সোনিয়া-রাহুলের সাময়িক স্বস্তি, পার্লামেন্ট উত্তাল by সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়
কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধী |
ন্যাশনাল
হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধী
নিম্ন আদালতে হাজিরা দেওয়ার হাত থেকে সাময়িক স্বস্তি পেলেন। আজ মঙ্গলবার
দিল্লির নগর দায়রা আদালত নির্দেশ দেন, ১৯ ডিসেম্বর বেলা তিনটায় এই মামলার
অভিযুক্তদের আদালতে হাজিরা দিতে হবে। আজই তাঁদের হাজিরা দেওয়ার তারিখ ধার্য
ছিল।
আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি কংগ্রেস এই লড়াইকে রাজনৈতিক আঙিনায় টেনে এনেছে। সোনিয়া ও রাহুল দুজনেই আজ বলেছেন, বিজেপি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে নেমেছে। সোনিয়া পার্লামেন্ট ভবন চত্বরে বলেছেন, ‘আমি ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ। আমি কাউকেই ভয় পাই না।’ দক্ষিণে বন্যাবিধ্বস্ত তামিলনাড়ুর লাগোয়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরি ঘোরার পর রাহুল বলেছেন, ‘এটা সম্পূর্ণভাবেই একটা রাজনৈতিক বিষয়। পার্লামেন্টে আমি এর জবাব দেব। বিজেপি যদি ভেবে থাকে এইভাবে সংসদে অপ্রিয় প্রশ্ন তোলা থেকে আমাকে বিরত রাখা যাবে, তবে তারা ভুল ভাবছে।’
কংগ্রেসের এই অভিযোগের জবাবে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি আজ বলেন, এটা আদৌ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিষয় নয়। একজন ব্যক্তিগত স্তরে একটি মামলা করেছেন। তার জবাব আইনিভাবেই দিতে হবে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। পার্লামেন্টবিষয়ক মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডুও বলেছেন, এই মামলার সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। কংগ্রেস কোন যুক্তিতে ও কোন দাবি নিয়ে পার্লামেন্ট অচল করছে তা বোধগম্য নয়।
হেরাল্ড মামলার জেরে আজ মঙ্গলবার পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ দফায় দফায় মুলতবি হয়ে যায়। তার ইঙ্গিত অবশ্য সকালেই পাওয়া গিয়েছিল। সোনিয়া গান্ধী তাঁর দলের পার্লামেন্ট সদস্যদের জরুরি বৈঠক ডাকেন। নির্দেশ দেন, তাঁদের পরিবারের বিরুদ্ধে বিজেপি যে রাজনৈতিক লড়াই শুরু করেছে, তার জবাব পার্লামেন্টেই দিতে হবে। নির্দেশ অনুযায়ী লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই কংগ্রেসের সদস্যরা ওয়েলে নেমে এই ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধির’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। ফলে দফায় দফায় সভা মুলতবি হয়। এক সময় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি রাজ্যসভায় বলেন, সরকার সব রকমের আলোচনার জন্য প্রস্তুত। এখনই সেই আলোচনা শুরু হোক। কিন্তু তাঁর কথায় কংগ্রেস গুরুত্ব দেয়নি। তাদের কৌশলই ছিল আজকের অধিবেশন চলতে না দেওয়া। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিকেলে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিক্ষোভ মিছিলও বের করা হয়। সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিবালের অভিযোগ, কংগ্রেসকে বিব্রত ও ব্যতিব্যস্ত করার বিশেষ দায়িত্ব সুব্রক্ষ্মণ্যম স্বামীকে দিয়েছে বিজেপি। সুব্রক্ষ্মণ্যম সেই দায়িত্ব পালন করছেন।
নিম্ন আদালত সোনিয়া-রাহুলদের ১৯ তারিখে হাজিরার নির্দেশ দিলেও কংগ্রেস নিশ্চিতভাবেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে। সোনিয়া-রাহুলের পক্ষে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আজ নিম্ন আদালতে বলেন, অন্য যেকোনো দিনে হাজিরার অনুমতি দেওয়া হোক। বিচারপতির নির্দেশের পর সিংভি বলেন, তাঁরা সব ধরনের আইনি বিকল্প খোলা রাখছেন।
