আজ অবসরে যাচ্ছেন হিলারি-এরপর নারীর ক্ষমতায়ন হবে প্রধান কাজ
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালনের পর আজ অবসরে যাচ্ছেন হিলারি ক্লিনটন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বিচার করতে গেলে তাঁর সাফল্যের পাল্লাই ভারী। বিশেষ করে ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহার ও যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল অসামান্য।
তবে হিলারি নিজে মনে করেন, সব কিছু ছাপিয়ে তাঁর জীবন ও কাজের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন। এবার এ কাজেই পূর্ণ মনোযোগ দেবেন তিনি।
হিলারির ভাষায়, 'দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে পশ্চাতে রেখে শক্তিশালী অর্থনীতি নির্মাণ বা স্থিতিশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা বোকামি ছাড়া কিছু নয়। বেশির ভাগ দেশেই আজও নারীদের ভিন্ন প্রজাতির প্রাণী বলে মনে করা হয়। আর যেসব দেশে সম্মান দেওয়া হয়, সেখানেও নারীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের চেয়ে বেশি মর্যাদা জোটে না। তাদের রাজনৈতিক অধিকার নেই। ভয়াবহ সহিংসতা সহ্য করেও মুখ খোলার পথ নেই। এমনকি জীবনেরও কোনো মূল্য নেই।'
নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়াশিংটন শাখার উপপরিচালক সারাহ মারগন বলেন, 'হিলারি পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রীয় ভাগে নিয়ে এসেছিলেন নারী অধিকারের বিষয়টিকে। তাঁর আগ্রহের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছিল। তিনি সুধী সমাজের নানা গোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিনিময় করতে চাইতেন। এর মধ্য দিয়েই তিনি প্রমাণ করেছেন পররাষ্ট্রনীতি শুধু সরকারগুলোর মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর্যায়েই সীমাবদ্ধ নেই, বরং সব বিষয়ই এর আওতায় পড়ে।'
সাব-সাহারান আফ্রিকার সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের বিশ্লেষক জেনিফার কুক বলেন, 'কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ব্যাপারে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় চাপ দেন হিলারি। কেনিয়া বলুন বা আইভরি কোস্ট, সেনেগালের কথাই ধরুন বা কঙ্গো_প্রতিটি ক্ষেত্রেই এ ধরনের বিষয় নিয়ে কাজ করে যাওয়ার দারুণ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার চিহ্ন রেখেছেন তিনি।'
তবে এটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে হিলারির সাফল্যের মাত্র একটি দিক। এ ছাড়া লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাতে দেশটিতে আন্তর্জাতিক সেনা পাঠানোর ব্যাপারে হিলারির নেওয়া উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে। গত বছর মিয়ানমার সফর করেন হিলারি। ৫০ বছরের মধ্যে এটি ছিল কোনো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম মিয়ানমার সফর। আন্তর্জাতিকভাবে প্রায় বিচ্ছিন্ন মিয়ানমারের মূল সে াতে ফেরার ক্ষেত্রে এ উদ্যোগ ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা, আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন হত্যা, ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ইত্যাদি ক্ষেত্রেও আলোচিত হন তিনি।
তবে হিলারির ব্যর্থতার পাল্লাও কম ভারী নয়। বিশেষ করে লিবিয়ার বেনগাজিতে মার্কিন কনস্যুলেটে হামলায় রাষ্ট্রদূতসহ চার কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তীব্র সমালোচিত হন তিনি। সিরিয়া প্রসঙ্গেও জোরালো পদক্ষেপ নিতে পারেননি তিনি।
তবে এসব কিছুর পরও হিলারিকে নতুন এবং আরো বড় ভূমিকায় দেখতে চায় মার্কিন জনগণ।
২০১৬ সালে তাঁর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে কানাঘুষাও কম নেই। হিলারি অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, আপাতত সেই ভাবনা নেই। এখনকার অবসরে নারী ও মেয়েশিশুদের নিয়ে কাজ করতে চান তিনি। তবে তারও আগে তিনি দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘুমিয়ে নিতে চান। এত দিনের ঘুমের ঘাটতি পোষাতে হবে তো! সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা।
হিলারির ভাষায়, 'দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে পশ্চাতে রেখে শক্তিশালী অর্থনীতি নির্মাণ বা স্থিতিশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা বোকামি ছাড়া কিছু নয়। বেশির ভাগ দেশেই আজও নারীদের ভিন্ন প্রজাতির প্রাণী বলে মনে করা হয়। আর যেসব দেশে সম্মান দেওয়া হয়, সেখানেও নারীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের চেয়ে বেশি মর্যাদা জোটে না। তাদের রাজনৈতিক অধিকার নেই। ভয়াবহ সহিংসতা সহ্য করেও মুখ খোলার পথ নেই। এমনকি জীবনেরও কোনো মূল্য নেই।'
নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়াশিংটন শাখার উপপরিচালক সারাহ মারগন বলেন, 'হিলারি পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রীয় ভাগে নিয়ে এসেছিলেন নারী অধিকারের বিষয়টিকে। তাঁর আগ্রহের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছিল। তিনি সুধী সমাজের নানা গোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিনিময় করতে চাইতেন। এর মধ্য দিয়েই তিনি প্রমাণ করেছেন পররাষ্ট্রনীতি শুধু সরকারগুলোর মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর্যায়েই সীমাবদ্ধ নেই, বরং সব বিষয়ই এর আওতায় পড়ে।'
সাব-সাহারান আফ্রিকার সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের বিশ্লেষক জেনিফার কুক বলেন, 'কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ব্যাপারে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় চাপ দেন হিলারি। কেনিয়া বলুন বা আইভরি কোস্ট, সেনেগালের কথাই ধরুন বা কঙ্গো_প্রতিটি ক্ষেত্রেই এ ধরনের বিষয় নিয়ে কাজ করে যাওয়ার দারুণ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার চিহ্ন রেখেছেন তিনি।'
তবে এটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে হিলারির সাফল্যের মাত্র একটি দিক। এ ছাড়া লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাতে দেশটিতে আন্তর্জাতিক সেনা পাঠানোর ব্যাপারে হিলারির নেওয়া উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে। গত বছর মিয়ানমার সফর করেন হিলারি। ৫০ বছরের মধ্যে এটি ছিল কোনো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম মিয়ানমার সফর। আন্তর্জাতিকভাবে প্রায় বিচ্ছিন্ন মিয়ানমারের মূল সে াতে ফেরার ক্ষেত্রে এ উদ্যোগ ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা, আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন হত্যা, ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ইত্যাদি ক্ষেত্রেও আলোচিত হন তিনি।
তবে হিলারির ব্যর্থতার পাল্লাও কম ভারী নয়। বিশেষ করে লিবিয়ার বেনগাজিতে মার্কিন কনস্যুলেটে হামলায় রাষ্ট্রদূতসহ চার কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তীব্র সমালোচিত হন তিনি। সিরিয়া প্রসঙ্গেও জোরালো পদক্ষেপ নিতে পারেননি তিনি।
তবে এসব কিছুর পরও হিলারিকে নতুন এবং আরো বড় ভূমিকায় দেখতে চায় মার্কিন জনগণ।
২০১৬ সালে তাঁর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে কানাঘুষাও কম নেই। হিলারি অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, আপাতত সেই ভাবনা নেই। এখনকার অবসরে নারী ও মেয়েশিশুদের নিয়ে কাজ করতে চান তিনি। তবে তারও আগে তিনি দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘুমিয়ে নিতে চান। এত দিনের ঘুমের ঘাটতি পোষাতে হবে তো! সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা।
No comments