কেক কাটেননি খালেদা জিয়া
দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ২০১৪ সালে জন্মদিনের কেক কাটলেও এবার ১৫ আগস্টের প্রথম ক্ষণে কেক কাটেননি খালেদা জিয়া। ছবিটি গত বছরের জন্মদিনের |
প্রতিবছর
১৪ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে নেতা-কর্মী পরিবেষ্টিত হয়ে কেক কেটে
জন্মদিন উদ্যাপন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এই রেওয়াজ শুরু
হয়েছিল ১৯৯৬ সালে, বিএনপি বিরোধী দলে যাওয়ার পর থেকে। এবার হঠাৎ এই
উদ্যাপনে ছন্দ পতন হয়েছে। এ বছর তিনি ১৫ আগস্টের প্রথম ক্ষণে কেক
কাটেননি।
তবে খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার মহিলা দল কেক কাটবে বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা।
বিএনপির দলীয় সূত্রগুলো বলছে, আজ শনিবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে জন্মদিনের কেক কাটতে পারেন খালেদা জিয়া।
এদিকে বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও বড় ছেলে তারেক রহমান খালেদা জিয়াকে ফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ সময় তারেক রহমানের সন্তানেরা দাদি খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের গঠনের পর ১৯৯৩ সাল থেকে ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের রেওয়াজ চালু হয়। তবে তা ছিল ঘরোয়াভাবে ও অনাড়ম্বরভাবে। বিএনপি ক্ষমতা হারিয়ে বিরোধী দলে যাওয়ার পর ১৯৯৬ সাল থেকে এ দিনটিতে কেক কেটে জন্মদিন পালন শুরু হয়। ১৯৯৬ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীয় মিন্টুরোডের সরকারি বাসভবনে খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো নেতা-কর্মীদের নিয়ে কেক কেটে জন্মদিন পালন করা শুরু করেন। সেসময়ের একজন যুবদল নেতা ও কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে এ আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় বলে বিএনপির কয়েকজন নেতা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।
তবে ১৯৯১ সালের ২০ মার্চ খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সরকারিভাবে গণমাধ্যমে তাঁর যে জীবনবৃত্তান্ত পাঠানো হয়েছিল তা ২১ মার্চ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়। তাতে বলা হয়েছিল, খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট দিনাজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কিছু সংখ্যক বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে জীবন দিয়েছিলেন স্বাধীনতার স্থপতি ও আওয়ামী লীগের সেসময়ের সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর এ দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয়। একই দিনে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের কঠোর সমালোচনা করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতারা। বিএনপির নেতাদের অনেকেও এই দিনে জন্মদিন পালন করা নিয়ে ভেতরে-ভেতরে নাখোশ।
২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোন করেছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে। এই টেলিফোন সংলাপের একপর্যায়ে শেখ হাসিনা ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। গত ১ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে খালেদা জিয়াকে আবারও জন্মদিন পালন না করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ। তিনি বলেছিলেন, ১৫ আগস্ট যদি সত্যিকারের জন্মদিন হয়ে থাকে তাহলেও ১৬ বা ১৭ আগস্ট যেন খালেদা জিয়া জন্মদিন পালন করেন।
এমন পরিস্থিতিতে এ বছর ১৫ আগস্টের প্রথম ক্ষণে কেক কাটা নিয়ে বিএনপির মধ্যেও ধোঁয়াশা ছিল। গতরাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, সাধারণত শুক্রবার ও ছুটির দিনে বিএনপির চেয়ারপারসন তাঁর কার্যালয়ে যান না।
গত ২০০৯ সালে ১৪ আগস্ট ছিল শুক্রবার। ওই দিন দিবাগত রাতে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে যুবদলের নেতা-কর্মীরা দলের নয়াপল্টন কার্যালয়ে ৬৫ পাউন্ড ওজনের কেক কেটে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করা হয়।
বিএনপির পক্ষ থেকে সব সময় বলা হয়, খালেদা জিয়া নিজ থেকে জন্মদিন পালন করেন না। এটি নেতা-কর্মীদের আবেগের বিষয়। সম্প্রতি দলের মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপনও এই বক্তব্য দিয়েছেন। এমন বক্তব্যের পর যদি এবার শুক্রবারে খালেদা জিয়া কার্যালয়ে যান আর তখন কেক কাটা হয় তাহলে এই সমালোচনাও উঠবে যে, খালেদা জিয়া শুধু জন্মদিনের কেক কাটার জন্যই শুক্রবারে কার্যালয়ে গিয়েছেন। তবে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে কেক নিয়ে যাওয়ার জন্য কার্যালয় থেকে এক ধরনের নির্দেশনা তাঁরা পেয়ে থাকেন।