জওহরলাল নেহরুর শুরু করা ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকাকে বাঁচাতে কংগ্রেস ৯০ কোটি রুপি ঋণ দিয়েছিল। সেই ঋণের দায় নিয়ে ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেড নামে অন্য একটি কোম্পানি ন্যাশনাল হেরাল্ড কোম্পানি অধিগ্রহণ করে। এই কোম্পানির ৭৬ শতাংশ শেয়ার সোনিয়া ও রাহুলের। বিজেপি নেতা সুব্রক্ষ্মণ্যম স্বামী এর বিরুদ্ধেই মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ, হেরাল্ড হাউসের সব সম্পত্তি এইভাবে গান্ধী পরিবার কুক্ষিগত করেছেন। নিম্ন আদালত এই মামলায় সোনিয়া, রাহুল, মোতিলাল ভোরা (কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ), অস্কার ফার্নান্দেজ, প্রযুক্তিবিদ স্যাম পিত্রোদা ও প্রয়াত রাজীব গান্ধীর বন্ধু সুমন দুবেকে মঙ্গলবার হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি কংগ্রেস এই লড়াইকে রাজনৈতিক আঙিনায় টেনে এনেছে। সোনিয়া ও রাহুল দুজনেই আজ বলেছেন, বিজেপি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে নেমেছে। সোনিয়া পার্লামেন্ট ভবন চত্বরে বলেছেন, ‘আমি ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ। আমি কাউকেই ভয় পাই না।’ দক্ষিণে বন্যাবিধ্বস্ত তামিলনাড়ুর লাগোয়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরি ঘোরার পর রাহুল বলেছেন, ‘এটা সম্পূর্ণভাবেই একটা রাজনৈতিক বিষয়। পার্লামেন্টে আমি এর জবাব দেব। বিজেপি যদি ভেবে থাকে এইভাবে সংসদে অপ্রিয় প্রশ্ন তোলা থেকে আমাকে বিরত রাখা যাবে, তবে তারা ভুল ভাবছে।’
কংগ্রেসের এই অভিযোগের জবাবে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি আজ বলেন, এটা আদৌ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিষয় নয়। একজন ব্যক্তিগত স্তরে একটি মামলা করেছেন। তার জবাব আইনিভাবেই দিতে হবে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। পার্লামেন্টবিষয়ক মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডুও বলেছেন, এই মামলার সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। কংগ্রেস কোন যুক্তিতে ও কোন দাবি নিয়ে পার্লামেন্ট অচল করছে তা বোধগম্য নয়।
হেরাল্ড মামলার জেরে আজ মঙ্গলবার পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ দফায় দফায় মুলতবি হয়ে যায়। তার ইঙ্গিত অবশ্য সকালেই পাওয়া গিয়েছিল। সোনিয়া গান্ধী তাঁর দলের পার্লামেন্ট সদস্যদের জরুরি বৈঠক ডাকেন। নির্দেশ দেন, তাঁদের পরিবারের বিরুদ্ধে বিজেপি যে রাজনৈতিক লড়াই শুরু করেছে, তার জবাব পার্লামেন্টেই দিতে হবে। নির্দেশ অনুযায়ী লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই কংগ্রেসের সদস্যরা ওয়েলে নেমে এই ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধির’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। ফলে দফায় দফায় সভা মুলতবি হয়। এক সময় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি রাজ্যসভায় বলেন, সরকার সব রকমের আলোচনার জন্য প্রস্তুত। এখনই সেই আলোচনা শুরু হোক। কিন্তু তাঁর কথায় কংগ্রেস গুরুত্ব দেয়নি। তাদের কৌশলই ছিল আজকের অধিবেশন চলতে না দেওয়া। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিকেলে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিক্ষোভ মিছিলও বের করা হয়। সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিবালের অভিযোগ, কংগ্রেসকে বিব্রত ও ব্যতিব্যস্ত করার বিশেষ দায়িত্ব সুব্রক্ষ্মণ্যম স্বামীকে দিয়েছে বিজেপি। সুব্রক্ষ্মণ্যম সেই দায়িত্ব পালন করছেন।
নিম্ন আদালত সোনিয়া-রাহুলদের ১৯ তারিখে হাজিরার নির্দেশ দিলেও কংগ্রেস নিশ্চিতভাবেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে। সোনিয়া-রাহুলের পক্ষে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আজ নিম্ন আদালতে বলেন, অন্য যেকোনো দিনে হাজিরার অনুমতি দেওয়া হোক। বিচারপতির নির্দেশের পর সিংভি বলেন, তাঁরা সব ধরনের আইনি বিকল্প খোলা রাখছেন।
জওহরলাল নেহরুর শুরু করা ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকাকে বাঁচাতে কংগ্রেস ৯০ কোটি রুপি ঋণ দিয়েছিল। সেই ঋণের দায় নিয়ে ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেড নামে অন্য একটি কোম্পানি ন্যাশনাল হেরাল্ড কোম্পানি অধিগ্রহণ করে। এই কোম্পানির ৭৬ শতাংশ শেয়ার সোনিয়া ও রাহুলের। বিজেপি নেতা সুব্রক্ষ্মণ্যম স্বামী এর বিরুদ্ধেই মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ, হেরাল্ড হাউসের সব সম্পত্তি এইভাবে গান্ধী পরিবার কুক্ষিগত করেছেন। নিম্ন আদালত এই মামলায় সোনিয়া, রাহুল, মোতিলাল ভোরা (কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ), অস্কার ফার্নান্দেজ, প্রযুক্তিবিদ স্যাম পিত্রোদা ও প্রয়াত রাজীব গান্ধীর বন্ধু সুমন দুবেকে মঙ্গলবার হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
No comments