মুক্তি পেলেন সাংবাদিক প্রবীর সিকদার
ফরিদপুর
জেলা কারাগারে তিন দিন আটক থাকার পর অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন
সাংবাদিক প্রবীর সিকদার। আজ বুধবার দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে তিনি জেলা কারাগার
থেকে মুক্তি পেয়ে বের হয়ে আসেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুরের ১নং
আমলী আদালতের বিচারক হামিুল ইসলাম পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন
আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ফরিদপুরের ১নং আমলী আদালতে সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের জামিন আবেদনের উপর শুনানি হয় আজ। এসময় প্রবীর সিকদারকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। প্রবীর সিকদারের পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু জামিন আবেদন করেন। তার সাথে আরো ছিলেন অ্যাডভোকেট জসিমউদ্দিন মৃধা ও অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা।
অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু প্রবীর সিকদারকে যুদ্ধাহত শহীদ পরিবারের সন্তান হিসেবে উল্লেখ করে আদালতকে বলেন, প্রবীর সিকদারের একটি পা নেই। তিনি একজন পঙ্গু সাংবাদিক। তার গ্রেফতারে দেশের সাংবাদিক সমাজ উদ্বিগ্ন। তাকে জামিন দিলে তিনি পালাবেন না।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী এপিপি অ্যাডভোকেট জাহিদ বেপারীসহ অন্যরা জামিনের বিরোধীতা করেন।
আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মঙ্গলবার দেয়া রিমান্ড আদেশ বাতিল করে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় মামলার তদন্ত চলাকালীন পর্যন্ত প্রবীর সিকদারের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। গত মঙ্গলবার একই আদালত প্রবীর সিকদারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল।
ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে বের হয়ে প্রবীর সিকদার সাংবাদিকদের ‘ভি’ চিহ্ন দেখান। এসময় তিনি তার খবর পরিবেশন ও মুক্তির জন্য যারা সহায়তা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রবীর সিকদার বলেন, সরকারের ভেতরেও অনেকে আমার মুক্তির জন্য চেষ্টা করেছেন। তাদের প্রতি আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
প্রবীর সিকদারের জামিনের খবর পেয়ে তার স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের সদস্যগণসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকগণ, জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারি অলোক সেন, দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ কমিটির জেলা সেক্রেটারি ভবতোষ বোস, জেলা যুবদলের সেক্রেটারি একেএম কিবরিয়া স্বপন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ তাবরীজ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে প্রবীর সিকদার তার পৈত্রিক বাড়ি কানাইপুরে যান। সেখান থেকে তার ঢাকায় যাওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর ইন্দিরা রোডের কার্যালয় থেকে প্রবীর সিকদারকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এরপর ভোররাত ৫টার দিকে তাকে ফরিদপুরের কোতয়ালি থানায় নেয়া হয়। রোববার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ফেসবুকে এলজিআরডি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেয়ায় সংক্ষুব্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন এপিপি অ্যাডভোকেট স্বপন পাল।
আদালত সূত্র জানায়, ফরিদপুরের ১নং আমলী আদালতে সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের জামিন আবেদনের উপর শুনানি হয় আজ। এসময় প্রবীর সিকদারকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। প্রবীর সিকদারের পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু জামিন আবেদন করেন। তার সাথে আরো ছিলেন অ্যাডভোকেট জসিমউদ্দিন মৃধা ও অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা।
অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু প্রবীর সিকদারকে যুদ্ধাহত শহীদ পরিবারের সন্তান হিসেবে উল্লেখ করে আদালতকে বলেন, প্রবীর সিকদারের একটি পা নেই। তিনি একজন পঙ্গু সাংবাদিক। তার গ্রেফতারে দেশের সাংবাদিক সমাজ উদ্বিগ্ন। তাকে জামিন দিলে তিনি পালাবেন না।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী এপিপি অ্যাডভোকেট জাহিদ বেপারীসহ অন্যরা জামিনের বিরোধীতা করেন।
আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মঙ্গলবার দেয়া রিমান্ড আদেশ বাতিল করে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় মামলার তদন্ত চলাকালীন পর্যন্ত প্রবীর সিকদারের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। গত মঙ্গলবার একই আদালত প্রবীর সিকদারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল।
ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে বের হয়ে প্রবীর সিকদার সাংবাদিকদের ‘ভি’ চিহ্ন দেখান। এসময় তিনি তার খবর পরিবেশন ও মুক্তির জন্য যারা সহায়তা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রবীর সিকদার বলেন, সরকারের ভেতরেও অনেকে আমার মুক্তির জন্য চেষ্টা করেছেন। তাদের প্রতি আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
প্রবীর সিকদারের জামিনের খবর পেয়ে তার স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের সদস্যগণসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকগণ, জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারি অলোক সেন, দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ কমিটির জেলা সেক্রেটারি ভবতোষ বোস, জেলা যুবদলের সেক্রেটারি একেএম কিবরিয়া স্বপন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ তাবরীজ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে প্রবীর সিকদার তার পৈত্রিক বাড়ি কানাইপুরে যান। সেখান থেকে তার ঢাকায় যাওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর ইন্দিরা রোডের কার্যালয় থেকে প্রবীর সিকদারকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এরপর ভোররাত ৫টার দিকে তাকে ফরিদপুরের কোতয়ালি থানায় নেয়া হয়। রোববার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ফেসবুকে এলজিআরডি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেয়ায় সংক্ষুব্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন এপিপি অ্যাডভোকেট স্বপন পাল।
No comments