জঠরের শিশু গুলিবিদ্ধ: বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ পলাতক আসামির পোস্টার
মেহেদী হাসান আজিবরের নামে শহরে লাগানো পোস্টার। ছবি: করির হোসেন |
মাগুরায়
ছাত্রলীগের দুপক্ষের গোলাগুলিতে বৃদ্ধ নিহত এবং এক মা ও তাঁর জঠরের শিশু
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় করা মামলার দুই নম্বর আসামি পলাতক মেহেদী হাসান ওরফে
আজিবরের (আজিব্বর) নামে শহরে পোস্টার লাগানো হয়েছে। পোস্টারে আজিবরসহ
মামলার আসামিদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
পোস্টারটির বামপাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ডানপাশে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখরের হাস্যোজ্জ্বল ছবি শোভা পাচ্ছে। পোস্টারে বড় করে আজিবর শেখের ছবি দেওয়া হয়েছে। পোস্টারটিতে ওই ঘটনায় জড়িতদের সম্পর্কে একটি বক্তব্য দেওয়ার হয়েছে। শহরের মানুষের মধ্যে পোস্টারটি নিয়ে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, শহরজুড়ে এমন পোস্টার লাগানোর পর অন্য পক্ষ সেই পোস্টারগুলো তুলে ছিঁড়ে ফেলছে বলে শোনা যাচ্ছে।
মেহেদী হাসান আজিবর প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সী শুক্রবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজিবরের পক্ষে শহরে পোস্টার লাগানোর কথা শুনেছি। তবে আমি দেখিনি।’
ওই ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সেন সুমনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গত মঙ্গলবার তাঁকে রিমান্ডে নেয়। এর আগে গত রোববার আদালত তাঁর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক প্রথম আলোকে বলেন, সেন সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এর আগে সোবহান ও সুমন নামের দুই আসামিকে এক দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
গত ২৩ জুলাই মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় কারিগরপাড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলির সময় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাজমা খাতুন তলপেটে গুলিবিদ্ধ হন। মাগুরা সদর হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ কন্যাশিশু জন্ম দেন। এখন মা ও শিশু এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই ঘটনায় বোমা ও গুলির আঘাতে আহত নাজমার চাচা শ্বশুর মমিন ভূঁইয়া (৬৫) মারা যান।
এদিকে ওই ঘটনায় গত ২৬ জুলাই নিহত মমিন ভূঁইয়ার ছেলে রুবেল ভূঁইয়া জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সেন সুমনকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মী ও সমর্থক। এ পর্যন্ত মামলার নয়জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যতম আসামি আজিব্বর শেখ ও মুহম্মদ আলীসহ সাত আসামি পলাতক রয়েছেন।
পোস্টারটির বামপাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ডানপাশে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখরের হাস্যোজ্জ্বল ছবি শোভা পাচ্ছে। পোস্টারে বড় করে আজিবর শেখের ছবি দেওয়া হয়েছে। পোস্টারটিতে ওই ঘটনায় জড়িতদের সম্পর্কে একটি বক্তব্য দেওয়ার হয়েছে। শহরের মানুষের মধ্যে পোস্টারটি নিয়ে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, শহরজুড়ে এমন পোস্টার লাগানোর পর অন্য পক্ষ সেই পোস্টারগুলো তুলে ছিঁড়ে ফেলছে বলে শোনা যাচ্ছে।
মেহেদী হাসান আজিবর প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সী শুক্রবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজিবরের পক্ষে শহরে পোস্টার লাগানোর কথা শুনেছি। তবে আমি দেখিনি।’
ওই ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সেন সুমনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গত মঙ্গলবার তাঁকে রিমান্ডে নেয়। এর আগে গত রোববার আদালত তাঁর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক প্রথম আলোকে বলেন, সেন সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এর আগে সোবহান ও সুমন নামের দুই আসামিকে এক দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
গত ২৩ জুলাই মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় কারিগরপাড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলির সময় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাজমা খাতুন তলপেটে গুলিবিদ্ধ হন। মাগুরা সদর হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ কন্যাশিশু জন্ম দেন। এখন মা ও শিশু এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই ঘটনায় বোমা ও গুলির আঘাতে আহত নাজমার চাচা শ্বশুর মমিন ভূঁইয়া (৬৫) মারা যান।
এদিকে ওই ঘটনায় গত ২৬ জুলাই নিহত মমিন ভূঁইয়ার ছেলে রুবেল ভূঁইয়া জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সেন সুমনকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মী ও সমর্থক। এ পর্যন্ত মামলার নয়জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যতম আসামি আজিব্বর শেখ ও মুহম্মদ আলীসহ সাত আসামি পলাতক রয়েছেন।
No comments