর এ সংক্রান্ত দায়িত্ব রয়েছে, তারা আইনগত ভাবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতার সাথে কাজ করতে পারে কারও প্রতি ভয়-ভীতি না রেখে। যেটা বাংলাদেশের মত দেশে সম্ভব হচ্ছে না।
টিআইবির এই কর্মকর্তা জানান, পৃথিবীর একশোটির মত দেশে এধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং সব প্রতিষ্ঠানই যে ব্যর্থ হচ্ছে তেমনটি নয়।
সুত্রঃ বিবিসি
তবে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষমতা, নিরপেক্ষতা এবং কার্যকারিতা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে জনমনে। এমনকি এই প্রতিষ্ঠানেরই একজন সাবেক প্রধান একে ‘দন্ত বিহীন বাঘ’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। এমন প্রেক্ষাপটে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশন আসলে কতটা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছে ?
এ প্রশ্নে দুর্নীতি বিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন “খুব যে প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে তা বলা যাবে না”।
কিন্তু এর মাধ্যমে দুর্নীতি দমনের যে আশাবাদ ছিল তা ক্রমাগত বাড়ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি কমিশনে সরকার দলীয় মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেন। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে খুব একটা সুফল পাওয়া যায়নি বলেও জানান।
মিস্টার জামান বলেন, “তাদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে দুয়েকটি অত্যন্ত ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত ছাড়া সত্যিকার অর্থে তাদের বিচারের সম্মুখীন করার ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশন কিন্তু খুব সক্রিয় ভূমিকা দেখাতে পারেনি। কমিশন নিজেই অনেক সময় বলছে তাদের ‘দায়মুক্তি’ দেয়া হচ্ছে।”
বিভিন্ন অজুহাতে বা কোনও কোনও ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা ছাড়াই অনেককেই মওকুফ করে দেয়া হয়েছিল বলে তিনি জানান।
এর কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব, নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা এবং প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের মধ্যে দৃঢ়তার ঘাটতির কথা উল্লেখ করেন মিস্টার ইফতেখারুজ্জামান।
মিস্টার জামান বলেন, অনেক দেশে এ ধরনের আলাদা কমিশন না থাকলেও যেসব প্রতিষ্ঠানের ওপর এ সংক্রান্ত দায়িত্ব রয়েছে, তারা আইনগত ভাবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতার সাথে কাজ করতে পারে কারও প্রতি ভয়-ভীতি না রেখে। যেটা বাংলাদেশের মত দেশে সম্ভব হচ্ছে না।
টিআইবির এই কর্মকর্তা জানান, পৃথিবীর একশোটির মত দেশে এধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং সব প্রতিষ্ঠানই যে ব্যর্থ হচ্ছে তেমনটি নয়।
সুত্রঃ বিবিসি
No comments