সাক্ষীকে জেরা করলেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী
সাক্ষীকে জেরা করলেন আসামি সালাহউদ্দিন
কাদের চৌধুরী নিজে। গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিশিষ্ট
পার্লামেন্টারিয়ান ও বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী একজন মহিলা
সাক্ষীকে জেরা করেছেন।
ট্রাইব্যুনালে আসামি কর্তৃক
সাক্ষীকে জেরা করার ঘটনা এটিই প্রথম। তবে এই জেরা হয়েছে ক্যামেরা
ট্রায়ালে, অর্থাৎ রুদ্ধদ্বার কক্ষে মহিলা সাক্ষীটির জবানবন্দী গ্রহণ ও
জেরা হয়েছে। ক্যামেরা ট্রায়ালের নিয়ম অনুযায়ী কোনো সাংবাদিক সেখানে
ছিলেন না।
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী তাকে চলতি সংসদ অধিবেশনে যোগ দেয়ার সুযোগ দেয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছিলেন। বুধবার সে আবেদন খারিজ করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ট্রাইব্যুনালকে লিখিতভাবে জানান, সংসদ অধিবেশন চলাকালে তিনি তার মামলার কার্যক্রমে অংশ নেবেন না। সংসদ অধিবেশন শেষে পরবর্তী সাত দিন পর্যন্ত তিনি তার আইনজীবীদের নিয়োগও বাতিল করেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে একজন রাষ্ট্রীয় আইনজীবী নিয়োগ দেন। সালমা হাই নামে নতুন নিয়োগ পাওয়া এ রাষ্ট্রীয় আইনজীবী গতকাল দুপুরের পর আসেন ট্রাইব্যুনালে।
এর আগে বুধবার সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৭তম মহিলা সাক্ষীর ক্যামেরা ট্রায়াল শুরু হয়। রুদ্ধদ্বার কক্ষে বুধবার তার জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর দেয়া আইনজীবীদের নিয়োগ বাতিল আবেদন মঞ্জুর করে ওই দিন ট্রাইব্যুনাল বলেন, আসামির পক্ষে নতুন আইনজীবী নিয়োগ দেয়ার পর বৃহস্পতিবার মহিলা সাক্ষীর জেরা শুরু হবে। তবে গতকাল সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ট্রাইব্যুনালকে লিখিত আকারে জানান, তিনি নিজে সাক্ষীকে জেরা করতে চান। গতকাল বেলা আড়াইটার পর কোর্ট বসলে ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে উদ্দেশ করে তার পক্ষে নতুন আইনজীবী নিয়োগের বিষয়ে অবহিত করেন এবং সাক্ষীকে জেরা শুরু করার জন্য আইনজীবীকে নির্দেশ দেন। তখন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, আইনের সেকশন ১৭ (২) অনুযায়ী আমি নিজে আমার মামলা পরিচালনা করব। আমি নিজেকে নিজে ডিফেন্ড করব। আইনে সে অধিকার আমাকে দেয়া হয়েছে।
তখন বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির বলেন, আসামির আইনজীবী না থাকলে ট্রাইব্যুনাল তার পক্ষে একজন রাষ্ট্রীয় আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে থাকে এবং আমরা তা দিয়েছি। আপনি তার সাহায্য নিতে পারেন।
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, খুব ভালো; আপনাদের কাজ আপনারা করেছেন। কিন্তু যত দিন আমি আমার আইনজীবী নিয়োগ না দেই তত দিন আমার মামলা আমি নিজে লড়তে চাই।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেয়াদ আল মালুম আসামি কর্তৃক নিজের মামলা লড়ার বিরোধিতা করেন। তবে ট্রাইব্যুনাল সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আবেদন মঞ্জুর করেন এবং তাকেই সাক্ষীকে জেরা করার অনুমতি দেন। দুপুরের পর কোর্ট শুরু হলে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, তার কোনো আত্মীয়স্বজনকে আসতে দেয়া হচ্ছে না কোর্টে। তাকে দুপুরে কোনো খাবার দেয়া হয়নি, এক গ্লাস পানিও দেয়া হয়নি।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির বলেন, আপনার অভিযোগ সত্য নয়। প্রতিদিন আপনার আত্মীয়স্বজন খাবার নিয়ে আসেন এবং আপনাকে তারা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। আমরা সে অনুমতি তাদের দেই। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, আজ কী হয়েছে একটু পরখ করে দেখবেন; তাহলে বুঝতে পারবেন আমার কথা এক বর্ণও মিথ্যা নয়।
ক্যামেরা ট্রায়াল শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেয়াদ আল মালুম সাংবাদিকদের জানান, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী নিজে এবং তার আইনজীবী সাীকে জেরা করেন। জেরার সময় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী কাঠগড়া থেকে বের হয়ে ডায়াসে গিয়ে সাীকে জেরা করেন। ক্যামেরা ট্রায়াল হওয়ার কারণে জেরার কোনো কিছু জানাতে অস্বীকার করেন তিনি। জেয়াদ আল মালুম বলেন, ১৭তম সাক্ষীর জেরা বৃহস্পতিবার শেষ হয়নি। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সাক্ষীর অসমাপ্ত জেরার জন্য ধার্য করা হয়েছে। এর মধ্যে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ১৮তম সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
