মিসরে 'অভ্যুত্থানচেষ্টা' : ২৬ অফিসারের কারাদণ্ড
মিসরের
সামরিক আদালত বলেছে, সিসি সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করার দায়ে দেশটির
সশস্ত্র বাহিনীর ২৬ জন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার ও তাদের বিচার করার পর
কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এই ২৬ জনের কেউ কেউ ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা এবং তাদের দু'জন ছিলেন ইখওয়ান বা ব্রাদারহুডের নেতা।
এই প্রথমবারের মত মিশরের সামরিক আদালত আসসিসি সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে ঘোষণা দিল।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা 'সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছিল' এবং তারা গোপন সামরিক তথ্য ফাঁস করে ও ইখওয়ানুল মুসলিমিন দলে যোগ দিয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে কারাদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হয়নি এবং এখনো এই রায় চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ রয়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে একজন হলেন মিসরের সামরিক পরিষদের সদস্য ও সশস্ত্র বাহিনীর অভিযান-বিষয়ক কমিটির প্রধান তাওহিদ তাওফিকের ভাই। তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সিসি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের খবর দেরিতে প্রচারিত হওয়ায় দেশটিতে সংবাদ প্রচারের ওপর কঠোর সেন্সরশীপ বজায় রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
দৈনিক 'আলআরাবি আজজাদিদ' ও 'মেসর আলআন'-টেলিভিশন জানিয়েছে, অভিযুক্ত এই সেনা কর্মকর্তাদের বিচার করা হয়েছে কোনো শুনানি ছাড়াই এবং বিচারকদের অনুপস্থিতিতে।
এ ছাড়াও মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখার অন্যতম নেতা হিলমি আলজাজায়ির ও দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তরের সদস্য মুহাম্মাদ আবদুর রহমানকে তাদের অনুপস্থিতিতেই ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এদিকে মিসরের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আসসিসি গত রোববার কথিত সন্ত্রাস-বিরোধী নতুন আইনে স্বাক্ষর করেছেন। বিতর্কিত এই আইন অনুযায়ী যারা সন্ত্রাসী অভিযানের পরিকল্পনা ও পরিচালনার সঙ্গে জড়িত থাকবে ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থ যোগাবে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে। এ আইন অনুযায়ী পুলিশ সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে বিচার বিভাগের অনুমতি ছাড়াই তদন্ত চালাতে পারবে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত আটক রাখতে পারবে। জঙ্গি গ্রুপগুলোর সন্দেহভাজন সদস্যদের বিচার সাধারণ প্রশাসনিক রীতির বাইরে ও খুব দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। সন্ত্রাস বিরোধী মিসরের নতুন এ আইনে ১২ ধরনের অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়াও নতুন এ আইন অনুযায়ী কেউ জঙ্গি বা চরমপন্থিদের ওপর হামলা বা অভিযান সম্পর্কে কোনো মিথ্যা খবর প্রচার করলে তাকে বিপুল অংকের অর্থ জরিমানা করা হবে। মিশর সরকার প্রথমে এ ধরনের অপরাধের জন্য কমপক্ষে দুই বছর কারাদণ্ড দেয়ার আইন প্রণয়ন করতে চেয়েছিল।কিন্তু সাংবাদিকদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে তা বাতিল করতে বাধ্য হয়।
সমালোচকরা বলছেন এ আইনের ফলে ছোট ছোট প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যাবে ও অন্যান্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও বিলুপ্ত হবে।
সূত্র : রেডিও তেহরান।
এই ২৬ জনের কেউ কেউ ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা এবং তাদের দু'জন ছিলেন ইখওয়ান বা ব্রাদারহুডের নেতা।
এই প্রথমবারের মত মিশরের সামরিক আদালত আসসিসি সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে ঘোষণা দিল।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা 'সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছিল' এবং তারা গোপন সামরিক তথ্য ফাঁস করে ও ইখওয়ানুল মুসলিমিন দলে যোগ দিয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে কারাদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হয়নি এবং এখনো এই রায় চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ রয়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে একজন হলেন মিসরের সামরিক পরিষদের সদস্য ও সশস্ত্র বাহিনীর অভিযান-বিষয়ক কমিটির প্রধান তাওহিদ তাওফিকের ভাই। তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সিসি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের খবর দেরিতে প্রচারিত হওয়ায় দেশটিতে সংবাদ প্রচারের ওপর কঠোর সেন্সরশীপ বজায় রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
দৈনিক 'আলআরাবি আজজাদিদ' ও 'মেসর আলআন'-টেলিভিশন জানিয়েছে, অভিযুক্ত এই সেনা কর্মকর্তাদের বিচার করা হয়েছে কোনো শুনানি ছাড়াই এবং বিচারকদের অনুপস্থিতিতে।
এ ছাড়াও মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখার অন্যতম নেতা হিলমি আলজাজায়ির ও দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তরের সদস্য মুহাম্মাদ আবদুর রহমানকে তাদের অনুপস্থিতিতেই ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এদিকে মিসরের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আসসিসি গত রোববার কথিত সন্ত্রাস-বিরোধী নতুন আইনে স্বাক্ষর করেছেন। বিতর্কিত এই আইন অনুযায়ী যারা সন্ত্রাসী অভিযানের পরিকল্পনা ও পরিচালনার সঙ্গে জড়িত থাকবে ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থ যোগাবে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে। এ আইন অনুযায়ী পুলিশ সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে বিচার বিভাগের অনুমতি ছাড়াই তদন্ত চালাতে পারবে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত আটক রাখতে পারবে। জঙ্গি গ্রুপগুলোর সন্দেহভাজন সদস্যদের বিচার সাধারণ প্রশাসনিক রীতির বাইরে ও খুব দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। সন্ত্রাস বিরোধী মিসরের নতুন এ আইনে ১২ ধরনের অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়াও নতুন এ আইন অনুযায়ী কেউ জঙ্গি বা চরমপন্থিদের ওপর হামলা বা অভিযান সম্পর্কে কোনো মিথ্যা খবর প্রচার করলে তাকে বিপুল অংকের অর্থ জরিমানা করা হবে। মিশর সরকার প্রথমে এ ধরনের অপরাধের জন্য কমপক্ষে দুই বছর কারাদণ্ড দেয়ার আইন প্রণয়ন করতে চেয়েছিল।কিন্তু সাংবাদিকদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে তা বাতিল করতে বাধ্য হয়।
সমালোচকরা বলছেন এ আইনের ফলে ছোট ছোট প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যাবে ও অন্যান্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও বিলুপ্ত হবে।
সূত্র : রেডিও তেহরান।
No comments