নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩, শনিবার হরতাল বগুড়ায় by টিএম মামুন
অবশেষে শনিবার বগুড়ায় হরতাল পালনের কথা
জানালেন শহর শিবিরের সভাপতি আলাউদ্দিন সোহেল। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া আটটায়
বাংলানিউজকে তিনি বলেন,
“আমরা শনিবার বগুড়ায় হরতাল পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সারাদেশে হরতাল দেওয়া হবে কি না সে সিদ্ধান্ত রাতে নেবে কেন্দ্র।”
আব্দুল্লাহ
(১৮) নামে শিবিরের এক সাথীর মৃত্যুর খবর দিয়ে তিনি বলেন, আজিজুল হক কলেজে
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শিবিরের ১২ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বৃহস্পতিবার
আমাদের তিন জন নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বগুড়ায়।”
অপরদিকে কলেজ এলাকায় শিবিরের বিরুদ্ধে ৠাব-পুলিশ যৌথভাবে আনুমানিক ৩৭ রাউন্ড এসএমজি ও ২ রাউন্ড শটগানের গুলি এবং ১৭ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছেন ৠাব-১২ এর বগুড়া কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাকিব সিদ্দিকী।
তিনি আরো জানান, জয়পুরহাট থেকে রওয়ানা হওয়া বিজিবি ইউনিট বগুড়া সদরের এরুলিয়ায় শিবিরের বাধার মুখে পড়ে। বাধা পেরিয়ে তারা শহরে আসছে।
মেজর সাকিব বলেন, “বিজিবি অনেক সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী বাহিনী। তাদের দিয়ে যুদ্ধও করা যায়। তাই তাদের আনা হচ্ছে।”
এর আগে সন্ধ্যা সাতটার দিকে গোলাগুলি থামে বগুড়া শহরে। আজিজুল হক কলেজ এলাকায় দেড় ঘণ্টা পর গোলাগুলি থেমেছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি (তদন্ত) রিয়াজউদ্দিন। এদিকে সন্ধ্যা সাতটার পর থানা রোড এলাকায় হাজারো পুলিশের সামনে জেলা সেক্রেটারি মাফরাফি হিরোর নেতৃত্বে মিছিল করেছে ছাত্রলীগ।
এর আগে মাত্র এক ঘণ্টার তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় সাতমাথা। আজিজুল হক কলেজ এলাকায় পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর তা সারা শহরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্তি পুলিশ, আর্মড পুলিশ চেয়ে পাঠানো হয় জয়পুরহাট, নওগাঁ ও রাজশাহী থেকে। বগুড়ার সব থানা থেকেও পুলিশ আনা শুরু হয় শহরে। সিরাজগঞ্জ থেকে আসতে বলা হয় ৠাব-১২এর সদর দফতরের ইউনিটকে।
বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক (পিপিএম) বাংলানিউজকে আশপাশের জেলাগুলো থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আনার উদ্যোগের খবর নিশ্চিত করেন।
সন্ধ্যা ছ’টায় সাতমাথায় মোতায়েন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ও ৠাবের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায় বলে বাংলানিউজকে জানান বগুড়া সদর সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মকবুল হোসেন।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, “এরপর নাশকতা করতে এলে কাউকে ছাড়া দেওয়া হবে না। গুলি করা হবে।”
এ সময় অ্যাকশনে থানা ৠাব-১২ এর বগুড়া কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাকিব সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, “ৠাব গুলি করছে। কথা বলার সময় কম। আপনারা (সাংবাদিকরা) সাবধানে থাকবেন। পরিস্থিতি ভালো নয়। আরো খারাপ হচ্ছে।”
এ পরিস্থিতিতে আগামী শনি বা রোববার বগুড়ায়, এমনকি প্রয়োজনে দেশব্যাপী হরতাল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত। কেন্দ্র থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা জামায়াত সূত্র।
বৃহস্পতিবারের হরতালে ছাত্রলীগের হামলায় জামায়াত-শিবিরের দুই নেতার মৃত্যুর অভিযোগে জামায়াত-শিবির বিকেল সোয়া চারটার দিকে মিছিল শুরু করলে এ তাণ্ডব শুরু হয়। সাতমাথার দক্ষিণে গোয়াইল রোড মসজিদ এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে সাতমাথার দিকে আসতে শুরু করলে বাধা দেয় পুলিশ। এর ফলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ। আশপাশের এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।
