মুসলিমদের নিষিদ্ধ করতে বলে তোপের মুখে ট্রাম্প- ট্রাম্প ‘বিকৃত মস্তিষ্কসম্পন্ন’: জেব বুশ by হাসান ফেরদৌস
আগামী
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার আবদার জানিয়ে নিজ
দলের মধ্যেই তোপের মুখে পড়েছেন। সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে গত সোমবার এক
নির্বাচনী সভায় তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের লক্ষ্যে সাময়িকভাবে
হলেও যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে।
ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের জন্য তাঁকে ‘বিকৃত মস্তিষ্কসম্পন্ন’ আখ্যা দিয়েছেন তাঁর দলের আরেক মনোনয়নপ্রার্থী ও ফ্লোরিডার সাবেক গভর্নর জেব বুশ। হোয়াইট হাউস এবং মুসলিম নেতাদের পক্ষ থেকেও ট্রাম্পের ওই বিতর্কিত মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। আর সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি বলেছেন, ট্রাম্পের ওই মন্তব্য রিপাবলিকান পার্টির আদর্শবিরোধী।
এর আগে নির্বাচনী দপ্তর থেকে প্রচারিত এক তথ্য বিবরণীতে ট্রাম্প বলেন, আমেরিকার প্রতি মুসলিমদের বিদ্বেষ এত তীব্র যে তা ‘ধারণারও বাইরে’। এই ঘৃণার উৎস কী এবং আমেরিকার জন্য তা কী হুমকি সৃষ্টি করেছে, তা পুরোপুরি বুঝে না ওঠা পর্যন্ত মুসলিমদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা চালু রাখতে হবে।
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যারা জিহাদে বিশ্বাস করে ও মানবজীবনের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা পোষণ করে না, এমন মানুষের কাছ থেকে আমরা অব্যাহত হামলার শিকার হতে পারি না।’
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গত মাসে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই ট্রাম্প একের পর এক মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য দিচ্ছেন। এর আগে তিনি আমেরিকার সব মুসলিমের তালিকাভুক্তি, মসজিদে নজরদারি প্রতিষ্ঠা এবং দরকার হলে মসজিদ বন্ধ করে দেওয়ারও প্রস্তাব করেন। সিরিয়া থেকে আসা কোনো মুসলিম উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দেওয়ার বিরুদ্ধেও কথা বলেন তিনি।
মুসলিমবিরোধী বক্তব্যের জন্য সমালোচিত হলেও ট্রাম্প তাঁর উত্তেজক বক্তব্য দেওয়া বন্ধ করেননি। অনেক পর্যবেক্ষক ভেবেছিলেন, মার্কিন নির্বাচকেরা তাঁর এই বিদ্বেষপূর্ণ অবস্থানের প্রতি সমর্থন দেবেন না। কার্যত দেখা যাচ্ছে, তিনি মুসলিমদের প্রতি ঘৃণার মাত্রা যত চড়াচ্ছেন, রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে তাঁর সমর্থন তত বাড়ছে। সবশেষ জনমত জরিপে তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বেন কারসনের চেয়ে ১৫ শতাংশ ভোটে এগিয়ে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত রোববার ওভাল অফিস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইসলাম বা মুসলমানদের ঢালাওভাবে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করার বিরুদ্ধে সাবধান করে দিয়ে বলেন, সব মুসলমানকে শত্রু চিহ্নিত করলে শুধু লাভবান হবে আইএস। কারণ, তারা বর্তমান লড়াইকে ইসলামের সঙ্গে পশ্চিমের লড়াই হিসেবে চিহ্নিত করতে চায়।
মুসলমানদের আমেরিকার মিত্র হিসেবে আখ্যা দেন ওবামা। যেকোনো ধরনের ‘ইসলামভীতির’ বিরুদ্ধে সচেতন থাকার আহ্বানও জানান তিনি। রিপাবলিকান পার্টির অন্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা এত দিন পর্যন্ত মুসলিমদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের কথা-যুদ্ধের প্রতি নমনীয় মনোভাব দেখিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তাঁরা সবাই ট্রাম্পের সর্বশেষ বক্তব্যটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। নিউ জার্সির গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি বলেছেন, শুধু অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পক্ষেই এমন আজেবাজে কথা বলা সম্ভব।
টেক্সাসের অতিরক্ষণশীল সিনেটর টেড ক্রুজ এত দিন ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। সেই তিনিও ট্রাম্পের মুসলিম নিষিদ্ধকরণের প্রশ্নে দ্বিমত পোষণ করেছেন। ক্রুজ বলেন, ‘আমি এমন নীতি সমর্থন করতে পারি না।’ তবে সিরিয়া থেকে শুধু খ্রিষ্টান উদ্বাস্তুদের আসতে দেওয়ার যে প্রস্তাব তিনি আগে করেছেন, সে কথার পুনরাবৃত্তি করেছেন।
প্রেসিডেন্ট ওবামা থেকে শুরু করে ডেমোক্রেটিক পার্টির সব প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও অধিকাংশ কংগ্রেস সদস্য তীব্র ভাষায় ট্রাম্পের বক্তব্যের নিন্দা করেছেন। উদারনৈতিক মহলও ট্রাম্পের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে। কোনো কোনো ভাষ্যকার ট্রাম্পের বক্তব্যকে সরাসরি ফ্যাসিবাদী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, মুসলিমদের ওপর এ রকম ঢালাওভাবে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব শুধু কট্টর ডানপন্থী ‘হেইট গ্রুপ’-এর কাছ থেকেই আসা সম্ভব।
