কোন পথে ভেনেজুয়েলা? -এএফপির বিশ্লেষণ
‘অর্থনৈতিক
মন্দা কেটে যাবে। রাজবন্দীরা মুক্তি পাবেন।’—ভেনেজুয়েলার বিরোধী জোটের
নেতারা পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর গত সোমবার এসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
লাতিন আমেরিকার তেলসমৃদ্ধ দেশটির পার্লামেন্টে ১৬ বছরের মধ্যে এই প্রথম
নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে ক্ষমতাসীন বামপন্থীরা।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজ যে সমাজতান্ত্রিক ‘বিপ্লব’ শুরু করেছেন, তাতে বিরতি চাইলে মধ্য-ডানপন্থী জোটকে (এমইউডি) আগামী দিনগুলোয় রাজনৈতিক লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে। এমইউডির শরিক দল অনেক। চাভেজের উত্তরসূরি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে চাপে ফেলতে চাইলে এমইউডিকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
পার্লামেন্ট নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়েছেন মাদুরো। নিজ দল পিএসইউভি এবং বিরোধী এমইউডির মধ্যে ‘সহাবস্থান’ চান তিনি। অভ্যন্তরীণ সংস্কারের লক্ষ্যে নিজ দলের সম্মেলন ডেকেছেন। বলেছেন, ‘কীভাবে আমরা আরও জোরালো বিপ্লবের পথে এগিয়ে যাব, তা নিয়ে বিতর্ক হবে।’
এমইউডির নৈতিক শক্তি হিসেবে কাজ করছেন মানবাধিকারকর্মী লিলিয়ান তিন্তোরি। তিনি এবং জোটের জ্যেষ্ঠ নেতা হেসুস তোরেয়ালবা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাঁরা প্রতিপক্ষের ওপর ‘প্রতিশোধ’ বা সহিংসতার পথে যাবেন না। তাঁদের দায়িত্বশীলতা আছে।
পার্লামেন্টের ১৬৭ আসনের মধ্যে এমইউডি অন্তত ৯৯টি জয় করেছে। আর পিএসইউভি পেয়েছে ৪৬টি। তোরেয়ালবা বলেছেন, নির্বাচনী সুনামি ঘটে গেছে। তবে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের বিরোধিতা করা এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করা এক বিষয় নয়।
কারাবন্দী বিরোধীদলীয় নেতা লেওপোলদো লোপেসের স্ত্রী এবং মানবাধিকারকর্মী তিন্তোরির হাস্যোজ্জ্বল ছবি সোমবার বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচনে এমইউডির বিজয়ের পর তিনি বলেন, এটা ভেনেজুয়েলার জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। রাজবন্দীরা মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত তিনি বিশ্রাম নেবেন না।
ভেনেজুয়েলায় মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো আগে থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। পার্লামেন্ট নির্বাচনে ফলাফলকে তারা স্বাগত জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মগেরিনি—দুজনেই বলেছেন, ভেনেজুয়েলার জনগণ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। দেশটির সরকার এবং বিরোধী দলের মধ্যে গঠনমূলক সংলাপের আয়োজন করা উচিত।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ভেনেজুয়েলার মানুষ নিজেদের মতামত দিয়েছে। আশা করা যায়, নির্বাচনের এই ফলাফলের প্রতি সবাই সম্মান দেখাবে।
তেলের দাম কমে যাওয়ায় ভেনেজুয়েলার অর্থনীতি সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। দেশটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সরবরাহও কমে গেছে। ডাটাঅ্যানালিসিস নামের একটি জরিপ প্রতিষ্ঠানের প্রধান গবেষক লুইস ভিসেন্তে লেওন বলেন, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় মাদুরো ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। পার্লামেন্ট নির্বাচনে তারই জবাব দিয়েছে জনগণ।
২২টি আসনের ফলাফল এখনো প্রকাশ হয়নি। বিরোধীদলীয় নেতারা অবশ্য দাবি করছেন, ১১২টি আসন এমইউডির দখলে থাকবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজ যে সমাজতান্ত্রিক ‘বিপ্লব’ শুরু করেছেন, তাতে বিরতি চাইলে মধ্য-ডানপন্থী জোটকে (এমইউডি) আগামী দিনগুলোয় রাজনৈতিক লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে। এমইউডির শরিক দল অনেক। চাভেজের উত্তরসূরি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে চাপে ফেলতে চাইলে এমইউডিকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
পার্লামেন্ট নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়েছেন মাদুরো। নিজ দল পিএসইউভি এবং বিরোধী এমইউডির মধ্যে ‘সহাবস্থান’ চান তিনি। অভ্যন্তরীণ সংস্কারের লক্ষ্যে নিজ দলের সম্মেলন ডেকেছেন। বলেছেন, ‘কীভাবে আমরা আরও জোরালো বিপ্লবের পথে এগিয়ে যাব, তা নিয়ে বিতর্ক হবে।’
এমইউডির নৈতিক শক্তি হিসেবে কাজ করছেন মানবাধিকারকর্মী লিলিয়ান তিন্তোরি। তিনি এবং জোটের জ্যেষ্ঠ নেতা হেসুস তোরেয়ালবা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাঁরা প্রতিপক্ষের ওপর ‘প্রতিশোধ’ বা সহিংসতার পথে যাবেন না। তাঁদের দায়িত্বশীলতা আছে।
পার্লামেন্টের ১৬৭ আসনের মধ্যে এমইউডি অন্তত ৯৯টি জয় করেছে। আর পিএসইউভি পেয়েছে ৪৬টি। তোরেয়ালবা বলেছেন, নির্বাচনী সুনামি ঘটে গেছে। তবে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের বিরোধিতা করা এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করা এক বিষয় নয়।
কারাবন্দী বিরোধীদলীয় নেতা লেওপোলদো লোপেসের স্ত্রী এবং মানবাধিকারকর্মী তিন্তোরির হাস্যোজ্জ্বল ছবি সোমবার বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচনে এমইউডির বিজয়ের পর তিনি বলেন, এটা ভেনেজুয়েলার জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। রাজবন্দীরা মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত তিনি বিশ্রাম নেবেন না।
ভেনেজুয়েলায় মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো আগে থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। পার্লামেন্ট নির্বাচনে ফলাফলকে তারা স্বাগত জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মগেরিনি—দুজনেই বলেছেন, ভেনেজুয়েলার জনগণ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। দেশটির সরকার এবং বিরোধী দলের মধ্যে গঠনমূলক সংলাপের আয়োজন করা উচিত।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ভেনেজুয়েলার মানুষ নিজেদের মতামত দিয়েছে। আশা করা যায়, নির্বাচনের এই ফলাফলের প্রতি সবাই সম্মান দেখাবে।
তেলের দাম কমে যাওয়ায় ভেনেজুয়েলার অর্থনীতি সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। দেশটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সরবরাহও কমে গেছে। ডাটাঅ্যানালিসিস নামের একটি জরিপ প্রতিষ্ঠানের প্রধান গবেষক লুইস ভিসেন্তে লেওন বলেন, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় মাদুরো ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। পার্লামেন্ট নির্বাচনে তারই জবাব দিয়েছে জনগণ।
২২টি আসনের ফলাফল এখনো প্রকাশ হয়নি। বিরোধীদলীয় নেতারা অবশ্য দাবি করছেন, ১১২টি আসন এমইউডির দখলে থাকবে।
No comments