‘কামারুজ্জামানের চিঠি এবং জামায়াতের সংস্কার প্রসঙ্গ’
কামারুজ্জামানের চিঠি এবং জামায়াতের সংস্কার প্রসঙ্গ- শীর্ষক বইটির সম্পাদনা করেছেন সমাজ ও সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান পরিচালক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। সমাজ ও সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র থেকেই বইটি প্রকাশিত হয়েছে। ওই বইয়ের ভূমিকায় মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক লিখেছেন-
বাংলাদেশ ও সমকালীন বিশ্বের প্রেক্ষাপটে ইসলাম, রাজনীতি, ধর্মীয় রাজনীতি, রাজনৈতিক ইসলাম, মৌলবাদ, ইসলামী আন্দোলন এ ধরনের কনসেপ্ট নিয়ে জানা ও গবেষণার কাজে যারা আগ্রহী হবেন তাদের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সিনিয়র সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের একটি চিঠি ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসাবে বিবেচিত হবে।
প্রধানত যুক্তরাজ্য প্রবাসী জামায়াত নেতৃত্বের উদ্যোগে Bangladesh: Reclaiming the Narrative শীর্ষক একটি সংস্কার প্রস্তাবনা ২০০১ সালের পরে বাংলাদেশের শীর্ষ জামায়াত নেতৃবৃন্দের কাছে পেশ করা হয়। মুহাম্মদ কামারুজ্জামান কর্তৃক জেলখানা থেকে পাঠানো সুদর্ঘি চিঠিটি দৃশ্যত এই ধারণাপত্রের আলোকে লিখিত। জামায়াত সংশ্লিষ্ট নানা মহলে সাথে যোগাযোগ করে ইংরেজিতে লেখা প্রবন্ধটির এক ধরনের অথেনটিসিটির আভাস পাওয়া যায়। আলোচিত পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশানের ঘটনা জামায়াত ঘরানার অনেকেই জানেন। এ নিয়েও প্রত্যক্ষ কোনো প্রমাণ নাই। জেল থেকে পাঠানো জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের সংস্কার প্রস্তাবনা সম্পর্কে জামায়াতের জনশক্তির মাঝে স্বভাবতই ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতের মহিলা বিভাগের প্রধান শামসুন্নাহার নিজামী কোরআন-হাদীসের ব্যাপক উদ্ধৃতিসহ বিবেচনায় আনতে হবে সবকিছু শিরোনামে একটা পাল্টা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এই সাঁড়াশি আক্রমণে কামারুজ্জামানের সংস্কার প্রস্তাবনাটি ক্রমেই থিতিয়ে পড়ে।
জনাব শাহ আবদুল হালিমের Do Islamists Need a Way out? শীর্ষক প্রবন্ধটি নেতৃত্বকে সংগঠনের যুগোপযোগী সংস্কার গ্রহণের জন্যে সম্মত করানোর কাজে জামায়াতের বুদ্ধিজীবী মহলের দৃশ্যত ধারাবাহিক ব্যর্থতার অন্যতম নজির। শীর্ষ জামায়াত নেতৃত্ব কখনও এসব সংস্কার প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করেনি। বরং এ ধরনের লেখালেখিকে সুবিধাবাদীতা ও আপসকামীতা হিসাবে বিবেচনা করে তাদেরকে সাংগঠনিক রীতি-নীতি ভঙ্গের অভিযোগে তিরস্কার করেছে।
রিফর্ম ইস্যু নিয়ে এই পর্যাযে সুপরিচিত আইনজীবী ও কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আরব বসন্ত ও দেশে দেশে ইসলামী আন্দোলন শীর্ষক একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেন। জামায়াত মহলে তাঁর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতার কারণে এবং জামায়াতপন্থী দৈনিক নয়া দিগন্তে প্রকাশিত হওযায় প্রবন্ধটি নিয়ে রীতিমতো হৈ চৈ পড়ে যায়। সংস্কারের এই ক্রমবর্ধমান চাপকে