রামদা নিয়ে কেন্দ্রকে স্বাগত জানাল সিলেট ছাত্রলীগ
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানিয়ে নগরে মিছিল বের করে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ। এ সময় অনেক কর্মী প্রকাশ্যে রামদা বহন করেন l প্রথম আলো |
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সিলেটে মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। রমদা উঁচিয়ে এই মিছিলে অংশ নেন সংগঠনের অন্তত ৪০ জন কর্মী।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে কেন্দ্র থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আরও ছয়টি পদ ঘোষণা করে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। প্রায় এক বছর পর ৫ ডিসেম্বর জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে আরও ১৩২ জনের নাম ঘোষণা করে কেন্দ্র থেকে ১৪১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে কেন্দ্রকে স্বাগত জানাতে গতকাল জেলা ছাত্রলীগ মিছিল করে। বিকেলে সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে মিছিল বের করে জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টার এলাকা প্রদক্ষিণ করে ছাত্রলীগ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে নিয়ে সভাপতি শাহরিয়ার হোসেন সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন। পরে সেখান থেকে কয়েকটি খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে তাঁরা বিকেল চারটার দিকে নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একত্র হন। এ সময় তাঁরা সঙ্গে থাকা চটের ব্যাগ থেকে রামদা বের করেন। প্রায় ৪০ জনকে তখন রামদা বহন করতে দেখা যায়। কেউ হাতে, আবার কেউ মোটরসাইকেলে বসা অবস্থায় রামদা নিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন। পরে জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টার দিকে মিছিল বের করেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় সামনে থাকা তিনটি মোটরসাইকেলে ছয়জন ও পেছনে আরও নয়টি মোটরসাইকেলে তিনজন করে থাকা ২৭ জনের হাতে রামদা দেখা যায়। অনেকে রামদা উঁচিয়ে মিছিল করেন।
রামদা হাতে থাকা কর্মীদের তদারক করতে দেখা যায় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলী হোসেনকে। মিছিল শেষে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আত্মরক্ষার্থে কয়েকজন রামদা এনেছিল। পরে অবশ্য আমরা সেগুলো সরিয়ে ফেলেছি।’
তবে এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কেন্দ্র থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পরে সিলেট থেকে একটি পক্ষ কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। গত সোমবার বিকেলে ওই পক্ষ নগরে একটি মিছিলও করে। পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিরুদ্ধে থাকা সবাই সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় আত্মরক্ষার্থে এমন প্রস্তুতি ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ছাত্রলীগের সশস্ত্র মিছিলের সময় জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টা মোড়ে পুলিশের তিনটি দল ছিল। পুলিশের সামনেই রামদা নিয়ে মিছিল করে ছাত্রলীগ। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিল নিষ্ক্রিয়।
এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ বলেন, ‘মিছিল থেকে দূরে ছিল পুলিশের দল। এ কারণে রামদা বহনকারী কাউকে দেখেনি পুলিশ।’
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ অবশ্য প্রথম আলোকে বলেন, রামদা নিয়ে কেউ মিছিল করেনি। ছবি আছে বলে তাঁকে জানালেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘এটি কোনো মিছিল ছিল না। সিলেটের ইতিহাসে কেন্দ্র থেকে এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ হয়েছে। ওই কমিটিকে নিয়ে আমরা মাজার জিয়ারত করেছি। জড়ো হওয়া ও ফেরার পথে মিছিল হয়েছে। সেখানে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু হলে সেটার জন্য নেতৃত্ব দায়ী হতে পারে না।’
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে কেন্দ্র থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আরও ছয়টি পদ ঘোষণা করে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। প্রায় এক বছর পর ৫ ডিসেম্বর জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে আরও ১৩২ জনের নাম ঘোষণা করে কেন্দ্র থেকে ১৪১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে কেন্দ্রকে স্বাগত জানাতে গতকাল জেলা ছাত্রলীগ মিছিল করে। বিকেলে সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে মিছিল বের করে জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টার এলাকা প্রদক্ষিণ করে ছাত্রলীগ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে নিয়ে সভাপতি শাহরিয়ার হোসেন সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন। পরে সেখান থেকে কয়েকটি খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে তাঁরা বিকেল চারটার দিকে নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একত্র হন। এ সময় তাঁরা সঙ্গে থাকা চটের ব্যাগ থেকে রামদা বের করেন। প্রায় ৪০ জনকে তখন রামদা বহন করতে দেখা যায়। কেউ হাতে, আবার কেউ মোটরসাইকেলে বসা অবস্থায় রামদা নিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন। পরে জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টার দিকে মিছিল বের করেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় সামনে থাকা তিনটি মোটরসাইকেলে ছয়জন ও পেছনে আরও নয়টি মোটরসাইকেলে তিনজন করে থাকা ২৭ জনের হাতে রামদা দেখা যায়। অনেকে রামদা উঁচিয়ে মিছিল করেন।
রামদা হাতে থাকা কর্মীদের তদারক করতে দেখা যায় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলী হোসেনকে। মিছিল শেষে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আত্মরক্ষার্থে কয়েকজন রামদা এনেছিল। পরে অবশ্য আমরা সেগুলো সরিয়ে ফেলেছি।’
তবে এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কেন্দ্র থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পরে সিলেট থেকে একটি পক্ষ কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। গত সোমবার বিকেলে ওই পক্ষ নগরে একটি মিছিলও করে। পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিরুদ্ধে থাকা সবাই সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় আত্মরক্ষার্থে এমন প্রস্তুতি ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ছাত্রলীগের সশস্ত্র মিছিলের সময় জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টা মোড়ে পুলিশের তিনটি দল ছিল। পুলিশের সামনেই রামদা নিয়ে মিছিল করে ছাত্রলীগ। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিল নিষ্ক্রিয়।
এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ বলেন, ‘মিছিল থেকে দূরে ছিল পুলিশের দল। এ কারণে রামদা বহনকারী কাউকে দেখেনি পুলিশ।’
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ অবশ্য প্রথম আলোকে বলেন, রামদা নিয়ে কেউ মিছিল করেনি। ছবি আছে বলে তাঁকে জানালেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘এটি কোনো মিছিল ছিল না। সিলেটের ইতিহাসে কেন্দ্র থেকে এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ হয়েছে। ওই কমিটিকে নিয়ে আমরা মাজার জিয়ারত করেছি। জড়ো হওয়া ও ফেরার পথে মিছিল হয়েছে। সেখানে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু হলে সেটার জন্য নেতৃত্ব দায়ী হতে পারে না।’
No comments