মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন দলের প্রধানকে অপসারণ
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (ইউএসডিপি) প্রধান শোয়ে মানকে অপসারণ করা হয়েছে। দলটির একজন কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। এতে করে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীনদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট হলো। খবর এএফপির। মিয়ানমারে আগামী ৮ নভেম্বর সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সামরিক জান্তাদের শাসনে পিষ্ট দেশটিতে কয়েক দশকের মধ্যে এটাই সবচেয়ে অবাধ ও নিরেপক্ষ নির্বাচন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই নির্বাচন নিয়ে ইউএসডিপির ভেতরে প্রচণ্ড অন্তঃকোন্দল শুরু হয়েছে। কয়েক মাস ধরেই মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন এবং ইউএসডিপির চেয়ারম্যান ও পার্লামেন্টের স্পিকার শোয়ে মানের মধ্যে বিরোধ নিয়ে জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এই দুজনই সাবেক জেনারেল। দেশটিতে ২০১০ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে দৃশ্যত একটি বেসামরিক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর যে সংস্কার কর্মসূচি শুরু হয়, তার গুরুদায়িত্ব পড়ে তাঁদের ওপরেই। প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তা জাউ তাই জানান, শোয়ে মানকে দলীয় পদ থেকে অপসারণে রাজি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন। তবে শোয়ে মানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এমন গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা কেবলই একটা দলীয় নেতৃত্ববিষয়ক ব্যাপার।
এখানে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নেই।’ এর আগে শোয়ে মানের ছেলে তোয়ে নাইং মান অভিযোগ করেন, বুধবার গভীর রাতের নাটকীয়তার পর নেপিডোতে তাঁর বাবার বাড়িটি ঘিরে রেখেছে ‘তথাকথিত প্রহরীরা’। এমন সময়ে এসব ঘটনা ঘটল, যখন মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থিতা নিবন্ধন করার জন্য সময় হাতে ছিল মাত্র একদিন। নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের অনুগত প্রার্থীদের সমর্থন করতে পার্লামেন্ট স্পিকার শোয়ে মানের অনীহা রয়েছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। দেশটির প্রভাবশালী সেনাবাহিনী থেকে সদ্য অবসরে যাওয়া কিছু সেনাসদস্য প্রার্থী হতে চাইলেও তা গ্রহণ করেননি তিনি। ইউএসডিপির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মূল পরিকল্পনাটা হচ্ছে, শোয়ে মানকে অপসারণ করা এবং ‘একটি নতুন দলীয় কাঠামো’ গড়ে তোলা। তিনি বলেন, ‘আমরা এটা প্রত্যাশা করিনি। কিন্তু সেটা ঘটেই গেল। তবে এটা ভালো নয়। দলের জন্যও নয়, দেশের ভবিষ্যতের জন্যও নয়।’
No comments