নিষ্ক্রিয় করার লক্ষ্যে এ পর্যায়ে পাল্টা বক্তব্য দিতে এগিয়ে আসেন অধ্যাপক এ কে এম নাজির আহমদ। জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি ব্যারিস্টার রাজ্জাক উপস্থাপিত সংস্কার প্রস্তাবকে খ-ন করে বক্তৃতা করেন। জামায়াত নেতৃত্বের মন-মানসিকতা বুঝার জন্য এটি সহায়ক হতে পারে। তিনি জামায়াতের সিনিয়র দায়িত্বশীল ছিলেন। আমৃত্যু তিনি ছিলেন জামায়াতের সম্ভবত একমাত্র বুদ্ধিবৃত্তিক ফোরাম বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার এর পরিচালক। অঘোষিতভাবে তিনি ছিলেন জামায়াত-শিবিরের যে কোনো অভ্যন্তরীণ শীর্ষ পর্যাযের নির্বাচনের একচ্ছত্র পরিচালনাকারী। ব্যক্তি জীবনের ছিলেন অত্যন্ত নির্মোহ। সংগঠনের ব্যাপারে ছিলেন সংগঠনবাদিতার মূর্তপ্রতীক।
যাহোক, জামায়াতের সংস্কার ইস্যুর ওপর একটি সিদ্ধান্তমূলক নিবন্ধ লিখে পাঠান সংগঠনটির কারান্তরীণ এক নম্বর ব্যক্তি মাওলানা নিজামী। আবু নকীব ছদ্মনামে লেখা ইসলামী আন্দোলনে হীনমন্যতাবোধের সুযোগ নেই শিরোনামে প্রত্যুত্তরমূলক এই নিবন্ধটি জামায়াতপন্থী পত্রিকা দৈনিক সংগ্রামে ছাপানো হয়। এটি লিফলেট আকারে জনশক্তির মাঝে ব্যাপকভাবে পৌঁছানোর ব্যবস্থাও করা হয়।
জনাব কামারুজ্জামানের সংস্কার প্রস্তাবনাটির সূত্রগত সত্যতা নিয়ে নানা মহলে, বিশেষ করে সংগঠন-প্রাণ জামায়াতের জনশক্তির মাঝে কিছুটা সংশয় ছিলো। এর কারণ হলো মূলধারার জামায়াত নেতৃত্ব কর্তৃক একে যথাসম্ভব অস্বীকার করার প্রবণতা। ইতোমধ্যে এই চিঠির পা-ুলিপি অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে।
কোরআন ও হাদীস মোতাবেক সামষ্টিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিতে দ্বিমতের বিষয়গুলো প্রকাশ্যে উপস্থাপন করার সীমা বা ক্ষেত্র যা-ই হোক না কেন, জামায়াত যে কোনো বিষযে তাবৎ দ্বিমত ও সমালোচনাকে যথাসম্ভব নিরুৎসাহিত করে। উপরন্তু এসব বিষয়কে অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও গোপনীয় হিসেবে বিবেচনা করে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার মারফতে এর ভিতরকার অনেক কিছুই এখন প্রকাশ হয়ে পড়ছে। স্বীয় বৃহত্তর জনশক্তির নির্দোষ সেন্টিমেন্ট এবং পরীক্ষিত ও ত্যাগী বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠীর সময়োপযোগী ও বিশ্লেষণমূলক কোনো পরামর্শকে সংগঠনটির শীর্ষতম নেতৃবৃন্দ কখনও সুনজরে দেখে নাই। সংগঠনবাদী ও সংস্কারপন্থীদের এই দৃশ্যমান দ্বন্দ্ব নিরসনে জামাযাত ভবিষ্যতে কি করবে তা কেবলমাত্র ভবিষ্যতেই জানা যাবে।
জামায়াত কখনো স্বতঃস্ফূর্ত ও স্থায়ী সংস্কারে ব্রতী হবে না আজ থেকে পাঁচ/সাত বছর আগে খুব কম লোকেই তা বিশ্বাস করতো। আমি তাদের অন্যতম। ২০১০ সালে আমি সোনার বাংলাদেশ ব্লগে জামায়াত সম্পর্কে আমার বক্তব্য তুলে ধরেছিলাম, যা ফোর পয়েন্টস হিসাবে পরিচিত। তখন আমার বিভিন্ন লেখায় নানাভাবে তা তুলে ধরেছি। এর মূল কথা হলো- (ক) জামায়াত কখনো কোনো স্বতঃস্ফূর্ত ও মৌলিক পরিবর্তনকে গ্রহণ করবে না। (খ) নানা কারণে এই মুহূর্তে বিকল্প জামায়াত প্রতিষ্ঠার চেষ্টাও বাস্তবসম্মত নয়। (গ) ইসলামী আন্দোলনের ধারণা মোতাবেক দেখি না কী হয়, অন্যরা করুক, আমি তো বলেছি বা সবাই করলে আছি নয়তো নাই এই ধরনের মনোভাবও গ্রহণযোগ্য নয়। (ঘ) অতএব, সংশ্লিষ্টদের উচিত নতুন শতাব্দীর প্রেক্ষাপটে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের ধারণাকে পুনর্গঠনের কাজ করে যাওয়া। শেষ পর্যন্ত কী হবে তা সময়ই বলে দিবে।
