পঞ্চগড়ে প্রধানমন্ত্রী-হরতাল দিয়ে বিচার ঠেকানো যাবে না by সাইফুল আলম বাবু
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ
হাসিনা বলেছেন, হরতাল দিয়ে ও পেট্রল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরে
'যুদ্ধাপরাধীদের' বিচার ঠেকানো যাবে না। এ বিচার চলতে থাকবে। তিনি বলেন,
'একে একে সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন করে আমরা জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করব।'
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পঞ্চগড় চিনিকল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার বিষয়ে জনগণের ম্যান্ডেট রয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এ বিচার চায় না। এ জন্য তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া এ বিষয়ে কোনো কথা বলেন না। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান এসে কারাগারে আটক যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করে সরকারে স্থান দেন। এর ধারাবাহিকতা বিএনপিও অব্যাহত রাখে।
বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে প্রায় আধাঘণ্টার বক্তব্যের শুরুতে শেখ হাসিনা গত সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়ের দুটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করায় এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। তিনি আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'আরেকবার সুযোগ পেলে ক্ষুধামুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের কাজ শেষ করতে প্রচেষ্টা চালাব। একই সঙ্গে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করে বিশ্বসভায় সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করব।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে। এ জন্য গত চার বছরে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। লোকজন নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছে। কোথাও কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য জনগণের সেবা ও কল্যাণ করা। এ জন্য আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে। আর বিএনপি-জামায়াত সরকারে এলে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। আগে যেখানে দিনমজুরি ও রিকশা চালিয়ে ৫০-৬০ টাকা আয় হতো, এখন সেখানে হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। ভিজিডি, ভিজিএফসহ নানা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী চালুর ফলে এখন কোনো মানুষ অভুক্ত থাকে না। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ জন্য উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা দূর হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সতীশ চন্দ , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজাহারুল হক প্রধান এমপি প্রমুখ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপি জনসভায় সভাপতিত্ব করেন।
জনসভায় প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজে মাস্টার্স কোর্স এবং সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স কোর্স চালুর ঘোষণা দেন। মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে তাঁর এ ঘোষণাকে স্বাগত জানায় উপস্থিত জনতা।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের সময় সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে এলাকার নানা স্তরের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানায়।
জনসভার আগে দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরের ময়নামতির চরে দশম জাতীয় রোভার মুট ও পঞ্চম জাতীয় কমডেকা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে পঞ্চগড়ে ফিরে তিনি নবনির্মিত ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মকবুলার রহমান ডায়াবেটিক হাসপাতাল উদ্বোধন করেন। পরে তিনি নবনির্মিত পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া-বাংলাবান্ধা জাতীয় মহাসড়ক, পঞ্চগড় গ্রিড সাব-স্টেশন ও নবনির্মিত তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন এবং পার্বতীপুর-পঞ্চগড় ১৫০ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেললাইনের পঞ্চগড় অংশের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
স্কাউটদের সদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান : প্রধানমন্ত্রী দেশের যেকোনো প্রয়োজনে স্কাউটদের সদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, স্কাউটিংয়ের মূলমন্ত্র 'সদা প্রস্তুত' ও 'সেবা'র মানসিকতা নিয়ে সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি গতকাল দুপুরে দেবীগঞ্জ এনএন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দশম জাতীয় রোভার মুট ও পঞ্চম জাতীয় কমডেকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার আবুল কালাম আজাদ, দশম জাতীয় রোভার মুট ও পঞ্চম জাতীয় কমডেকা অনুষ্ঠানের সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান।
পরে প্রধানমন্ত্রী শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে স্কাউট সমাবেশ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর তিনি স্কাউটের ক্যাম্প পরিদর্শন ও স্কাউটদের মনোজ্ঞ ডিসপ্লে উপভোগ করেন।
'শান্তি ও উন্নয়নে স্কাউটিং' স্লোগান নিয়ে স্কাউট ও রোভার স্কাউটদের সবচেয়ে বড় এ সমাবেশ মঙ্গলবার শুরু হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার বিষয়ে জনগণের ম্যান্ডেট রয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এ বিচার চায় না। এ জন্য তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া এ বিষয়ে কোনো কথা বলেন না। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান এসে কারাগারে আটক যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করে সরকারে স্থান দেন। এর ধারাবাহিকতা বিএনপিও অব্যাহত রাখে।
বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে প্রায় আধাঘণ্টার বক্তব্যের শুরুতে শেখ হাসিনা গত সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়ের দুটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করায় এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। তিনি আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'আরেকবার সুযোগ পেলে ক্ষুধামুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের কাজ শেষ করতে প্রচেষ্টা চালাব। একই সঙ্গে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করে বিশ্বসভায় সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করব।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে। এ জন্য গত চার বছরে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। লোকজন নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছে। কোথাও কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য জনগণের সেবা ও কল্যাণ করা। এ জন্য আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে। আর বিএনপি-জামায়াত সরকারে এলে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। আগে যেখানে দিনমজুরি ও রিকশা চালিয়ে ৫০-৬০ টাকা আয় হতো, এখন সেখানে হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। ভিজিডি, ভিজিএফসহ নানা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী চালুর ফলে এখন কোনো মানুষ অভুক্ত থাকে না। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ জন্য উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা দূর হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সতীশ চন্দ , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজাহারুল হক প্রধান এমপি প্রমুখ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপি জনসভায় সভাপতিত্ব করেন।
জনসভায় প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজে মাস্টার্স কোর্স এবং সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স কোর্স চালুর ঘোষণা দেন। মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে তাঁর এ ঘোষণাকে স্বাগত জানায় উপস্থিত জনতা।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের সময় সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে এলাকার নানা স্তরের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানায়।
জনসভার আগে দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরের ময়নামতির চরে দশম জাতীয় রোভার মুট ও পঞ্চম জাতীয় কমডেকা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে পঞ্চগড়ে ফিরে তিনি নবনির্মিত ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মকবুলার রহমান ডায়াবেটিক হাসপাতাল উদ্বোধন করেন। পরে তিনি নবনির্মিত পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া-বাংলাবান্ধা জাতীয় মহাসড়ক, পঞ্চগড় গ্রিড সাব-স্টেশন ও নবনির্মিত তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন এবং পার্বতীপুর-পঞ্চগড় ১৫০ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেললাইনের পঞ্চগড় অংশের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
স্কাউটদের সদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান : প্রধানমন্ত্রী দেশের যেকোনো প্রয়োজনে স্কাউটদের সদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, স্কাউটিংয়ের মূলমন্ত্র 'সদা প্রস্তুত' ও 'সেবা'র মানসিকতা নিয়ে সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি গতকাল দুপুরে দেবীগঞ্জ এনএন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দশম জাতীয় রোভার মুট ও পঞ্চম জাতীয় কমডেকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার আবুল কালাম আজাদ, দশম জাতীয় রোভার মুট ও পঞ্চম জাতীয় কমডেকা অনুষ্ঠানের সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান।
পরে প্রধানমন্ত্রী শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে স্কাউট সমাবেশ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর তিনি স্কাউটের ক্যাম্প পরিদর্শন ও স্কাউটদের মনোজ্ঞ ডিসপ্লে উপভোগ করেন।
'শান্তি ও উন্নয়নে স্কাউটিং' স্লোগান নিয়ে স্কাউট ও রোভার স্কাউটদের সবচেয়ে বড় এ সমাবেশ মঙ্গলবার শুরু হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন।
No comments