ই–ভিসা নিয়ে জটিলতাঃ হজ অফিসকে দায়ী করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ by রোজিনা ইসলাম
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে গত রোববার থেকে। ফ্লাইটের দ্বিতীয় দিন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অভিমুখে হজযাত্রীদের রওনা দেওয়ার ছবিটি হজক্যাম্প থেকে তোলা l প্রথম আলো |
মনোয়ার
হোসেন-ফজিলাতুন্নেসা দম্পতির ফ্লাইট ছিল গতকাল সোমবার সকাল নয়টা পাঁচ
মিনিটে। এ জন্য আগের দিন সন্ধ্যায় আশকোনা হজক্যাম্পে যান তাঁরা। ভোর
পর্যন্ত কিছু জানানো না হলে তাঁরা বিমান অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন,
স্ত্রীর ভিসা হলেও স্বামীর হয়নি। কবে হবে, সেটাও কেউ জানাতে পারেননি।
এরপর এই দম্পতি বাসায় ফিরে যান। এই পরিবারের একজন সদস্য গতকাল ধর্ম মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এ ব্যাপারে খোঁজখবর করেন।
ফজিলাতুন্নেসার সঙ্গে তাঁর কয়েকজন সহকর্মীরও হজে যাওয়ার কথা। তাঁদেরও পাসপোর্টে ভিসা লাগেনি। এদিকে ই-ভিসা বিড়ম্বনার দ্বিতীয় দিনে গতকালও সরকারি ব্যবস্থাপনার প্রায় সাড়ে চার শ হজযাত্রী সকাল নয়টার নির্ধারিত ফ্লাইটে সৌদি আরবে যেতে পারেননি।
সৌদি সরকার এ জন্য দায়ী করছে বাংলাদেশের হজ অফিসকে। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ধর্মসচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়, সৌদি দূতাবাস তাদের জানিয়েছে, হজ ফ্লাইটসূচি অনুযায়ী তারা বাংলাদেশের হজ অফিস থেকে নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট পায়নি। একদম শেষের দিকে তারা এক হাজার পাসপোর্ট পেয়েছে। ফলে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তারা বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার দূতাবাস খোলা রেখেছিল। তা ছাড়া সঠিক মাপের ছবি না দেওয়ায় তারা ৩০০ ভিসা ইস্যু করতে পারেনি। এগুলো পুনরায় জমা দিতে হবে।
তবে ধর্ম মন্ত্রণালয় সৌদি আরবের এ বক্তব্য মানতে নারাজ। গতকাল সন্ধ্যায় ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছে, সৌদি আরবের পররাষ্ট্র ও হজ মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ব্যবস্থা এবং অসংগতির কারণে অনেকের ভিসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এমনকি ওই ৩০০ ভিসার ব্যাপারে কিছু জানায়নি সৌদি দূতাবাস। এভাবে ভিসা না হওয়ার কারণে তারা খুবই শঙ্কিত এবং ফ্লাইট বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পররাষ্ট্রসচিবকে অনুরোধ জানিয়েছেন ধর্মসচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশকোনা হজ অফিসের পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাসপোর্ট সঠিক সময়ে জমা না দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। যখন যা তৈরি হয়েছে, আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি। আসলে এবার প্রথম ই-ভিসা চালু হওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে।’
যাঁদের স্ত্রী বা স্বামী ভিসা পাননি, তাঁরা কীভাবে যাবেন জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, ‘এটাই এবারের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এটা নিয়েই আমরা বড় ধরনের জটিলতায় পড়েছি। প্রতিটি ফ্লাইটে কিছু কিছু করে হজযাত্রীকে আগাম পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।’
ধর্ম মন্ত্রণালয় ও আশকোনা হজ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভিসা না হওয়ার খবরে হজক্যাম্পে হজযাত্রীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
সালামত হজ ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের আবদুল্লাহিল ওয়াহিদ জানান, তাঁর দুটি এজেন্সির ৫২৪ জন হজযাত্রীর একজনেরও গতকাল পর্যন্ত ভিসা হয়নি। তিনি এ জন্য হজ অফিসকে দায়ী করেন। তাঁর মতে, সময়মতো কাগজপত্র ঠিক করে সৌদি দূতাবাসে না পাঠানো এবং ছবির সাইজের সমস্যার কারণে ভিসা হচ্ছে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একজন কর্মকর্তা জানান, তাঁর ও তাঁর মায়ের ভিসা হয়নি। এজেন্টকে ফোন দিলে বলছেন, দোয়া করেন, ভিসা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে।
এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জনের হজ পালনের কথা রয়েছে। এঁদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ২ হাজার ৭০০ জন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৫১ হাজার হজযাত্রী পরিবহন করবে।
