ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন: ৬৫ হাজার বালুর বস্তা ফেলেও কাজ হচ্ছে না
ভোলার
সদর উপজেলার ইলিশা ফেরিঘাট অঞ্চলের ভাঙন প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। গত ১৯
দিনে বালুভর্তি ৬৫ হাজার বস্তা ফেলা হলেও ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এ কারণে
ভোলা শহরে পানি ঢুকতে পারে বলে আশঙ্কায় আছে সবাই।
ভাঙনকবলিত এলাকা দেখার জন্য শুক্রবার বেলা ১১টায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ভোলায় আসছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোলার উত্তরে রাজাপুরের ঢালির খাল থেকে দক্ষিণের ইলিশা বিশ্বরোডের মাথা, চডারমাথা, কালুপুর ও মুরাদসফুল্যাহ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার ভাঙনকবলিত। ২৩ জুলাই থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কমপক্ষে দুই বর্গকিলোমিটার এলাকা মেঘনা নদীতে বিলীন হয়েছে। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হেকীম এক বর্গকিলোমিটার এলাকা ভাঙনে বিলীন হয়েছে বলে দাবি করেন। এর মধ্যে বরিশাল-ভোলা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভোলা অংশের দেড় কিলোমিটার, চডারমাথা বাজার, মাছঘাট, বিশ্বরোডের মাথা বাজারের কিছু অংশসহ সহস্রাধিক দোকানপাট, বাড়িঘরসহ কয়েক শ একর ফসলি জমি আছে।
মহাসড়ক ভাঙনের পর ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটটি বিশ্বরোডের মাথায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানান্তর করা হয়। ১০ আগস্ট সেটি উদ্বোধনের তিন দিনের মাথায় অধিকাংশ এলাকা ভাঙনে বিলীন হয়েছে। চডারমাথা থেকে দক্ষিণে ৬০০ ফুট মহাসড়কের কিছু অংশ বিলীন হয়ে কয়েক স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। পাউবো এক দিকে বালি ভর্তি বস্তা ফেলছে, আরেক দিকে স্রোতে তা ভাসিয়ে নিচ্ছে।
এই ভাঙন ঠেকাতে জেলার সব বিভাগের কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলের নেতারা কয়েকবার জরুরি বৈঠক করেছেন। সর্বশেষ গত বুধবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জরুরি বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা বলেন, রাজাপুরের বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ছুটলে ভোলা শহর পর্যন্ত প্লাবিত হবে। নবনির্মিত ফেরিঘাটটি ভাঙলে আবারও বন্ধ হবে ২১ জেলার যোগাযোগ। এ জন্য ভাঙন প্রতিরোধের পাশাপাশি বিকল্প ফেরিঘাট নির্মাণ করতে হবে।
আবদুল হেকীম বলেন, এ পর্যন্ত বালুভর্তি ৬৫ হাজার বস্তা ভোলা ইলিশা ফেরিঘাট, চডারমাথা ও বিশ্বরোডের মাথা এলাকায় ফেলা হয়েছে। এতে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ভাঙন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আরও বস্তা ফেলা হবে। এ ছাড়া বিকল্প বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার কবীর বলেন, বিশ্বরোডের মাথা ফেরিঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভাঙন আর স্রোতে। কত দিন টিকবে বলা মুশকিল।
গতকাল ভাঙন প্রতিরোধের কাজ তদারক করতে আসেন পাউবোর টাস্কফোর্সের প্রধান, নকশা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে ভাঙন প্রতিরোধ করা কঠিন, তারপরও চেষ্টা করছি ভাঙন প্রতিরোধের জন্য।’
ভাঙনকবলিত এলাকা দেখার জন্য শুক্রবার বেলা ১১টায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ভোলায় আসছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোলার উত্তরে রাজাপুরের ঢালির খাল থেকে দক্ষিণের ইলিশা বিশ্বরোডের মাথা, চডারমাথা, কালুপুর ও মুরাদসফুল্যাহ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার ভাঙনকবলিত। ২৩ জুলাই থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কমপক্ষে দুই বর্গকিলোমিটার এলাকা মেঘনা নদীতে বিলীন হয়েছে। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হেকীম এক বর্গকিলোমিটার এলাকা ভাঙনে বিলীন হয়েছে বলে দাবি করেন। এর মধ্যে বরিশাল-ভোলা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভোলা অংশের দেড় কিলোমিটার, চডারমাথা বাজার, মাছঘাট, বিশ্বরোডের মাথা বাজারের কিছু অংশসহ সহস্রাধিক দোকানপাট, বাড়িঘরসহ কয়েক শ একর ফসলি জমি আছে।
মহাসড়ক ভাঙনের পর ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটটি বিশ্বরোডের মাথায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানান্তর করা হয়। ১০ আগস্ট সেটি উদ্বোধনের তিন দিনের মাথায় অধিকাংশ এলাকা ভাঙনে বিলীন হয়েছে। চডারমাথা থেকে দক্ষিণে ৬০০ ফুট মহাসড়কের কিছু অংশ বিলীন হয়ে কয়েক স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। পাউবো এক দিকে বালি ভর্তি বস্তা ফেলছে, আরেক দিকে স্রোতে তা ভাসিয়ে নিচ্ছে।
এই ভাঙন ঠেকাতে জেলার সব বিভাগের কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলের নেতারা কয়েকবার জরুরি বৈঠক করেছেন। সর্বশেষ গত বুধবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জরুরি বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা বলেন, রাজাপুরের বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ছুটলে ভোলা শহর পর্যন্ত প্লাবিত হবে। নবনির্মিত ফেরিঘাটটি ভাঙলে আবারও বন্ধ হবে ২১ জেলার যোগাযোগ। এ জন্য ভাঙন প্রতিরোধের পাশাপাশি বিকল্প ফেরিঘাট নির্মাণ করতে হবে।
আবদুল হেকীম বলেন, এ পর্যন্ত বালুভর্তি ৬৫ হাজার বস্তা ভোলা ইলিশা ফেরিঘাট, চডারমাথা ও বিশ্বরোডের মাথা এলাকায় ফেলা হয়েছে। এতে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ভাঙন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আরও বস্তা ফেলা হবে। এ ছাড়া বিকল্প বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার কবীর বলেন, বিশ্বরোডের মাথা ফেরিঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভাঙন আর স্রোতে। কত দিন টিকবে বলা মুশকিল।
গতকাল ভাঙন প্রতিরোধের কাজ তদারক করতে আসেন পাউবোর টাস্কফোর্সের প্রধান, নকশা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে ভাঙন প্রতিরোধ করা কঠিন, তারপরও চেষ্টা করছি ভাঙন প্রতিরোধের জন্য।’
No comments