ঢাকা ও চট্টগ্রামে গাড়ি ভাঙচুর, আগুন
পুলিশের সঙ্গে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, গাড়িতে
আগুন, ভাঙচুর এবং ককটেল বিস্ফোরণের মতো সহিংসতার মধ্য দিয়ে গতকাল
বৃহস্পতিবার ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীর ডাকা অর্ধদিবস হরতাল পালিত হয়েছে।
হরতাল চলাকালে পল্লবী, মতিঝিল ও যাত্রাবাড়ীতে তিনটি গাড়িতে আগুন দেয়
পিকেটাররা।
সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকায়
জামায়াত-শিবিরের অন্তত ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে
সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অন্যদিকে চট্টগ্রামে অন্তত
১০টি গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে হরতালকারীরা।
রাজধানীতে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, গাড়ি ভাঙচুর, আগুন : যাত্রাবাড়ী, লালবাগ, মালিবাগ, তেজগাঁও, ফার্মগেট, বাংলামোটর, শাহবাগ, রাইফেল্স স্কয়ার, মিরপুর-১১, শেওড়াপাড়াসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভোর থেকে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা সহিংসতা চালায়। ঝটিকা মিছিল করে 'ঘূর্ণিসন্ত্রাস' চালানোর সময় বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ, যানবাহন ভাঙচুর এবং তিনটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে তারা।
পুলিশ জানায়, পুরানা পল্টন ও বাংলামোটর এলাকায় ৯টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা। জামায়াতের দাবি, নগরীর ৫০টি স্পটে তারা মিছিল করেছে।
এ সময় পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় তাদের ২৫ জন আহত হয়েছে এবং অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হরতাল চলাকালে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেন, 'হরতালের নামে কেউ ফৌজদারি আইন অমান্য করলে এবং জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটালে সেই সন্ত্রাসী বা অপরাধীকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।'
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সকালে পল্লবীতে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বাসের চালকসহ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়। এ সময় তারা আরো দুটি বাস ভাঙচুর করে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ১০ নম্বর গোল চত্বরের পাশের রাস্তা অবরোধ ও টায়ারে আগুন দেয় তারা। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
পুলিশ জানায়, সকাল ৯টার দিকে মতিঝিলে একটি ও যাত্রাবাড়ীতে আরো একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ করে হরতাল সমর্থকরা। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আজিমপুরে রাস্তায় টায়ার জ্বালায় এবং গাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়ে পিকেটাররা। এ সময় পুলিশ এগিয়ে গেলে দ্রুত পিকেটাররা পালিয়ে যায়। মালিবাগ লেভেলক্রসিং এলাকায়ও গাড়ি ভাঙচুর ও রাস্তায় টায়ার জ্বালায় পিকেটাররা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় জামায়াত-শিবিরের একটি মিছিল বের হলেও পুলিশ দেখে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ১০টার পর বাড্ডায় হরতালের বিরুদ্ধে মিছিল বের করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফার্মগেটে গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে শিবিরকর্মীরা। এ ছাড়া বাংলামোটর ও পুরান ঢাকার কয়েকটি এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় পিকেটাররা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (জনসংযোগ) মাসুদুর রহমান বলেন, সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পল্টনে পুলিশ-শিবির গোলাগুলির গুঞ্জন : এদিকে গতকাল সন্ধ্যার পর রাজধানীর পল্টন এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে শিবিরকর্মীরা এবং শিবিরকর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি ছুড়ে বলে গুঞ্জন রয়েছে। পুলিশ বলছে, আত্মরক্ষার্থে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়েছে। তবে শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পুলিশ শিবিরকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। কিন্তু তাদের মিছিল থেকে কোনো গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শিবলী নোমান বলেন, 'শিবিরের মিছিল থেকে গুলির বিষয়টি আমার জানা নেই।' তবে শিবিরকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।
এক বিবৃতিতে শিবির দাবি করে, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন শিবিরকর্মী আহত হন।
চট্টগ্রামে ১০ গাড়িতে ভাঙচুর, আগুন : হরতাল চলাকালে জামায়াত-শিবিরকর্মীদের খুব একটা মাঠে দেখা যায়নি। শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী সাত-আটজন কর্মী নিয়ে একটি মিছিল করেছেন। অন্যরা ঝটিকা মিছিল করেছে। এ সময় অন্তত ১০টি গাড়িতে ভাঙচুর চালানোর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। নগরীর কোতোয়ালি, পাঁচলাইশ, বন্দর ও হালিশহর থানা এলাকায় এসব গাড়িতে হামলা চালানো হয়।