বাংলাদেশ ও সমকালীন বিশ্বের প্রেক্ষাপটে ইসলাম, রাজনীতি, ধর্মীয় রাজনীতি, রাজনৈতিক ইসলাম, মৌলবাদ, ইসলামী আন্দোলন এ ধরনের কনসেপ্ট নিয়ে জানা ও গবেষণার কাজে যারা আগ্রহী হবেন তাদের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সিনিয়র সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের একটি চিঠি ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসাবে বিবেচিত হবে।
প্রধানত যুক্তরাজ্য প্রবাসী জামায়াত নেতৃত্বের উদ্যোগে Bangladesh: Reclaiming the Narrative শীর্ষক একটি সংস্কার প্রস্তাবনা ২০০১ সালের পরে বাংলাদেশের শীর্ষ জামায়াত নেতৃবৃন্দের কাছে পেশ করা হয়। মুহাম্মদ কামারুজ্জামান কর্তৃক জেলখানা থেকে পাঠানো সুদর্ঘি চিঠিটি দৃশ্যত এই ধারণাপত্রের আলোকে লিখিত। জামায়াত সংশ্লিষ্ট নানা মহলে সাথে যোগাযোগ করে ইংরেজিতে লেখা প্রবন্ধটির এক ধরনের অথেনটিসিটির আভাস পাওয়া যায়। আলোচিত পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশানের ঘটনা জামায়াত ঘরানার অনেকেই জানেন। এ নিয়েও প্রত্যক্ষ কোনো প্রমাণ নাই। জেল থেকে পাঠানো জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের সংস্কার প্রস্তাবনা সম্পর্কে জামায়াতের জনশক্তির মাঝে স্বভাবতই ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতের মহিলা বিভাগের প্রধান শামসুন্নাহার নিজামী কোরআন-হাদীসের ব্যাপক উদ্ধৃতিসহ বিবেচনায় আনতে হবে সবকিছু শিরোনামে একটা পাল্টা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এই সাঁড়াশি আক্রমণে কামারুজ্জামানের সংস্কার প্রস্তাবনাটি ক্রমেই থিতিয়ে পড়ে।
জনাব শাহ আবদুল হালিমের Do Islamists Need a Way out? শীর্ষক প্রবন্ধটি নেতৃত্বকে সংগঠনের যুগোপযোগী সংস্কার গ্রহণের জন্যে সম্মত করানোর কাজে জামায়াতের বুদ্ধিজীবী মহলের দৃশ্যত ধারাবাহিক ব্যর্থতার অন্যতম নজির। শীর্ষ জামায়াত নেতৃত্ব কখনও এসব সংস্কার প্রস্তাবকে ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করেনি। বরং এ ধরনের লেখালেখিকে সুবিধাবাদীতা ও আপসকামীতা হিসাবে বিবেচনা করে তাদেরকে সাংগঠনিক রীতি-নীতি ভঙ্গের অভিযোগে তিরস্কার করেছে।
রিফর্ম ইস্যু নিয়ে এই পর্যাযে সুপরিচিত আইনজীবী ও কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আরব বসন্ত ও দেশে দেশে ইসলামী আন্দোলন শীর্ষক একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেন। জামায়াত মহলে তাঁর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতার কারণে এবং জামায়াতপন্থী দৈনিক নয়া দিগন্তে প্রকাশিত হওযায় প্রবন্ধটি নিয়ে রীতিমতো হৈ চৈ পড়ে যায়। সংস্কারের এই ক্রমবর্ধমান চাপকে নিষ্ক্রিয় করার লক্ষ্যে এ পর্যায়ে পাল্টা বক্তব্য দিতে এগিয়ে আসেন অধ্যাপক এ কে এম নাজির আহমদ। জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি ব্যারিস্টার রাজ্জাক উপস্থাপিত সংস্কার প্রস্তাবকে খ-ন করে বক্তৃতা করেন। জামায়াত