মুসলিমদের আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করলেও কীভাবে তা কার্যকর হবে অথবা কত দিন পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে, ট্রাম্প সে কথা বিস্তারিত বলেননি।
ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের জন্য তাঁকে ‘বিকৃত মস্তিষ্কসম্পন্ন’ আখ্যা দিয়েছেন তাঁর দলের আরেক মনোনয়নপ্রার্থী ও ফ্লোরিডার সাবেক গভর্নর জেব বুশ। হোয়াইট হাউস এবং মুসলিম নেতাদের পক্ষ থেকেও ট্রাম্পের ওই বিতর্কিত মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। আর সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি বলেছেন, ট্রাম্পের ওই মন্তব্য রিপাবলিকান পার্টির আদর্শবিরোধী।
এর আগে নির্বাচনী দপ্তর থেকে প্রচারিত এক তথ্য বিবরণীতে ট্রাম্প বলেন, আমেরিকার প্রতি মুসলিমদের বিদ্বেষ এত তীব্র যে তা ‘ধারণারও বাইরে’। এই ঘৃণার উৎস কী এবং আমেরিকার জন্য তা কী হুমকি সৃষ্টি করেছে, তা পুরোপুরি বুঝে না ওঠা পর্যন্ত মুসলিমদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা চালু রাখতে হবে।
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যারা জিহাদে বিশ্বাস করে ও মানবজীবনের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা পোষণ করে না, এমন মানুষের কাছ থেকে আমরা অব্যাহত হামলার শিকার হতে পারি না।’
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গত মাসে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই ট্রাম্প একের পর এক মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য দিচ্ছেন। এর আগে তিনি আমেরিকার সব মুসলিমের তালিকাভুক্তি, মসজিদে নজরদারি প্রতিষ্ঠা এবং দরকার হলে মসজিদ বন্ধ করে দেওয়ারও প্রস্তাব করেন। সিরিয়া থেকে আসা কোনো মুসলিম উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দেওয়ার বিরুদ্ধেও কথা বলেন তিনি।
মুসলিমবিরোধী বক্তব্যের জন্য সমালোচিত হলেও ট্রাম্প তাঁর উত্তেজক বক্তব্য দেওয়া বন্ধ করেননি। অনেক পর্যবেক্ষক ভেবেছিলেন, মার্কিন নির্বাচকেরা তাঁর এই বিদ্বেষপূর্ণ অবস্থানের প্রতি সমর্থন দেবেন না। কার্যত দেখা যাচ্ছে, তিনি মুসলিমদের প্রতি ঘৃণার মাত্রা যত চড়াচ্ছেন, রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে তাঁর সমর্থন তত বাড়ছে। সবশেষ জনমত জরিপে তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বেন কারসনের চেয়ে ১৫ শতাংশ ভোটে এগিয়ে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত রোববার ওভাল অফিস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইসলাম বা মুসলমানদের ঢালাওভাবে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করার বিরুদ্ধে সাবধান করে দিয়ে বলেন, সব মুসলমানকে শত্রু চিহ্নিত করলে শুধু লাভবান হবে আইএস। কারণ, তারা বর্তমান লড়াইকে ইসলামের সঙ্গে পশ্চিমের লড়াই হিসেবে চিহ্নিত করতে চায়।
মুসলমানদের আমেরিকার মিত্র হিসেবে আখ্যা দেন ওবামা। যেকোনো ধরনের ‘ইসলামভীতির’ বিরুদ্ধে সচেতন থাকার আহ্বানও জানান তিনি। রিপাবলিকান পার্টির অন্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা এত দিন পর্যন্ত মুসলিমদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের কথা-যুদ্ধের প্রতি নমনীয় মনোভাব দেখিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তাঁরা সবাই ট্রাম্পের সর্বশেষ বক্তব্যটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। নিউ জার্সির গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি বলেছেন, শুধু অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পক্ষেই এমন আজেবাজে কথা বলা সম্ভব।
টেক্সাসের অতিরক্ষণশীল সিনেটর টেড ক্রুজ এত দিন ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। সেই তিনিও ট্রাম্পের মুসলিম নিষিদ্ধকরণের প্রশ্নে দ্বিমত পোষণ করেছেন। ক্রুজ বলেন, ‘আমি এমন নীতি সমর্থন করতে পারি না।’ তবে সিরিয়া থেকে শুধু খ্রিষ্টান উদ্বাস্তুদের আসতে দেওয়ার যে প্রস্তাব তিনি আগে করেছেন, সে কথার পুনরাবৃত্তি করেছেন।
প্রেসিডেন্ট ওবামা থেকে শুরু করে ডেমোক্রেটিক পার্টির সব প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও অধিকাংশ কংগ্রেস সদস্য তীব্র ভাষায় ট্রাম্পের বক্তব্যের নিন্দা করেছেন। উদারনৈতিক মহলও ট্রাম্পের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে। কোনো কোনো ভাষ্যকার ট্রাম্পের বক্তব্যকে সরাসরি ফ্যাসিবাদী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, মুসলিমদের ওপর এ রকম ঢালাওভাবে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব শুধু কট্টর ডানপন্থী ‘হেইট গ্রুপ’-এর কাছ থেকেই আসা সম্ভব।
মুসলিমদের আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করলেও কীভাবে তা কার্যকর হবে অথবা কত দিন পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে, ট্রাম্প সে কথা বিস্তারিত বলেননি।
No comments