‘আমার চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ’ -সাংবাদিক প্রবীর সিকদার
একাত্তরের
শহীদ পরিবারের সন্তান সাংবাদিক প্রবীর সিকদার আদালতে বলেছেন, ‘কোতোয়ালি
থানায় পুলিশ আমার চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। অপ্রয়োজনীয় কিছু বিষয়ে অযথা
প্রশ্ন করে মানসিক নির্যাতন করেছে।’ মঙ্গলবার ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলি
আদালতে পুলিশ ও বাদীপক্ষের আইনজীবীদের রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করতে গিয়ে
তিনি এসব কথা বলেন। তবে প্রবীর সিকদারের বিরোধিতা আমলে না নিয়ে বিচারক তাঁর
তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আজ বেলা ১১টা ২৬ মিনিটে প্রবীর সিকদারকে প্রিজন ভ্যানে করে ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয়। আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে প্রথমে তাঁর রিমান্ডের যৌক্তিকতা তুলে ধরে পুলিশের বক্তব্য উপস্থাপন করেন জিআরও সুবীর দে। তাঁর বক্তব্য উপস্থাপনের পর প্রবীর সিকদারের রিমান্ডের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন বাদী স্বপন পালের পক্ষের আইনজীবী জাহিদ ব্যাপারী, অনিমেষ রায়, বদিউজ্জামান বাবুল, গোলাম রব্বানী বাবু মৃধা ও শফিউজ্জামান উজ্জ্বল। তাঁরা বলেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রবীর সিকদার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ দেশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। এ ঘটনার পেছনে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়িত, তা খুঁজে বের করতে এ রিমান্ড প্রয়োজন।
সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের পক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ নান্নু ও মাসুদ রানা এই যুক্তির বিরোধিতা করে বলেন, প্রবীর সিকদার ফেসবুকে যে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তা প্রকাশিত। এই মামলায় তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকে বা অজ্ঞাতনামা কাউকে আসামি করা হয়নি। তাই এই রিমান্ডের কোনো যুক্তি নেই। তাঁরা প্রবীর সিকদারের জামিন দাবি করেন।
একপর্যায়ে কাঠগড়ায় উপস্থিত প্রবীর সিকদার হাত তুলে কিছু বলার জন্য অনুমতি চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। তখন তিনি বলেন, ‘আমাকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আগে, কিন্তু ফরিদপুরে মামলা হয়েছে পরে।’ তিনি বলেন, তিনি শেরেবাংলা নগর থানায় হুমকির ব্যাপারে জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু থানা তা গ্রহণ করেনি।
প্রবীর সিকদার বলেন, ‘থানায় আমার সাথে কারও দেখা করতে দেওয়া হয়নি।’ নিজে পঙ্গু এবং হৃদ্রোগী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ফরিদপুরে আনার পর চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। রিমান্ডে দিলে তাঁর প্রতি পুলিশি নির্যাতন বাড়বে-এই আশঙ্কা থেকে তিনি বিচারকের কাছে অনুরোধ করেন, তাঁকে যেন কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু এই অনুরোধ নাকচ করে তাঁর তিন দিনের পুলিশি রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারিক হাকিম মো. হামিদুল ইসলাম। আদালত মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আগামী ২২ সেপ্টেম্বর। দুপুর ১২টা ২ মিনিটের দিকে প্রবীর সিকদারকে আদালত কক্ষ থেকে বের করে প্রিজন ভ্যানে তুলে সরাসরি ফরিদপুর জেলহাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রবীর সিকদারের আইনজীবী আলী আশরাফ নান্নু বলেন, ‘এই অভিযোগে রিমান্ডের প্রয়োজন ছিল না। কেননা, এটি একটি কমপ্লিট এজাহার। এই মামলার একমাত্র আসামি প্রবীর সিকদার।’
সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে গত রোববার ঢাকায় আটক করা হয়। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় তাঁর নামে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা হয়। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় গ্রেপ্তার করে সোমবার ভোরে তাঁকে ফরিদপুরে নিয়ে আসা হয়। সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাঁকে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
আজ বেলা ১১টা ২৬ মিনিটে প্রবীর সিকদারকে প্রিজন ভ্যানে করে ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয়। আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে প্রথমে তাঁর রিমান্ডের যৌক্তিকতা তুলে ধরে পুলিশের বক্তব্য উপস্থাপন করেন জিআরও সুবীর দে। তাঁর বক্তব্য উপস্থাপনের পর প্রবীর সিকদারের রিমান্ডের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন বাদী স্বপন পালের পক্ষের আইনজীবী জাহিদ ব্যাপারী, অনিমেষ রায়, বদিউজ্জামান বাবুল, গোলাম রব্বানী বাবু মৃধা ও শফিউজ্জামান উজ্জ্বল। তাঁরা বলেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রবীর সিকদার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ দেশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। এ ঘটনার পেছনে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়িত, তা খুঁজে বের করতে এ রিমান্ড প্রয়োজন।
সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের পক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ নান্নু ও মাসুদ রানা এই যুক্তির বিরোধিতা করে বলেন, প্রবীর সিকদার ফেসবুকে যে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তা প্রকাশিত। এই মামলায় তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকে বা অজ্ঞাতনামা কাউকে আসামি করা হয়নি। তাই এই রিমান্ডের কোনো যুক্তি নেই। তাঁরা প্রবীর সিকদারের জামিন দাবি করেন।
একপর্যায়ে কাঠগড়ায় উপস্থিত প্রবীর সিকদার হাত তুলে কিছু বলার জন্য অনুমতি চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। তখন তিনি বলেন, ‘আমাকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আগে, কিন্তু ফরিদপুরে মামলা হয়েছে পরে।’ তিনি বলেন, তিনি শেরেবাংলা নগর থানায় হুমকির ব্যাপারে জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু থানা তা গ্রহণ করেনি।
প্রবীর সিকদার বলেন, ‘থানায় আমার সাথে কারও দেখা করতে দেওয়া হয়নি।’ নিজে পঙ্গু এবং হৃদ্রোগী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ফরিদপুরে আনার পর চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। রিমান্ডে দিলে তাঁর প্রতি পুলিশি নির্যাতন বাড়বে-এই আশঙ্কা থেকে তিনি বিচারকের কাছে অনুরোধ করেন, তাঁকে যেন কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু এই অনুরোধ নাকচ করে তাঁর তিন দিনের পুলিশি রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারিক হাকিম মো. হামিদুল ইসলাম। আদালত মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আগামী ২২ সেপ্টেম্বর। দুপুর ১২টা ২ মিনিটের দিকে প্রবীর সিকদারকে আদালত কক্ষ থেকে বের করে প্রিজন ভ্যানে তুলে সরাসরি ফরিদপুর জেলহাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রবীর সিকদারের আইনজীবী আলী আশরাফ নান্নু বলেন, ‘এই অভিযোগে রিমান্ডের প্রয়োজন ছিল না। কেননা, এটি একটি কমপ্লিট এজাহার। এই মামলার একমাত্র আসামি প্রবীর সিকদার।’
সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে গত রোববার ঢাকায় আটক করা হয়। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় তাঁর নামে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা হয়। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় গ্রেপ্তার করে সোমবার ভোরে তাঁকে ফরিদপুরে নিয়ে আসা হয়। সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাঁকে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
No comments