সাতমাথার দক্ষিণে আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ, ইয়াকুব স্কুল মোড়, পশ্চিমে স্টেশন রোড, সেউজ গাড়ি, পূর্বে সার্কিট হাউস মোড ও উত্তরে সদর থানা এলাকা পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। জামায়াত-শিবির কর্মীদের ইট-পাটকেলের জবাবে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়তে শুরু করে পুলিশ।
সিনিয়র এএসপি মকবুল হোসেন জানান, এ সময় পাঁচ শতাধিক টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোঁড়ে পুলিশ।
অপরদিকে পুলিশের রাবার বুলেট ও টিয়ার শেলে অর্ধশত নেতকর্মী আহত হয় বলে দাবি করেন জেলা জামায়াত নেতা মাজেদুর রহমান জুয়েল। এ সময় সেউজ গাড়িতে ‘জুয়েল হাউস’ নামে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের একটি মেস বাড়িতে আগুন দেয় তারা।
ওদিকে আজিজুল হক কলেজের নতুন ভবন এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক গোলাগুলি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে দুপুর পৌনে একটার দিকে বগুড়া সদর উপজেলার সাবগ্রামে জামায়াত কর্মী মিজান (৩২) ও ফুলবাড়িতে আজিজুল হক কলেজ পুরাতন ভবন শাখা শিবির সভাপতি লোহানী ওরফে রুহানীর (২০) মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
উভয় স্থানে জামায়াত ও শিবির কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালালে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে আরো অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে বলেও দাবি করেছে শিবির-জামায়াত।
আহতদের মধ্যে কাদের (২০) ও সাব্বির (২০) এর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শহর শিবিরের প্রচার ও আন্দোলন সম্পাদক মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, “ছাত্রলীগ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা ছোট ছোট সশস্ত্র দলে ভাগ হয়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের মারছে।”
তবে এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ।
বগুড়া সদর থানার ওসি সৈয়দ শহীদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, “দৃষ্কৃতকারীদের হামলায় দু’জন মারা গেছেন।”
এদিকে এ ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে বগুড়া। শহর জুড়ে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে শিবিরের। জনমনে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
অপরদিকে কলেজ এলাকায় শিবিরের বিরুদ্ধে ৠাব-পুলিশ যৌথভাবে আনুমানিক ৩৭ রাউন্ড এসএমজি ও ২ রাউন্ড শটগানের গুলি এবং ১৭ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছেন ৠাব-১২ এর বগুড়া কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাকিব সিদ্দিকী।
তিনি আরো জানান, জয়পুরহাট থেকে রওয়ানা হওয়া বিজিবি ইউনিট বগুড়া সদরের এরুলিয়ায় শিবিরের বাধার মুখে পড়ে। বাধা পেরিয়ে তারা শহরে আসছে।
মেজর সাকিব বলেন, “বিজিবি অনেক সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী বাহিনী। তাদের দিয়ে যুদ্ধও করা যায়। তাই তাদের আনা হচ্ছে।”
এর আগে সন্ধ্যা সাতটার দিকে গোলাগুলি থামে বগুড়া শহরে। আজিজুল হক কলেজ এলাকায় দেড় ঘণ্টা পর গোলাগুলি থেমেছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি (তদন্ত) রিয়াজউদ্দিন। এদিকে সন্ধ্যা সাতটার পর থানা রোড এলাকায় হাজারো পুলিশের সামনে জেলা সেক্রেটারি মাফরাফি হিরোর নেতৃত্বে মিছিল করেছে ছাত্রলীগ।
এর আগে মাত্র এক ঘণ্টার তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় সাতমাথা। আজিজুল হক কলেজ এলাকায় পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর তা সারা শহরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্তি পুলিশ, আর্মড পুলিশ চেয়ে পাঠানো হয় জয়পুরহাট, নওগাঁ ও রাজশাহী থেকে। বগুড়ার সব থানা থেকেও পুলিশ আনা শুরু হয় শহরে। সিরাজগঞ্জ থেকে আসতে বলা হয় ৠাব-১২এর সদর দফতরের ইউনিটকে।
বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক (পিপিএম) বাংলানিউজকে আশপাশের জেলাগুলো থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আনার উদ্যোগের খবর নিশ্চিত করেন।