নেতৃত্বের মন-মানসিকতা বুঝার জন্য এটি সহায়ক হতে পারে। তিনি জামায়াতের সিনিয়র দায়িত্বশীল ছিলেন। আমৃত্যু তিনি ছিলেন জামায়াতের সম্ভবত একমাত্র বুদ্ধিবৃত্তিক ফোরাম বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার এর পরিচালক। অঘোষিতভাবে তিনি ছিলেন জামায়াত-শিবিরের যে কোনো অভ্যন্তরীণ শীর্ষ পর্যাযের নির্বাচনের একচ্ছত্র পরিচালনাকারী। ব্যক্তি জীবনের ছিলেন অত্যন্ত নির্মোহ। সংগঠনের ব্যাপারে ছিলেন সংগঠনবাদিতার মূর্তপ্রতীক।
যাহোক, জামায়াতের সংস্কার ইস্যুর ওপর একটি সিদ্ধান্তমূলক নিবন্ধ লিখে পাঠান সংগঠনটির কারান্তরীণ এক নম্বর ব্যক্তি মাওলানা নিজামী। আবু নকীব ছদ্মনামে লেখা ইসলামী আন্দোলনে হীনমন্যতাবোধের সুযোগ নেই শিরোনামে প্রত্যুত্তরমূলক এই নিবন্ধটি জামায়াতপন্থী পত্রিকা দৈনিক সংগ্রামে ছাপানো হয়। এটি লিফলেট আকারে জনশক্তির মাঝে ব্যাপকভাবে পৌঁছানোর ব্যবস্থাও করা হয়।
জনাব কামারুজ্জামানের সংস্কার প্রস্তাবনাটির সূত্রগত সত্যতা নিয়ে নানা মহলে, বিশেষ করে সংগঠন-প্রাণ জামায়াতের জনশক্তির মাঝে কিছুটা সংশয় ছিলো। এর কারণ হলো মূলধারার জামায়াত নেতৃত্ব কর্তৃক একে যথাসম্ভব অস্বীকার করার প্রবণতা। ইতোমধ্যে এই চিঠির পা-ুলিপি অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে।
কোরআন ও হাদীস মোতাবেক সামষ্টিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিতে দ্বিমতের বিষয়গুলো প্রকাশ্যে উপস্থাপন করার সীমা বা ক্ষেত্র যা-ই হোক না কেন, জামায়াত যে কোনো বিষযে তাবৎ দ্বিমত ও সমালোচনাকে যথাসম্ভব নিরুৎসাহিত করে। উপরন্তু এসব বিষয়কে অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও গোপনীয় হিসেবে বিবেচনা করে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার মারফতে এর ভিতরকার অনেক কিছুই এখন প্রকাশ হয়ে পড়ছে। স্বীয় বৃহত্তর জনশক্তির নির্দোষ সেন্টিমেন্ট এবং পরীক্ষিত ও ত্যাগী বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠীর সময়োপযোগী ও বিশ্লেষণমূলক কোনো পরামর্শকে সংগঠনটির শীর্ষতম নেতৃবৃন্দ কখনও সুনজরে দেখে নাই। সংগঠনবাদী ও সংস্কারপন্থীদের এই দৃশ্যমান দ্বন্দ্ব নিরসনে জামাযাত ভবিষ্যতে কি করবে তা কেবলমাত্র ভবিষ্যতেই জানা যাবে।
জামায়াত কখনো স্বতঃস্ফূর্ত ও স্থায়ী সংস্কারে ব্রতী হবে না আজ থেকে পাঁচ/সাত বছর আগে খুব কম লোকেই তা বিশ্বাস করতো। আমি তাদের অন্যতম। ২০১০ সালে আমি সোনার বাংলাদেশ ব্লগে জামায়াত সম্পর্কে আমার বক্তব্য তুলে ধরেছিলাম, যা ফোর পয়েন্টস হিসাবে পরিচিত। তখন আমার বিভিন্ন লেখায় নানাভাবে তা তুলে ধরেছি। এর মূল কথা হলো- (ক) জামায়াত কখনো কোনো স্বতঃস্ফূর্ত ও মৌলিক পরিবর্তনকে গ্রহণ করবে না। (খ) নানা কারণে এই মুহূর্তে বিকল্প জামায়াত প্রতিষ্ঠার চেষ্টাও বাস্তবসম্মত নয়। (গ) ইসলামী আন্দোলনের ধারণা মোতাবেক দেখি না কী হয়, অন্যরা করুক, আমি তো বলেছি বা সবাই করলে আছি নয়তো নাই এই ধরনের মনোভাবও গ্রহণযোগ্য নয়। (ঘ) অতএব, সংশ্লিষ্টদের উচিত নতুন শতাব্দীর প্রেক্ষাপটে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের ধারণাকে পুনর্গঠনের কাজ করে যাওয়া। শেষ পর্যন্ত কী হবে তা সময়ই বলে দিবে।
No comments