ট্রাম্পের মুসলিম-বিদ্বেষ আমেরিকায় নিন্দার ঝড়, আলোচনায় ফজলুর রহমান খান
তুলোধুনো
হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সপ্তাহে প্রকাশ্যে তার উচ্চারিত ৯৫ হাজার
শব্দের ওপর পরিচালিত এক সমীক্ষার পর তাকে ‘গলাবাজ’ রাজনীতিক হিসেবে চিহ্নিত
করা হয়েছে। ইতিহাসবিদরা বলছেন, ট্রাম্প গত শতাব্দীর গলাবাজ রাজনীতিকে কবর
খুঁড়ে টেনে বের করেছেন। এর ফলে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন তার
ধূসর থেকে ধূসর মনে করা হচ্ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার সন্ত্রাসী হামলার কথা তুলে
তিনি গত সোমবার বলেন, মুসলমানদের আমেরিকা প্রবেশে বাধা দেয়া উচিত। এ কথার
প্রতিবাদে ঝড় বইছে আমেরিকায়। ট্রাম্পের আগে অবশ্য বলেছিলেন, ‘আমি
মুসলমানদের ভালোবাসি।’ রিপাবলিকান দলীয় রাষ্ট্রপতি প্রতিদ্বন্দ্বীও
ট্রাম্পের নিন্দা করেছেন। সুতরাং ট্রাম্পের মুসলিম-বিদ্বেষ রিপাবলিকান দলের
অবস্থান নয়।
কারণ সন্ত্রাসী হামলার জন্য সবাই ব্যথিত ও উদ্বিগ্ন হলেও ট্রাম্পের কথা খোদ আমেরিকার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধী। ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে পালিয়ে বেড়ানো মানুষরাই একদা আমেরিকা সৃষ্টি করেছিল। নিউ ইয়র্ক টাইমসে গতকাল প্রকাশিত এক রিপোর্ট বলেছে, শিকাগোভিত্তিক ইন্টারফেইথ ইয়ুথ কোরের প্রেসিডেন্ট এবু প্যাটেল বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমি এমন একটি বহুতল ভবনে দাঁড়িয়ে আছি সেটির নাম সিয়ার্স টাওয়ার, আর এটির স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার হলেন ফজলুর রহমান খান, যিনি আমাদের দেশে মূলত এসেছিলেন বাংলাদেশ থেকে। ‘স্নায়ুযুদ্ধের কারণে আমরা যদি আমেরিকায় রাশানদের প্রবেশ বন্ধ করে দিতাম, তাহলে কী ঘটত? কীভাবে উদ্ভাবন হতো বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় গুগল?’ মি প্যাটেল এ প্রশ্ন করেন মার্কিন জায়ান্ট গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিনকে লক্ষ করে। সের্গেই একদা রাশিয়া থেকে আমেরিকায় এসেছিলেন।
সমস্ত মুসলিমকে আমেরিকায় ঢুকতে বাধা দেয়া উচিত বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করে তোপের মুখে ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোটিপতি ব্যবসায়ী ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে রিপাবলিকানদের সামনের সারির পদপ্রার্থী হলেও তার সবশেষ মন্তব্যের জন্য যে তাকে যথেষ্ট খেসারত দিতে হবে, সে বিষয়ে পর্যবেক্ষকদের মধ্যে সন্দেহ কম।
সাউথ ক্যারোলাইনায় একটি জনসভায় সোমবার তিনি বলেন, ‘যাদের কাছে মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই, যারা কেবলম জিহাদে বিশ্বাস করে, আমাদের দেশ এমন লোকদের আক্রমণের লক্ষ্য হতে পারে না।’ এতেই থামেননি ডোনাল্ড। মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত অভিবাসীদের না ঠেকালে দেশে আরও ৯/১১-এর মতো ঘটনা ঘটবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তার দাবি, ‘আমাদের কাছে এ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’ সান বার্নার্দিনোর হামলার পর দেশের সীমান্ত মুসলিমদের জন্য বন্ধ করে দেয়া উচিত বলে মনে করেন ট্রাম্প। নিজের প্রচারপত্রেও এ নীতির কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্পের ক্যাম্পেন টিম।
রিপাবলিকান পদপ্রার্থীর দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন তিনি। তবে ট্রাম্পের এ মন্তব্যের পরই বিতর্কের তুফান চলছে রাজনৈতিক তথা নাগরিক সমাজে। বিরোধীরা এর তীব্র সমালোচনা করেছেন। হোয়াইট হাউস থেকে শুরু করে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন, প্রাক্তন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনিসহ বিরোধী দলের নেতারা মুখ খুলেছেন। টুইটে ডোনাল্ডের আইডিয়াকে ‘নিন্দনীয়, পক্ষপাতদুষ্ট ও বিভেদকামী’ বলেছেন হিলারি। নিউ জার্সির গভর্নর ও ফ্লোরিডার সেনেটের মার্কো রুবিও এবং জেব বুশের তীব্র ভাষায় নিন্দা করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘বিকৃতমস্তিষ্ক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন জেব। চেনির মন্তব্য, ‘যে আদর্শ ও বিশ্বাসে আমাদের ভরসা আছে, এটি তার বিরুদ্ধ মত।’ তবে এ সমালোচনাকে গায়ে মাখতে নারাজ ট্রাম্প। আমেরিকানদের জন্য বিশ্বজুড়ে তার দাবি মতে মুসলিমদের মনে এমন ঘৃণা রয়েছে যে তাদের সর্বসমক্ষে নাকচ করা উচিত- এমনটাই মনে করেন ট্রাম্প।
