সংবাদভাষ্য : আদালতে দুই সাংবাদিক
প্রায় একই সময়ে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ালেন দুজন আলোচিত সাংবাদিক। এরা হলেন- সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন জাতীয় প্রেসকাব্লের দুবারের নির্বাচিত সভাপতি শওকত মাহমুদ এবং অন্যজন একটি অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক প্রবীর শিকদার, যিনি মূলত সন্ত্রাসী হামলায় পা হারানোর কারণেই বেশি পরিচিত।
এর মধ্যে রবিবার গ্রেপ্তার করা হয় প্রবীর সিকদারকে। থানায় নিরাপত্তাহীনতার জিডি করতে ব্যর্থ হয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় এবং সম্ভবত বাংলাদেশের শীর্ষ ধনী মুসা বিন শমসের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিতর্কিত তথ্য প্রযুক্তি আইনে গ্রেপ্তার হন।অন্যদিকে বর্তমানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের বিএনপি-জামায়াত ঘেঁষা অংশের সভাপতি শওকত মাহমুদকে আটক করা হয় মঙ্গলবার সকালে।
এরপর চলতি বছরের শুরুর দিকে বিরোধী জোটের রাজনৈতিক কর্মসূচি চলাকালে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই আন্দোলনের সময় নাশকতার জন্য সরকার ও বিএনপি একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে। গ্রেপ্তারের পর প্রবীর সিকদারকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থক এই সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের পর থেকে মন্ত্রীসহ শাসকদলের একাংশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। এরপর রিমান্ড মঞ্জুরের ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যেই নজিরবিহীনভাবে তিনি জামিন পান।
তার এ জামিনকে সবাই সাধুবাদ জানাবে, সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে আদালতে শওকত মাহমুদও কি একই আচরণ পাবেন? আইন কি চলবে তার স্বাভাবিক গতিতে?
আজই ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে তাকে। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
শওকত মাহমুদ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হলেও তিনি সাংবাদিক সমাজের ইস্যুতেই বেশি তৎপর। তাই দেখা যায়, এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের তুখোড় মেধাবী ছাত্র এবং বৈশাখী টিভিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক এই সাংবাদিক নেতা প্রেসক্লাবের সামনে রৌদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন, বক্তৃতা দেন।
অনেকেই আশা করেন প্রবীর সিকদার বিলম্বে হলেও আদালতে যে আচরণ পেয়েছেন শওকত মাহমুদ অন্তত তেমন আচরণই পাবেন।
তবে সমালোচকরা বলছেন, বাংলাদেশের আদালতে সবক্ষেত্রে সমান আচরণ মেলে না। তাই আদালত অবমাননার অভিযোগে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে সুপ্রিম কোর্ট ২০১০ সালে ব্রিটিশ আইনে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল। একই আদালত সম্প্রতি একই ধরনের মামলায় দৈনিক জনকণ্ণ্ঠের সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদকে প্রতীকী সাজা এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে।দৈনিক আমার দেশ আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আর জনকণ্ঠ কট্টর আওয়ামী সমর্থক হিসেবে খ্যাত।মাহমুদুর আর মাসুদের ক্ষেত্রে আদালতের রায়ে পার্থক্য সুষ্পষ্ট। এবার পালা শওকত মাহমুদ ও প্রবীর সিকদারের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর আদালতই এখন কাঠগড়ায়।
এর মধ্যে রবিবার গ্রেপ্তার করা হয় প্রবীর সিকদারকে। থানায় নিরাপত্তাহীনতার জিডি করতে ব্যর্থ হয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় এবং সম্ভবত বাংলাদেশের শীর্ষ ধনী মুসা বিন শমসের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিতর্কিত তথ্য প্রযুক্তি আইনে গ্রেপ্তার হন।অন্যদিকে বর্তমানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের বিএনপি-জামায়াত ঘেঁষা অংশের সভাপতি শওকত মাহমুদকে আটক করা হয় মঙ্গলবার সকালে।
এরপর চলতি বছরের শুরুর দিকে বিরোধী জোটের রাজনৈতিক কর্মসূচি চলাকালে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই আন্দোলনের সময় নাশকতার জন্য সরকার ও বিএনপি একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে। গ্রেপ্তারের পর প্রবীর সিকদারকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থক এই সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের পর থেকে মন্ত্রীসহ শাসকদলের একাংশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। এরপর রিমান্ড মঞ্জুরের ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যেই নজিরবিহীনভাবে তিনি জামিন পান।
তার এ জামিনকে সবাই সাধুবাদ জানাবে, সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে আদালতে শওকত মাহমুদও কি একই আচরণ পাবেন? আইন কি চলবে তার স্বাভাবিক গতিতে?
আজই ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে তাকে। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
শওকত মাহমুদ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হলেও তিনি সাংবাদিক সমাজের ইস্যুতেই বেশি তৎপর। তাই দেখা যায়, এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের তুখোড় মেধাবী ছাত্র এবং বৈশাখী টিভিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক এই সাংবাদিক নেতা প্রেসক্লাবের সামনে রৌদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন, বক্তৃতা দেন।
অনেকেই আশা করেন প্রবীর সিকদার বিলম্বে হলেও আদালতে যে আচরণ পেয়েছেন শওকত মাহমুদ অন্তত তেমন আচরণই পাবেন।
তবে সমালোচকরা বলছেন, বাংলাদেশের আদালতে সবক্ষেত্রে সমান আচরণ মেলে না। তাই আদালত অবমাননার অভিযোগে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে সুপ্রিম কোর্ট ২০১০ সালে ব্রিটিশ আইনে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল। একই আদালত সম্প্রতি একই ধরনের মামলায় দৈনিক জনকণ্ণ্ঠের সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদকে প্রতীকী সাজা এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে।দৈনিক আমার দেশ আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আর জনকণ্ঠ কট্টর আওয়ামী সমর্থক হিসেবে খ্যাত।মাহমুদুর আর মাসুদের ক্ষেত্রে আদালতের রায়ে পার্থক্য সুষ্পষ্ট। এবার পালা শওকত মাহমুদ ও প্রবীর সিকদারের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর আদালতই এখন কাঠগড়ায়।
No comments