হজ অফিসের তথ্যকেন্দ্র থেকে জানা যায়, ১৬ আগস্ট বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইনসের মোট চারটি ফ্লাইটে দেড় হাজার হজযাত্রী জেদ্দায় গেছেন। গতকাল যাত্রা করেছেন ১৩টি ফ্লাইটে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার হজযাত্রী।
এরপর এই দম্পতি বাসায় ফিরে যান। এই পরিবারের একজন সদস্য গতকাল ধর্ম মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এ ব্যাপারে খোঁজখবর করেন।
ফজিলাতুন্নেসার সঙ্গে তাঁর কয়েকজন সহকর্মীরও হজে যাওয়ার কথা। তাঁদেরও পাসপোর্টে ভিসা লাগেনি। এদিকে ই-ভিসা বিড়ম্বনার দ্বিতীয় দিনে গতকালও সরকারি ব্যবস্থাপনার প্রায় সাড়ে চার শ হজযাত্রী সকাল নয়টার নির্ধারিত ফ্লাইটে সৌদি আরবে যেতে পারেননি।
সৌদি সরকার এ জন্য দায়ী করছে বাংলাদেশের হজ অফিসকে। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ধর্মসচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়, সৌদি দূতাবাস তাদের জানিয়েছে, হজ ফ্লাইটসূচি অনুযায়ী তারা বাংলাদেশের হজ অফিস থেকে নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট পায়নি। একদম শেষের দিকে তারা এক হাজার পাসপোর্ট পেয়েছে। ফলে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তারা বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার দূতাবাস খোলা রেখেছিল। তা ছাড়া সঠিক মাপের ছবি না দেওয়ায় তারা ৩০০ ভিসা ইস্যু করতে পারেনি। এগুলো পুনরায় জমা দিতে হবে।
তবে ধর্ম মন্ত্রণালয় সৌদি আরবের এ বক্তব্য মানতে নারাজ। গতকাল সন্ধ্যায় ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছে, সৌদি আরবের পররাষ্ট্র ও হজ মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ব্যবস্থা এবং অসংগতির কারণে অনেকের ভিসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এমনকি ওই ৩০০ ভিসার ব্যাপারে কিছু জানায়নি সৌদি দূতাবাস। এভাবে ভিসা না হওয়ার কারণে তারা খুবই শঙ্কিত এবং ফ্লাইট বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পররাষ্ট্রসচিবকে অনুরোধ জানিয়েছেন ধর্মসচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশকোনা হজ অফিসের পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাসপোর্ট সঠিক সময়ে জমা না দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। যখন যা তৈরি হয়েছে, আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি। আসলে এবার প্রথম ই-ভিসা চালু হওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে।’
যাঁদের স্ত্রী বা স্বামী ভিসা পাননি, তাঁরা কীভাবে যাবেন জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, ‘এটাই এবারের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এটা নিয়েই আমরা বড় ধরনের জটিলতায় পড়েছি। প্রতিটি ফ্লাইটে কিছু কিছু করে হজযাত্রীকে আগাম পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।’
ধর্ম মন্ত্রণালয় ও আশকোনা হজ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভিসা না হওয়ার খবরে হজক্যাম্পে হজযাত্রীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
সালামত হজ ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের আবদুল্লাহিল ওয়াহিদ জানান, তাঁর দুটি এজেন্সির ৫২৪ জন হজযাত্রীর একজনেরও গতকাল পর্যন্ত ভিসা হয়নি। তিনি এ জন্য হজ অফিসকে দায়ী করেন। তাঁর মতে, সময়মতো কাগজপত্র ঠিক করে সৌদি দূতাবাসে না পাঠানো এবং ছবির সাইজের সমস্যার কারণে ভিসা হচ্ছে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একজন কর্মকর্তা জানান, তাঁর ও তাঁর মায়ের ভিসা হয়নি। এজেন্টকে ফোন দিলে বলছেন, দোয়া করেন, ভিসা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে।
এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জনের হজ পালনের কথা রয়েছে। এঁদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ২ হাজার ৭০০ জন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৫১ হাজার হজযাত্রী পরিবহন করবে।
হজ অফিসের তথ্যকেন্দ্র থেকে জানা যায়, ১৬ আগস্ট বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইনসের মোট চারটি ফ্লাইটে দেড় হাজার হজযাত্রী জেদ্দায় গেছেন। গতকাল যাত্রা করেছেন ১৩টি ফ্লাইটে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার হজযাত্রী।
No comments