এ বিষয়ে সিএমপির উপকমিশনার (সদর) প্রকৌশলী বনজ কুমার মজুমদার বলেন, সকালে দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে পিকেটাররা। এ ছাড়া অন্য কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে, রংপুর অফিস জানায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ করে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মিছিল বের করে এবং ১০টি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়।
রাজধানীতে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, গাড়ি ভাঙচুর, আগুন : যাত্রাবাড়ী, লালবাগ, মালিবাগ, তেজগাঁও, ফার্মগেট, বাংলামোটর, শাহবাগ, রাইফেল্স স্কয়ার, মিরপুর-১১, শেওড়াপাড়াসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভোর থেকে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা সহিংসতা চালায়। ঝটিকা মিছিল করে 'ঘূর্ণিসন্ত্রাস' চালানোর সময় বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ, যানবাহন ভাঙচুর এবং তিনটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে তারা।
পুলিশ জানায়, পুরানা পল্টন ও বাংলামোটর এলাকায় ৯টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা। জামায়াতের দাবি, নগরীর ৫০টি স্পটে তারা মিছিল করেছে।
এ সময় পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় তাদের ২৫ জন আহত হয়েছে এবং অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হরতাল চলাকালে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেন, 'হরতালের নামে কেউ ফৌজদারি আইন অমান্য করলে এবং জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটালে সেই সন্ত্রাসী বা অপরাধীকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।'
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সকালে পল্লবীতে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বাসের চালকসহ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়। এ সময় তারা আরো দুটি বাস ভাঙচুর করে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ১০ নম্বর গোল চত্বরের পাশের রাস্তা অবরোধ ও টায়ারে আগুন দেয় তারা। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
পুলিশ জানায়, সকাল ৯টার দিকে মতিঝিলে একটি ও যাত্রাবাড়ীতে আরো একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ করে হরতাল সমর্থকরা। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আজিমপুরে রাস্তায় টায়ার জ্বালায় এবং গাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়ে পিকেটাররা। এ সময় পুলিশ এগিয়ে গেলে দ্রুত পিকেটাররা পালিয়ে যায়। মালিবাগ লেভেলক্রসিং এলাকায়ও গাড়ি ভাঙচুর ও রাস্তায় টায়ার জ্বালায় পিকেটাররা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় জামায়াত-শিবিরের একটি মিছিল বের হলেও পুলিশ দেখে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ১০টার পর বাড্ডায় হরতালের বিরুদ্ধে মিছিল বের করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফার্মগেটে গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে শিবিরকর্মীরা। এ ছাড়া বাংলামোটর ও পুরান ঢাকার কয়েকটি এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় পিকেটাররা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (জনসংযোগ) মাসুদুর রহমান বলেন, সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পল্টনে পুলিশ-শিবির গোলাগুলির গুঞ্জন : এদিকে গতকাল সন্ধ্যার পর রাজধানীর পল্টন এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে শিবিরকর্মীরা এবং শিবিরকর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি ছুড়ে বলে গুঞ্জন রয়েছে। পুলিশ বলছে, আত্মরক্ষার্থে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়েছে। তবে শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পুলিশ শিবিরকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। কিন্তু তাদের মিছিল থেকে কোনো গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শিবলী নোমান বলেন, 'শিবিরের মিছিল থেকে গুলির বিষয়টি আমার জানা নেই।' তবে শিবিরকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।
এক বিবৃতিতে শিবির দাবি করে, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন শিবিরকর্মী আহত হন।
চট্টগ্রামে ১০ গাড়িতে ভাঙচুর, আগুন : হরতাল চলাকালে জামায়াত-শিবিরকর্মীদের খুব একটা মাঠে দেখা যায়নি। শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী সাত-আটজন কর্মী নিয়ে একটি মিছিল করেছেন। অন্যরা ঝটিকা মিছিল করেছে। এ সময় অন্তত ১০টি গাড়িতে ভাঙচুর চালানোর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। নগরীর কোতোয়ালি, পাঁচলাইশ, বন্দর ও হালিশহর থানা এলাকায় এসব গাড়িতে হামলা চালানো হয়।
এ বিষয়ে সিএমপির উপকমিশনার (সদর) প্রকৌশলী বনজ কুমার মজুমদার বলেন, সকালে দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে পিকেটাররা। এ ছাড়া অন্য কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে, রংপুর অফিস জানায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ করে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মিছিল বের করে এবং ১০টি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়।
No comments