গতকাল দুপুরের পর চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির ও সদস্য বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচারকার্যক্রম পরিচালনা করেন।
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী তাকে চলতি সংসদ অধিবেশনে যোগ দেয়ার সুযোগ দেয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছিলেন। বুধবার সে আবেদন খারিজ করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ট্রাইব্যুনালকে লিখিতভাবে জানান, সংসদ অধিবেশন চলাকালে তিনি তার মামলার কার্যক্রমে অংশ নেবেন না। সংসদ অধিবেশন শেষে পরবর্তী সাত দিন পর্যন্ত তিনি তার আইনজীবীদের নিয়োগও বাতিল করেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে একজন রাষ্ট্রীয় আইনজীবী নিয়োগ দেন। সালমা হাই নামে নতুন নিয়োগ পাওয়া এ রাষ্ট্রীয় আইনজীবী গতকাল দুপুরের পর আসেন ট্রাইব্যুনালে।
এর আগে বুধবার সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৭তম মহিলা সাক্ষীর ক্যামেরা ট্রায়াল শুরু হয়। রুদ্ধদ্বার কক্ষে বুধবার তার জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর দেয়া আইনজীবীদের নিয়োগ বাতিল আবেদন মঞ্জুর করে ওই দিন ট্রাইব্যুনাল বলেন, আসামির পক্ষে নতুন আইনজীবী নিয়োগ দেয়ার পর বৃহস্পতিবার মহিলা সাক্ষীর জেরা শুরু হবে। তবে গতকাল সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ট্রাইব্যুনালকে লিখিত আকারে জানান, তিনি নিজে সাক্ষীকে জেরা করতে চান। গতকাল বেলা আড়াইটার পর কোর্ট বসলে ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে উদ্দেশ করে তার পক্ষে নতুন আইনজীবী নিয়োগের বিষয়ে অবহিত করেন এবং সাক্ষীকে জেরা শুরু করার জন্য আইনজীবীকে নির্দেশ দেন। তখন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, আইনের সেকশন ১৭ (২) অনুযায়ী আমি নিজে আমার মামলা পরিচালনা করব। আমি নিজেকে নিজে ডিফেন্ড করব। আইনে সে অধিকার আমাকে দেয়া হয়েছে।
তখন বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির বলেন, আসামির আইনজীবী না থাকলে ট্রাইব্যুনাল তার পক্ষে একজন রাষ্ট্রীয় আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে থাকে এবং আমরা তা দিয়েছি। আপনি তার সাহায্য নিতে পারেন।
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, খুব ভালো; আপনাদের কাজ আপনারা করেছেন। কিন্তু যত দিন আমি আমার আইনজীবী নিয়োগ না দেই তত দিন আমার মামলা আমি নিজে লড়তে চাই।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেয়াদ আল মালুম আসামি কর্তৃক নিজের মামলা লড়ার বিরোধিতা করেন। তবে ট্রাইব্যুনাল সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আবেদন মঞ্জুর করেন এবং তাকেই সাক্ষীকে জেরা করার অনুমতি দেন। দুপুরের পর কোর্ট শুরু হলে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, তার কোনো আত্মীয়স্বজনকে আসতে দেয়া হচ্ছে না কোর্টে। তাকে দুপুরে কোনো খাবার দেয়া হয়নি, এক গ্লাস পানিও দেয়া হয়নি।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির বলেন, আপনার অভিযোগ সত্য নয়। প্রতিদিন আপনার আত্মীয়স্বজন খাবার নিয়ে আসেন এবং আপনাকে তারা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। আমরা সে অনুমতি তাদের দেই। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, আজ কী হয়েছে একটু পরখ করে দেখবেন; তাহলে বুঝতে পারবেন আমার কথা এক বর্ণও মিথ্যা নয়।
ক্যামেরা ট্রায়াল শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেয়াদ আল মালুম সাংবাদিকদের জানান, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী নিজে এবং তার আইনজীবী সাীকে জেরা করেন। জেরার সময় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী কাঠগড়া থেকে বের হয়ে ডায়াসে গিয়ে সাীকে জেরা করেন। ক্যামেরা ট্রায়াল হওয়ার কারণে জেরার কোনো কিছু জানাতে অস্বীকার করেন তিনি। জেয়াদ আল মালুম বলেন, ১৭তম সাক্ষীর জেরা বৃহস্পতিবার শেষ হয়নি। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সাক্ষীর অসমাপ্ত জেরার জন্য ধার্য করা হয়েছে। এর মধ্যে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ১৮তম সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
গতকাল দুপুরের পর চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির ও সদস্য বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচারকার্যক্রম পরিচালনা করেন।
No comments