সন্ধ্যা ছ’টায় সাতমাথায় মোতায়েন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ও ৠাবের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায় বলে বাংলানিউজকে জানান বগুড়া সদর সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মকবুল হোসেন।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, “এরপর নাশকতা করতে এলে কাউকে ছাড়া দেওয়া হবে না। গুলি করা হবে।”
এ সময় অ্যাকশনে থানা ৠাব-১২ এর বগুড়া কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাকিব সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, “ৠাব গুলি করছে। কথা বলার সময় কম। আপনারা (সাংবাদিকরা) সাবধানে থাকবেন। পরিস্থিতি ভালো নয়। আরো খারাপ হচ্ছে।”
এ পরিস্থিতিতে আগামী শনি বা রোববার বগুড়ায়, এমনকি প্রয়োজনে দেশব্যাপী হরতাল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত। কেন্দ্র থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা জামায়াত সূত্র।
বৃহস্পতিবারের হরতালে ছাত্রলীগের হামলায় জামায়াত-শিবিরের দুই নেতার মৃত্যুর অভিযোগে জামায়াত-শিবির বিকেল সোয়া চারটার দিকে মিছিল শুরু করলে এ তাণ্ডব শুরু হয়। সাতমাথার দক্ষিণে গোয়াইল রোড মসজিদ এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে সাতমাথার দিকে আসতে শুরু করলে বাধা দেয় পুলিশ। এর ফলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ। আশপাশের এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।
সাতমাথার দক্ষিণে আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ, ইয়াকুব স্কুল মোড়, পশ্চিমে স্টেশন রোড, সেউজ গাড়ি, পূর্বে সার্কিট হাউস মোড ও উত্তরে সদর থানা এলাকা পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। জামায়াত-শিবির কর্মীদের ইট-পাটকেলের জবাবে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়তে শুরু করে পুলিশ।
সিনিয়র এএসপি মকবুল হোসেন জানান, এ সময় পাঁচ শতাধিক টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোঁড়ে পুলিশ।
অপরদিকে পুলিশের রাবার বুলেট ও টিয়ার শেলে অর্ধশত নেতকর্মী আহত হয় বলে দাবি করেন জেলা জামায়াত নেতা মাজেদুর রহমান জুয়েল। এ সময় সেউজ গাড়িতে ‘জুয়েল হাউস’ নামে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের একটি মেস বাড়িতে আগুন দেয় তারা।
ওদিকে আজিজুল হক কলেজের নতুন ভবন এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক গোলাগুলি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে দুপুর পৌনে একটার দিকে বগুড়া সদর উপজেলার সাবগ্রামে জামায়াত কর্মী মিজান (৩২) ও ফুলবাড়িতে আজিজুল হক কলেজ পুরাতন ভবন শাখা শিবির সভাপতি লোহানী ওরফে রুহানীর (২০) মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
উভয় স্থানে জামায়াত ও শিবির কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালালে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে আরো অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে বলেও দাবি করেছে শিবির-জামায়াত।
আহতদের মধ্যে কাদের (২০) ও সাব্বির (২০) এর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শহর শিবিরের প্রচার ও আন্দোলন সম্পাদক মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, “ছাত্রলীগ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা ছোট ছোট সশস্ত্র দলে ভাগ হয়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের মারছে।”
তবে এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ।
বগুড়া সদর থানার ওসি সৈয়দ শহীদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, “দৃষ্কৃতকারীদের হামলায় দু’জন মারা গেছেন।”
এদিকে এ ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে বগুড়া। শহর জুড়ে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে শিবিরের। জনমনে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
No comments