‘আপনার পায়ে ধরি খালু, মাইরেন না’
রাজশাহীর কাটাখালিতে নির্যাতনের শিকার শিশু রত্না। হাতে খুন্তির ছ্যাঁকার দাগ। ছবিটি আজ শুক্রবার তোলা। ছবি: প্রথম আলো। |
নির্যাতনের শিকার শিশু রত্না। ছবিটি শুক্রবার তোলা। ছবি: প্রথম আলো। |
‘আপনার
পায়ে ধরি খালু, মাইরেন না! ’—রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালি এলাকার
জিল্লুর রহমান-রীতা খাতুন দম্পতির বাসার ভেতরে এমন কাতর আর্তনাদ প্রায়ই
শুনতে পেতেন প্রতিবেশীরা। আর্তনাদ করত ১১ বছর বয়সী গৃহকর্মী রত্না বেগম।
তাকে বাসায় আটকে রেখে রুটি বানানোর বেলুন দিয়ে পেটানো হতো। দুই মাস আগে
একবার গরম খুন্তি দিয়ে তার গায়ে ছ্যাঁকাও দেওয়া হয়। পুলিশ শুক্রবার এসব
অভিযোগে গৃহকর্তা জিল্লুর রহমানকে আটক করেছে। তারা শিশুটিকেও উদ্ধার করেছে।
শিশু
রত্না বেগম শুক্রবার প্রথম আলোকে বলে, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকেও মিষ্টি
চুরি করে
খাওয়ার অভিযোগে রীতা খাতুন তাকে রুটি তৈরির বেলুন দিয়ে পিটিয়েছে। সে চিৎকার
করে কাঁদতে শুরু করলে তিনি তাকে থাপড় দেন। চুল ধরে তুলে আছাড়ও দেন।
একপর্যায়ে তাকে বাড়ির একটি কক্ষের ভেতরে তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়। এর পর
কান্নার শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে প্রতিবেশীরা
পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে গৃহকর্তা জিল্লুর রহমানকে আটক করে। তবে
গৃহকর্ত্রী রীতাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। আটক জিল্লুর রহমানের কাছে শিশুটিকে
কেন মারা হতো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা সামান্য ব্যাপার। এ নিয়ে
সাংবাদিক কেনো? কিছু বলতে হলে তিনি থানায় গিয়ে বলবেন।’
শিশু রত্না আরও জানায়, তার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে। বাবার নাম আব্দুর রহিম। তারা চার বোন। সে মেজ। বাড়িতে থাকতে স্কুলে পড়ত। সেখান থেকে ছয় বছর আগে এনজিও কর্মী জিল্লুর রহমান তাকে বাসায় কাজ করার জন্য নিয়ে আসেন। কাজের বিনিময়ে তাকে থাকা-খাওয়ার বাইরে প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে দেওয়া হতো । কিন্তু ওই বাড়িতে কারণে অকারণে প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা বলে রত্না। সে বলে, গৃহকর্তা জিল্লুর রহমান, তাঁর স্ত্রী রীতা খাতুন এবং তাঁদের দুই সন্তানও কথায় কথায় তাকে মারত। সে কাঁদলে চড়-থাপড় মারত। চুল ধরে তুলে আছাড় দিত। দুই মাস আগে জিল্লুর রহমান তাকে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়েছিল। তাতে তার গা পুড়ে যায়। কিছুদিন আগে সেই ঘা শুকিয়েছে। তবে আজ ওই বাড়িতে গিয়ে তার কচি শরীরে এখনো সে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা যায়।
তবে এ ঘটনা নিয়ে থানায় এখনো মামলা হয়নি। মামলা হবে কি না জানতে চাইলে মতিহার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজল রেখা বলেন, ‘জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট’ থানা পরিদর্শনে এসেছেন। তিনি যাওয়ার পরে সিদ্ধান্ত হবে। ওসি স্যার বলতে পারবেন।
শিশু রত্না আরও জানায়, তার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে। বাবার নাম আব্দুর রহিম। তারা চার বোন। সে মেজ। বাড়িতে থাকতে স্কুলে পড়ত। সেখান থেকে ছয় বছর আগে এনজিও কর্মী জিল্লুর রহমান তাকে বাসায় কাজ করার জন্য নিয়ে আসেন। কাজের বিনিময়ে তাকে থাকা-খাওয়ার বাইরে প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে দেওয়া হতো । কিন্তু ওই বাড়িতে কারণে অকারণে প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা বলে রত্না। সে বলে, গৃহকর্তা জিল্লুর রহমান, তাঁর স্ত্রী রীতা খাতুন এবং তাঁদের দুই সন্তানও কথায় কথায় তাকে মারত। সে কাঁদলে চড়-থাপড় মারত। চুল ধরে তুলে আছাড় দিত। দুই মাস আগে জিল্লুর রহমান তাকে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়েছিল। তাতে তার গা পুড়ে যায়। কিছুদিন আগে সেই ঘা শুকিয়েছে। তবে আজ ওই বাড়িতে গিয়ে তার কচি শরীরে এখনো সে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা যায়।
তবে এ ঘটনা নিয়ে থানায় এখনো মামলা হয়নি। মামলা হবে কি না জানতে চাইলে মতিহার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজল রেখা বলেন, ‘জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট’ থানা পরিদর্শনে এসেছেন। তিনি যাওয়ার পরে সিদ্ধান্ত হবে। ওসি স্যার বলতে পারবেন।
No comments