কারণ সন্ত্রাসী হামলার জন্য সবাই ব্যথিত ও উদ্বিগ্ন হলেও ট্রাম্পের কথা খোদ আমেরিকার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধী। ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে পালিয়ে বেড়ানো মানুষরাই একদা আমেরিকা সৃষ্টি করেছিল। নিউ ইয়র্ক টাইমসে গতকাল প্রকাশিত এক রিপোর্ট বলেছে, শিকাগোভিত্তিক ইন্টারফেইথ ইয়ুথ কোরের প্রেসিডেন্ট এবু প্যাটেল বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমি এমন একটি বহুতল ভবনে দাঁড়িয়ে আছি সেটির নাম সিয়ার্স টাওয়ার, আর এটির স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার হলেন ফজলুর রহমান খান, যিনি আমাদের দেশে মূলত এসেছিলেন বাংলাদেশ থেকে। ‘স্নায়ুযুদ্ধের কারণে আমরা যদি আমেরিকায় রাশানদের প্রবেশ বন্ধ করে দিতাম, তাহলে কী ঘটত? কীভাবে উদ্ভাবন হতো বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় গুগল?’ মি প্যাটেল এ প্রশ্ন করেন মার্কিন জায়ান্ট গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিনকে লক্ষ করে। সের্গেই একদা রাশিয়া থেকে আমেরিকায় এসেছিলেন।
সমস্ত মুসলিমকে আমেরিকায় ঢুকতে বাধা দেয়া উচিত বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করে তোপের মুখে ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোটিপতি ব্যবসায়ী ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে রিপাবলিকানদের সামনের সারির পদপ্রার্থী হলেও তার সবশেষ মন্তব্যের জন্য যে তাকে যথেষ্ট খেসারত দিতে হবে, সে বিষয়ে পর্যবেক্ষকদের মধ্যে সন্দেহ কম।
সাউথ ক্যারোলাইনায় একটি জনসভায় সোমবার তিনি বলেন, ‘যাদের কাছে মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই, যারা কেবলম জিহাদে বিশ্বাস করে, আমাদের দেশ এমন লোকদের আক্রমণের লক্ষ্য হতে পারে না।’ এতেই থামেননি ডোনাল্ড। মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত অভিবাসীদের না ঠেকালে দেশে আরও ৯/১১-এর মতো ঘটনা ঘটবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তার দাবি, ‘আমাদের কাছে এ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’ সান বার্নার্দিনোর হামলার পর দেশের সীমান্ত মুসলিমদের জন্য বন্ধ করে দেয়া উচিত বলে মনে করেন ট্রাম্প। নিজের প্রচারপত্রেও এ নীতির কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্পের ক্যাম্পেন টিম।
রিপাবলিকান পদপ্রার্থীর দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন তিনি। তবে ট্রাম্পের এ মন্তব্যের পরই বিতর্কের তুফান চলছে রাজনৈতিক তথা নাগরিক সমাজে। বিরোধীরা এর তীব্র সমালোচনা করেছেন। হোয়াইট হাউস থেকে শুরু করে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন, প্রাক্তন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনিসহ বিরোধী দলের নেতারা মুখ খুলেছেন। টুইটে ডোনাল্ডের আইডিয়াকে ‘নিন্দনীয়, পক্ষপাতদুষ্ট ও বিভেদকামী’ বলেছেন হিলারি। নিউ জার্সির গভর্নর ও ফ্লোরিডার সেনেটের মার্কো রুবিও এবং জেব বুশের তীব্র ভাষায় নিন্দা করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘বিকৃতমস্তিষ্ক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন জেব। চেনির মন্তব্য, ‘যে আদর্শ ও বিশ্বাসে আমাদের ভরসা আছে, এটি তার বিরুদ্ধ মত।’ তবে এ সমালোচনাকে গায়ে মাখতে নারাজ ট্রাম্প। আমেরিকানদের জন্য বিশ্বজুড়ে তার দাবি মতে মুসলিমদের মনে এমন ঘৃণা রয়েছে যে তাদের সর্বসমক্ষে নাকচ করা উচিত- এমনটাই মনে করেন ট্রাম্প।
No comments