তবে খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার মহিলা দল কেক কাটবে বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা।
বিএনপির দলীয় সূত্রগুলো বলছে, আজ শনিবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে জন্মদিনের কেক কাটতে পারেন খালেদা জিয়া।
এদিকে বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও বড় ছেলে তারেক রহমান খালেদা জিয়াকে ফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ সময় তারেক রহমানের সন্তানেরা দাদি খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের গঠনের পর ১৯৯৩ সাল থেকে ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের রেওয়াজ চালু হয়। তবে তা ছিল ঘরোয়াভাবে ও অনাড়ম্বরভাবে। বিএনপি ক্ষমতা হারিয়ে বিরোধী দলে যাওয়ার পর ১৯৯৬ সাল থেকে এ দিনটিতে কেক কেটে জন্মদিন পালন শুরু হয়। ১৯৯৬ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীয় মিন্টুরোডের সরকারি বাসভবনে খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো নেতা-কর্মীদের নিয়ে কেক কেটে জন্মদিন পালন করা শুরু করেন। সেসময়ের একজন যুবদল নেতা ও কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে এ আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় বলে বিএনপির কয়েকজন নেতা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।
তবে ১৯৯১ সালের ২০ মার্চ খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সরকারিভাবে গণমাধ্যমে তাঁর যে জীবনবৃত্তান্ত পাঠানো হয়েছিল তা ২১ মার্চ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়। তাতে বলা হয়েছিল, খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট দিনাজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কিছু সংখ্যক বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে জীবন দিয়েছিলেন স্বাধীনতার স্থপতি ও আওয়ামী লীগের সেসময়ের সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর এ দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয়। একই দিনে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের কঠোর সমালোচনা করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতারা। বিএনপির নেতাদের অনেকেও এই দিনে জন্মদিন পালন করা নিয়ে ভেতরে-ভেতরে নাখোশ।
২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোন করেছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে। এই টেলিফোন সংলাপের একপর্যায়ে শেখ হাসিনা ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। গত ১ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে খালেদা জিয়াকে আবারও জন্মদিন পালন না করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ। তিনি বলেছিলেন, ১৫ আগস্ট যদি সত্যিকারের জন্মদিন হয়ে থাকে তাহলেও ১৬ বা ১৭ আগস্ট যেন খালেদা জিয়া জন্মদিন পালন করেন।
এমন পরিস্থিতিতে এ বছর ১৫ আগস্টের প্রথম ক্ষণে কেক কাটা নিয়ে বিএনপির মধ্যেও ধোঁয়াশা ছিল। গতরাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, সাধারণত শুক্রবার ও ছুটির দিনে বিএনপির চেয়ারপারসন তাঁর কার্যালয়ে যান না।
গত ২০০৯ সালে ১৪ আগস্ট ছিল শুক্রবার। ওই দিন দিবাগত রাতে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে যুবদলের নেতা-কর্মীরা দলের নয়াপল্টন কার্যালয়ে ৬৫ পাউন্ড ওজনের কেক কেটে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করা হয়।
বিএনপির পক্ষ থেকে সব সময় বলা হয়, খালেদা জিয়া নিজ থেকে জন্মদিন পালন করেন না। এটি নেতা-কর্মীদের আবেগের বিষয়। সম্প্রতি দলের মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপনও এই বক্তব্য দিয়েছেন। এমন বক্তব্যের পর যদি এবার শুক্রবারে খালেদা জিয়া কার্যালয়ে যান আর তখন কেক কাটা হয় তাহলে এই সমালোচনাও উঠবে যে, খালেদা জিয়া শুধু জন্মদিনের কেক কাটার জন্যই শুক্রবারে কার্যালয়ে গিয়েছেন। তবে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে কেক নিয়ে যাওয়ার জন্য কার্যালয় থেকে এক ধরনের নির্দেশনা তাঁরা পেয়ে থাকেন।
No comments