শোকাবহ আগস্ট: ছবি প্রদর্শনীর উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় গতকাল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ‘চিত্রগাঁথায় শোকগাথা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী দেখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা |
১৫
আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বলেছেন, ‘যে বাঙালির জন্য বঙ্গবন্ধু এত আত্মত্যাগ করেছিলেন, যে বাঙালিকে
তিনি এত গভীরভাবে ভালোবাসতেন, আর সেই বাঙালি তাঁর বুকে গুলি চালাল। যা
আমরা ভাবতেও পারিনি। আমাদের কল্পনারও বাইরে ছিল।’
বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজিত ‘চিত্রগাঁথায় শোকগাথা’ শীর্ষক ছবি প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সাংসদ, বিশিষ্ট নাগরিক, কূটনীতিক, বেসামরিক ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন। তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনের বিরল অনেক ছবি স্থান পায়। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রদর্শনী উন্মুক্ত ছিল। আজ বেলা ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং কাল শনিবার বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করা হয়নি, আমার মাকে হত্যা করল। আমার ভাই কামাল, জামালকে তাদের নবপরিণীতা স্ত্রীসহ হত্যা করল। তাদের বুকের রক্তে মেহেদির রং আরও লাল হয়ে গেল। আমার ছোট ভাই রাসেলকে হত্যা করল। আমাদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ১৮ জনকে হত্যা করা হলো।’
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কারও আপনজন হারালে, খুন হলে, হত্যা করা হলে সবাই বিচার চায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমাদের বিচার চাওয়ার অধিকারটুকুও কেড়ে নেওয়া হলো। খুনিদের বাঁচাতে জিয়াউর রহমান এই অর্ডিন্যান্স জারি করেছিল। খুনিদের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। তারপর শুরু হলো খুনের রাজত্ব, জঙ্গিবাদের উত্থান, সন্ত্রাসের উত্থান।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, এগিয়ে যাবে। আজকে বিশ্বে আমরা উন্নয়নের রোল মডেল।’
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী ছবির প্রদর্শনী দেখেন। এ সময় তাঁকে কিছু ছবির সামনে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অনুষ্ঠানে শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকেন। প্রধানমন্ত্রী রংতুলি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকার উদ্দেশ্যে ক্যানভাসে তুলির ছোঁয়া দেন। পরে শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সৈয়দ শামসুল হক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন।
বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজিত ‘চিত্রগাঁথায় শোকগাথা’ শীর্ষক ছবি প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সাংসদ, বিশিষ্ট নাগরিক, কূটনীতিক, বেসামরিক ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন। তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনের বিরল অনেক ছবি স্থান পায়। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রদর্শনী উন্মুক্ত ছিল। আজ বেলা ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং কাল শনিবার বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করা হয়নি, আমার মাকে হত্যা করল। আমার ভাই কামাল, জামালকে তাদের নবপরিণীতা স্ত্রীসহ হত্যা করল। তাদের বুকের রক্তে মেহেদির রং আরও লাল হয়ে গেল। আমার ছোট ভাই রাসেলকে হত্যা করল। আমাদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ১৮ জনকে হত্যা করা হলো।’
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কারও আপনজন হারালে, খুন হলে, হত্যা করা হলে সবাই বিচার চায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমাদের বিচার চাওয়ার অধিকারটুকুও কেড়ে নেওয়া হলো। খুনিদের বাঁচাতে জিয়াউর রহমান এই অর্ডিন্যান্স জারি করেছিল। খুনিদের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। তারপর শুরু হলো খুনের রাজত্ব, জঙ্গিবাদের উত্থান, সন্ত্রাসের উত্থান।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, এগিয়ে যাবে। আজকে বিশ্বে আমরা উন্নয়নের রোল মডেল।’
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী ছবির প্রদর্শনী দেখেন। এ সময় তাঁকে কিছু ছবির সামনে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অনুষ্ঠানে শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকেন। প্রধানমন্ত্রী রংতুলি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকার উদ্দেশ্যে ক্যানভাসে তুলির ছোঁয়া দেন। পরে শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সৈয়দ শামসুল হক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন।
No comments